শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন জাহরান হাশিম অনেক দিন ভারতে ছিল। দ্বীপ দেশটির সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় ইংরেজী দৈনিক দ্য হিন্দু জানিয়েছে একথা। শুক্রবার লঙ্কান সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘উল্লেখযোগ্য সময় তিনি দক্ষিণ ভারতে’ অবস্থান করেছেন। দুই বছর আগে সে ভারত ত্যাগ করে।
তদন্ত কর্মকর্তারা রোববারের সিরিজ বোমা হামলার জন্য প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত নামের একটি সংগঠনের নেতা জাহরান হাশিমকে। হামলায় আড়াইশোর বেশি লোক মারা গেছে, যাদের মধ্যে ৪৫ শিশু ও ৪০ জন বিদেশী নাগরিক ছিলেন।
দুইদিন পর এক ভিডিও প্রকাশ করে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উগ্রবাদী সংগঠন আইএস। ভিডিওতে নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিকে হাশিম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিলো। তবে হামলার পর তদন্ত কর্মকর্তারা এক নারী সহ নয় জন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা হামলার বিষয়টি আইএস স্টাইল হিসেবে ধরে নিচ্ছি। আমরা আরো সন্দেহ করছি ওই যুবকদের কেউ কেউ ভারতের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, সম্ভবত তামিলনাড়ুতে।’
ভারতীয় কর্মকর্তারা হাশিমের ভারতে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেননি, তবে যে যুবকদের সাথে তার অনলাইনে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় তারা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, হাশিমের ফেসবুক পেজের একশ’র বেশি ফলোয়ারের বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। হাশিমের মতাদর্শ বিষয়ক ভিডিওগুলো এমন সময় পাওয়া গেছে যখন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একটি গ্রুপের সাত সদস্যকে জেরা করছিলো। ওই গ্রুপের সদস্যরা আইএসের বিষয়ে সহানুভূতিশীল ছিলো। ২০১৮ সালের সেপ্টম্বরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ুর কম্বাইতোরে শহর থেকে। ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এমন সন্দেহে তাদের আটক করা হয়। ওই গ্রুপটির নেতা হাশিমের ফলোয়ার ছিলো বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা