চট্টগ্রাম বন্দরে ইলেকট্রনিক পণ্যের ঘোষণায় দুবাই থেকে আনা ২টি কাভার্ডভ্যান বোঝাই প্রায় সাড়ে আট টন গুঁড়া দুধ আটক করেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবার রাতে চালানটি আটক করেন কাস্টমসের এআইআর(অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স) শাখার কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার (এআইআর) জানান, রাজধানির ১২৪/এ, ড. খুদরত-ই-খুদা রোড (এলিফ্যান্ট রোড) ঠিকানার আমদানিকারক প্রাইম ট্রেডিং কর্তৃক সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই হতে ইলেকট্রনিক পণ্য ঘোষণায় ২ টন পণ্য আমদানি করেন। নিয়ম অনুযায়ী পণ্যগুলো কন্টেইনার থেকে নামিয়ে বন্দরের ১২ নং শেডে সংরক্ষণ করা হয়। পণ্য খালাসের লক্ষ্যে আমদানিকারক কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কুলগাঁও ট্রেডার্স লিমিটেডকে (ঠিকানা: রাজ বাণিজ্য বিতান, ১১০২, ডিটি রোড, চট্টগ্রাম) মনোনয়ন দেয়া হয়। তারা কাস্টম হাউজে বিল অব এন্ট্রি নং-সি-১২৪৯০০৮; তারিখ-১০/০৯/২০২০ দাখিল করেন। তিনি জানান, কাস্টমস কর্মকর্তা পণ্য পরীক্ষা করতে গেলে পণ্য খালাসে নিয়োজিত আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি শেডে সংরক্ষিত অপর একটি ইলেকট্রনিক পণ্য পরীক্ষা করান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ইলেকট্রনিক পণ্যের বিপরীতে আড়াই লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ করে ২টি কাভার্ড ভ্যানে পণ্য বোঝাই করে খালাসের অপচেষ্টা করা হলে কাস্টম হাউজের এআইআর টিম কর্তৃক গাড়িগুলো আটক করা হয়। আটকের পর এআইআর কর্মকর্তারা পণ্য পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক পণ্যের পরিবর্তে প্রায় সাড়ে আট টন গুঁড়ো দুধ পান। যার আনুমানিক শুল্ক-কর ২৮ লাখ টাকা।
এই শুল্ক কর্মকর্তা জানান, গুঁড়ো দুধ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি নীতি অনুযায়ী মোড়কের গায়ে ‘মায়ের দুধের বিকল্প নেই’ উল্লেখ থাকতে হবে এবং বিএসটিআই এর মাধ্যমে খাবার উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করাতে হবে। এক্ষেত্রে দু’টি শর্তই পূরণ করা হয়নি। কাস্টম হাউজ কর্তৃক পণ্য খালাসের অপচেষ্টা রোধ করা না গেলে পণ্যগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা তা অজানা থেকে যেত বলেও তিনি জানান। শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তা ছাড়া জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে কি না এবং কোন কোন সংস্থার লোক জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।