০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকেই ঋণ নেয়া হবে সাড়ে ৬৮ হাজার কোটি টাকা

বেসরকারি খাত ব্যাংক ঋণ বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা
-

বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করবে সরকার। এ জন্য আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা। এর ফলে বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন্য আগামী অর্থবছরে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রার প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৩ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। সম্প্রতি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির এক বৈঠকে আগামী অর্থবছরের জন্য অভ্যন্তরীণ ঋণের এ প্রাক্কলন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের এ ধরনের বিশাল অঙ্কের ঋণ গ্রহণের ফলে বেসরকারি খাত ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এর ফলে দেশে বেসরকারি বিনিয়োগের শ্লথ গতি পরিলক্ষিত হতে পারে। এমনিতে দেশে যে হারে সরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে, বেসরকারি বিনিয়োগ সে হারে হচ্ছে না। কিন্তু বেশির ভাগ কর্মসংস্থানই বেসরকারি খাতে হয়ে থাকে। তাই সরকারের এ ধরনের ঋণের প্রভাবে বেসরকারি বিনিয়োগ না হলে মানুষের কর্মসংস্থানও সঙ্কুচিত হয়ে পড়তে পারে। কারণ এরই মধ্যে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে দেখানো হয়েছে, দেশে স্বল্প শিক্ষিতদের চেয়ে শিক্ষিত বেকারের হার বেশি। ভালো কাজ না পাওয়ায় তাদের বেশির ভাগ বেকার। বেসরকারি খাত পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান দিতে পারছে না।
আগামী অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেশি করে প্রাক্কলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ঋণ নেয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সঞ্চয়পত্র থেকে যাতে কম ঋণ গ্রহণ করতে হয় সে জন্য এর মুনাফার হারও কমিয়ে আনা হবে। মুনাফার হার কমলে সঞ্চয়পত্র বিক্রিও কমে যাবে বলে আশা করা যায়। এর ফলে সরকারের এ খাত থেকে ঋণও কম করা লাগবে। কারণ সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণকে ব্যয়বহুল ঋণ বলা হয়। কারণ সঞ্চয়পত্র সুদের হার বর্তমানে ব্যাংক ব্যবস্থার সুদের হারের প্রায় দ্বিগুণ। তিনি বলেন, যেহেতু আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কম ঋণ নেবে, তাই এ ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরতা বাড়াতে হচ্ছে। ফলে এ খাত থেকে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ দিকে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা; যা কি না চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৫৮ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা বা ১৩ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা রয়েছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির আকার প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ ৯৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে এক লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। জিডিপির অংশ হিসেবে যা ৫ শতাশ। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি রয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। জিডিপির অংশ হিসেবে যা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। আগামী বাজেটে পরিচালন ও অন্যান্য ব্যয়ের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল