৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লম্বা ছুটি শেষে চাঞ্চল্য ফিরেছে চুয়াডাঙ্গা দর্শনা রেলবন্দর

- ছবি : নয়া দিগন্ত

লম্বা ছুটি শেষ হবার পর দর্শনার রেলবন্দরে আবারো চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের দীর্ঘ সময় ছুটির পর চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। ১৫ এপ্রিল সোমবার রাত ৮টার পর দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে ৪২ ওয়াগন করে দু’টি র‌্যাক ৮৪ ওয়াগনে প্রায় ৫ হাজার টন খৈল আমদানি করা হয়েছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটিতে গত ৮ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দর্শনা রেলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল সোমবার থেকে আগের মতো যথারীতি দর্শনা রেলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

এ দিকে, ঈদের ছুটিতে ঢাকা-কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ১৮ এপ্রিল বুধবার থেকে চলবে এই বিশেষ ট্রেনটি।

তবে খোলা ছিল দর্শনা ইমিগ্রেশন-চেকপোস্ট। ঈদের ছুটির কয়দিন এই রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ব্যবসা, আনন্দ ভ্রমণ, চিকিৎসার প্রয়োজনে যাতায়াত করেছে।

দর্শনা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিক জানান, ‘ঈদের দিনও খোলা ছিল দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বছরের সব কয়টি দিনই খোলা থাকে এবং যথারীতি ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলে। বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণে চুয়াডাঙ্গা দর্শনা চেকপোস্ট জনপ্রিয় একটি জায়গা। দর্শনা চেকপোস্ট থেকে কলকাতা খুব কাছে।’

তিনি আরো আরো বলেন, ‘এখান থেকে রেলপথে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ১১৪ কিলোমিটার। দর্শনার বিপরীতে ভারতে গেদে বন্দর। গেদে থেকে কলকাতা, ২৪ ঘণ্টাই ১৮টি ট্রেন চলাচল করে। ভাড়া মাত্র ৩০ রুপি। এখন প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার পাসপোর্টধারী এ চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করে।’

দর্শনা পৌর মেয়র ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, ‘সারা বছর দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি হয়। এটি দেশের গুরুত্বপুর্ণ একটি বন্দর। করোনাকালে সব বন্ধ থাকলেও সঙ্কট মুহুর্তে খোলা ছিল দর্শনা রেলবন্দর। দেশের সঙ্কট মুহূর্তে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দর্শনা বন্দর। দৈনিক দুই থেকে তিনটি র‌্যাক (৪২ ওয়াগনে এক র‌্যাক) ভারত থেকে আসে এ বন্দরে।


আরো সংবাদ



premium cement