০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্কুলছাত্রী সীমা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

-

লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী সীমাকে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় নি¤œ আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। অপর দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো: কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আট আসামি হলোÑ নুর আলম, নুর নবী, চৌকিদার হেদায়েত উল্যা, হীরণ, সুমন, মানিক হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও রাশেদুল ইসলাম। মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলোÑ আনোয়ার হোসেন ও সোহেল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুমন, মানিক, রাশেদুল ও সাদ্দাম পলাতক।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম, সাথে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শামসুন্নাহার লাইজু ও ফারহানা আফরোজ। দু’জন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। রাষ্ট্রনিযুক্ত হিসেবে আসামিদের হয়ে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান খান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদৌহিতা গ্রামের লক্ষ্মণচন্দ্র দেবনাথের ঘরে ২০-২৫ জন মুখোশধারী ডাকাত হানা দেয়। তারা স্বর্ণালঙ্কার, অর্থসহ পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করার পাশাপাশি লক্ষ্মণের মেয়ে সীমা রানী দেবনাথকে ঘরের একটি কক্ষে আটকে গণধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সেসময় সীমা প্রতাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় পরের দিন সীমার দাদা কৃষ্ণচন্দ্র দেবনাথ বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
ওই মামলায় ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল বাছিদ রায় দেন। ২৫ আসামির মধ্যে রায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের খালাস দেয়া হয়। পরে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ওই বছরই ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আসামিরা জেল আপিল ও আপিল করেন। এসব আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যে দু’জনের সাজা কমেছে তারা ওই ঘটনায় জড়িত হলেও সরাসরি ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণিত হয়নি। অন্য আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী বা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যেও ওই দুইজনের সম্পৃক্ততা আসেনি। এই যুক্তিতে উচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে তাদের যাবজ্জীবন দিয়েছেন। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে পরামর্শ করে দুই আসামির যাবজ্জীবনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ : যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মিয়ানমারের পুরুষদের বিদেশে কাজের আবেদন নিষিদ্ধ করল জান্তা সরকার তানজিদ-সাইফুদ্দীনকে নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ৭ জন আটক ইসরাইলবিরোধী পোস্টের দায়ে নাগরিকদের আটক করছে সৌদি পোরশায় পুলিশ সুপারের বাড়িতে চুরি প্রকৃতিকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে সরকারি দলের লুটেরা-ভূমিদস্যুরা : রিজভী টিএইচই এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে ২য় বাকৃবি সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের দ্বারপ্রান্তে : যুক্তরাষ্ট্র হাটহাজারী উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বাশার ‘এতে মজা আছে নাকি, সবাই একদল আমরা’

সকল