০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুর্বল ব্যাংকগুলো একীভূতকরণের আইনি ব্যবস্থা আসছে

-

দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো একীভূত করতে আইনি ব্যবস্থা আসছে। এ জন্য আইনি বাধা দূর করতে ব্যাংক কোম্পানি আইন প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ ধরনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ব্যাংক একীভূতকরণের প্রয়োজন হলে সেটা যেন আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যায় তার জন্যও ব্যাংক কোম্পানি আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়লে এবং তা একীভূতকরণের প্রয়োজন দেখা দিলে ব্যাংক কোম্পানিতে কোনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত শুধু একটি প্রজ্ঞাপন রয়েছে। ওই প্রজ্ঞাপনে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অন্য একটি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেরা একীভূত হতে চাইলে তারা স্বেচ্ছায় একীভূত হতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার ইচ্ছে করলে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে একীভূত করতে পারবে না।
এমন আইনগত বাধা থাকায় এ বিষয়ে সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে এমনও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার মোট ঋণের প্রায় ৮০ শতাংশই খেলাপি। আর ৩০ শতাংশের ওপরে খেলাপি ঋণ রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্যালাইন দিয়ে অর্থাৎ জনগণের করের টাকা দিয়ে মূলধন পুনর্ভরণ করে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জনগণের করের টাকা মূলধন পুনর্ভরণের সুযোগ নেই। আবার ওইসব প্রতিষ্ঠান জনগণের আমানতের অর্থ ফেরতও দিতে পারছে না। বেসরকারি এমন দু’টি ব্যাংকের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা জনগণের আমানতের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উচ্চ বেতন নিচ্ছেন। নতুন করে লোকবলও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। মোবাইলে উচ্চ সুদের প্রলোভনের খুদে বার্তা দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের দৃষ্টিগোচরে এলেও অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কিছু করা যাচ্ছে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এতই খারাপ, যাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়া যাচ্ছে না। ওই সব প্রতিষ্ঠান একীভূত করা এখন সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আইনি বাধা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাধ্যতামূলক একীভূতকরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিভাবে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের সাথে একীভূত করা হবে, কী প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে, আমানতকারীদের আমানতের দায় কে নেবে, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিভাবে আত্তীকরণ হবে সেসব বিষয়ে কমিটি ইতোমধ্যে একটি খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। ওই নীতিমালার খসড়া চূড়ান্তকরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কমিটির প্রতিবেদন শিগগিরই অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় তা চূড়ান্ত করে আইনি কাঠামো দিতে সংসদে পাঠাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠাকের একীভূতকরণের জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন হলে চিহ্নিত দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাধ্যতামূলক একীভূত করতে আইনি কোনো বাধা থাকবে না। বরং বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কোনো ভালো ব্যাংকের সাথে দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো একীভূত করে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি কমাতে পারবে। এতে জনগণের আমানত আরো সুরক্ষা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
যারা দলের শৃঙ্খলা ভাঙবে তাদের শাস্তি পেতেই হবে : ওবায়দুল কাদের রাজশাহীতে তরুণকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৪ পুলিশ প্রত্যাহার চাঁদপুরে পিকআপের সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষে বাবা-ছেলে নিহত সুন্দরবনে আগুনের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ ৪ ঘণ্টা বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা মধুখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু ইসরাইলের রাফাহ অভিযান মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে যা জানালো হামাস নিজ্জর হত্যার কানাডায় গ্রেফতার ৩ ভারতীয় যুবকের পরিবার কী বলছে? গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সখীপুরে স্কুল খোলা থাকলেও নেই শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ডিপিএলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

সকল