০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জীবননগরে দিগন্তজোড়া সরিষা ফুলে মৌমাছিদের আনাগোনা

জীবননগরে দিগন্তজোড়া সরিষা ফুলে মৌমাছিদের আনাগোনা - ছবি : নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলের মেলায় মৌমাছিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠে মাঠে নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারনা হচ্ছে। তা দেখে দর্শনার্থী ও কৃষকদের মন ভরে যাচ্ছে। হলুদ সরিষা ফুলের মাঝে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।

চলতি মওসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। দেশে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন।

জীবননগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলায় চলতি মওসুমে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। আরো চাষের জন্য কৃষকেরা জমি প্রস্তুত করছেন। আগাম জাতে সরিষা ক্ষেতে ফুলে ফুলে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত। মধু সংগ্রহের সময় মৌমাছি পরাগায়নে সহযোগিতা করে থাকে। আমন ধানের জমি থেকে ধান কেটে নেয়ার পর সেই জমিতে আবার সরিষার চাষ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, উপজেলায় গত মওসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। উপজেলার যেসব জমিতে গত বছর আলুর চাষ হয়েছে, সেসব জমিতে এবার সরিষার আবাদ হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে আট থেকে ১০ মণ সরিষার ফলন হয়ে থাকে। আলুর দাম না পাওয়ায় কৃষকেরা এবার সরিষা ও ভুট্টা আবাদের দিকে ঝুঁকেছেন।

সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকেরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশি) জাতের বারি-৯, বারি-১৪, বিনা-স্থানীয় জাতের টরি-৭ চাষ করেছেন। ভাল ফলন হলে এবং দাম পেলে আগামী বছর সরিষার আবাদ আরো বাড়বে।

কৃষকেরা জানান, ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা আবাদের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এ ছাড়া সরিষা চাষের জমিতে ধানের চাষও ভাল হয় এবং বোরো চাষে খরচ হয়। এ বছর অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সরিষা গাছ বেশ বেড়ে ওঠেছে। যে কারণে কৃষকদের চোখেমুখে হাসি-খুশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উপজেলার মাধবখালী গ্রামের কৃষক রাজেদুল ইসলাম জানান, চলতি বছর ছয় বিঘা জমিতে বারি-১৪, বিনা-৪ ও বিনা-৯ জাতের সরিষা পাঁচ বিঘা এবং তিন বিঘা জমিতে বিনা-১১ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। বিনা-১১ জাতের সরিষা এলাকার এবারই প্রথম চাষ হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ জাতের সরিষার জীবন কাল কম এবং বাম্পার ফলনের আশা তার।

তিনি জানান, বিনা-১৪ জাতের সরিষার আবাদ এলাকায় বেশি হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমিতে উফশী জাতের সরিষার ফলন ১০-১২ মণ পর্যন্ত হয়। বপনের ৭০-৮০ দিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। সরিষার খৈল গবাদি পশু ও মাছের উৎকৃষ্ট খাদ্য হিসেবে বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ সরিষা সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শিরিন সারমিন বলেন, জীবননগর উপজেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। কম খরচে বেশি লাভ ও ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে সরিষা চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে সরিষার দামও ভাল রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলগামী সকল জাহাজে হামলার হুমকি হাউছিদের কংগ্রেস সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ৫০ আসন পাবে না : মোদি প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের সরিয়েছে পুলিশ চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরাইলের গফরগাঁওয়ে লরিচাকায় পিষ্ট হয়ে নারী নিহত রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের মিরসরাইয়ে তীব্র তাপদাহে মরছে মাছ : লোকসানের মুখে চাষিরা মহেশখালীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে জয়নাল

সকল