ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পাশাপাশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ তার লড়াই অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীদের হত্যা, নির্যাতন, অপহরণসহ ভারতের বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসনের বিষয়েও অধিকার অতিতে সোচ্চার থেকেছে। ভবিষ্যতেরও এ ধরা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা। গতকাল সংগঠনটির ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থাটির কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এ বক্তব্য উঠে আসে। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ড. সি আর আবরারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান।
সভায় নারী অধিকার নেত্রী ফরিদা আক্তার, পাক্ষিক জনযুগের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী আফরোজা ইসলাম, সদস্য আবরার ইলিয়াস এবং শিক্ষাবিদ ও গবেষক রেজাউর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবার তৎকালীন স্বৈরশাসক লে. জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অংশ নেয়া কয়েকজনের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার কর্মীদের সংগঠন অধিকার।
মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর মূল লক্ষ্যই ছিল রাষ্ট্রের হাতে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো, রাষ্ট্রকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা থেকে বিরত রাখার বিষয়ে সোচ্চার হওয়া এবং জবাবদিহিতার আওতায় আনা, ভিকটিমদের সহযোগিতা করা এবং সর্বোপরি জনগণকে তাদের মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন করা।
অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বাস্তবায়নের সংগ্রামে নিয়োজিত থেকেছে অধিকার। এ ছাড়া অধিকার ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে এ-সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করছে। অধিকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন হিসেবেও কাজ করছে এবং মানবাধিকার বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ মানবাধিকারকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়।
অধিকার-এর ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনটি বাংলাদেশের জনগণকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবং সেই সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নিয়োজিত জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে। ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পাশাপাশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে অধিকার তার লড়াই অব্যাহত রাখবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা