০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আঁচিলের কারণ ও ব্যবস্থাপত্র

-

আঁচিল ভাইরাসজনিত রোগ। যেকোনো বয়সের ছেলেমেয়ে অথবা পুরুষ বা মহিলার এ রোগ হতে পারে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের যেকোনো স্থান আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত লোকের সংস্পর্শে কিংবা তার ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ব্যবহার করলে, সেলুন থেকে কাঁচি ও ক্ষুরের সাহায্যেও ছড়াতে পারে। আঁচিল সাধারণত ছোট দানা থেকে বেশ বড় আকার ধারণ করতে পারে। এর বহির্ভাগ অমসৃণ কাঁটা কাঁটা হয়ে থাকে। বড়দের চেয়ে শিশুদের অধিক আঁচিল দেখা যায়। নখ কামড়ানোর অভ্যাস থেকে জিহ্বা বা মুখ গহ্বরের ভেতরও আঁচিল হতে পারে। হাত ও পায়ের পাতার আঁচিল সাধারণত ব্যথাযুক্ত হয়ে থাকে। যাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের সারা শরীরে প্রচুর আঁচিল হতে পারে। যাদের যৌনাঙ্গে আঁচিল আছে, তাদের সাথে যৌনমিলনে এ রোগ গুপ্তাঙ্গে ছড়াতে পারে। বিশেষ ধরনের মিলনের ফলে এটা পায়ুপথের চারধারেও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় গুপ্তাঙ্গের এ রোগ হরমোনের প্রভাবে বড় আকার ধারণ করে, যা অনেক সময় নরমাল ডেলিভারিতে বাধার সৃষ্টি করে।
চিকিৎসা
অনেক পদ্ধতির সাহায্যে আঁচিলের চিকিৎসা করা যায়। মূল উদ্দেশ্য হলোÑ ভাইরাস আক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা। যার ফলে আঁচিল ভাইরাস নির্মূল হতে পারে।
নন-সার্জিক্যাল
* পডোফইলাম : যা বিশেষভাবে ছোট ও নরম আঁচিলে লাগালে এটি ভালো হয়। নির্দিষ্ট নিয়মে এটা লাগাতে হয়। এটি ছাড়া * ফরমালিন * ক্যানথারিডিন * ৫ ফ্লোরেইরাসিল * রেটিনয়িক এসিড ইত্যাদি ব্যবহার করলে বিশেষ ক্ষেত্রে ভালো কাজ হবে।
ইনজেকশন
আঁচিলের মধ্যে * ইন্টারফেরন অথবা * ব্লিওমাইসিন ইনজেকশন দিলেও ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
সার্জিক্যাল
প্রচলিত * ক্রায়োথেরাপি * ইলেক্সকটরি অথবা * লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লেখক : চর্ম, যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জন, ইস্টার্ন প্লাজা, ঢাকা।


আরো সংবাদ



premium cement