রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় অল্পের জন্য গণপিটুনির হাত থেকে বেঁচে গেলেন ইমরান (২৮) নামে এক যুবক। গতকাল সকালে ছেলেধরা সন্দেহে তাকে আটকে রাখে স্থানীয়রা। এ সময় তারা দাবি তোলেন ছেলেধরাকে গণপিটুনি দেয়া হোক। পরে পুলিশ গিয়ে ইমরানকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণখান পণ্ডিত পাড়ায় অপরিচিত এক যুবক একটি শিশুকে কোলে নিয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটছিল। এ থেকে সন্দেহ হয়, ওই যুবক ছেলেধরা। স্থানীয় কয়েকজন তাকে একটি দোকানে বসিয়ে রাখে। এরই মধ্যে রটে যায়, পণ্ডিত পাড়ায় এক ছেলেধরাকে আটকে রাখা হয়েছে। মুহূর্তে শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তারা দাবি তোলেন, ওই যুবককে গণপিটুনি দেয়া হোক।
যারা আটক করেছিলেন তারাই বলেন, আমরা মারধর করব না। থানায় খবর দেয়া হয়েছে, পুলিশ এলে জানা যাবে সে ছেলেধরা কি না। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল গণি সাবু জানান, ছেলেধরা সন্দেহে যে যুবককে আটক করা হয়েছিল তাকে আমরা উদ্ধার করেছি। ইমরান নামে ওই যুবক বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, ইমরান তার এক আত্মীয়র শিশুকে কোলে নিয়ে হাঁটছিল। শিশুটির মা অসুস্থ। ইমরানের বাসাও পণ্ডিত পাড়ায়। তবুও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার হাফিজুর রহমান রিয়েল বলেন, ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যুর মতো বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে থানায় জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিছু সচেতন মানুষ আমাদের খবর দিয়েছিল, পুলিশ এক যুবককে উদ্ধার করে থানায় রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, ইমরান তার এক ধর্মের বোনের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বের হয়েছিল। পরে ওই নারী থানায় এসে ইমরান তার ভাই জানালে বিষয়টির সমাধান হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা