নেপালে করোনা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ দল
- ক্রীড়া প্রতিবেদক, নেপাল থেকে
- ২৪ মার্চ ২০২১, ২০:১৫
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও গা-ছাড়া ভাব নেপালিদের। কেউ মাস্ক পরছেন। আবার কারো মুখে মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক শুধু থুতনিতে। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। করোনার এক বছর পরও নেপালিরা এখন সব কিছুই স্বাভাবিক মনে করছেন।
এমন পরিস্থিতিতে তিন জাতি ফুটবল তিন দলের অবস্থানস্থল সলটি ক্রাউন প্লাজা হোটেলে করোনা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ দল। যেখানে অন্যরা যে যার মতো মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করছে। লবিতে বসে আড্ডা দিচ্ছে। রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে। একই স্থানে একটু পরে বসছেন বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। এতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে জামাল, সুফিল ও মতিনরা। এই ঝুঁকির কথা মেনেও নিলেন কোচ জেমি ডে। অবশ্য হোটেলে প্রবেশের সময় জ্বর মাপা হচ্ছিল আগন্তুকদের।
করোনার প্রভাব বাংলাদেশ দলেই। তারা নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার রহমত মিয়াকে নেপালে আনতে পারেনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায়। এখন নেপালে এসে যদি ফের কোনো লাল-সবুজধারী করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে আরো সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ দল। এজন্য প্রতিদিনই বাংলাদেশী ফুটবলারদের করোনা টেস্ট করানো হচ্ছে। এমন তথ্য দেন জেমি ডে।
জেমি ডে বলেন, ‘দেখুন, কেউ করোনা বিধিনিষেধ মানছে না। নেই জৈব সুরক্ষা বলয়। যে যার মতো হোটেলে প্রবেশ করছে। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। এদের সাথে হোটেলের রেস্টুরেন্টে বসে খেতে হচ্ছে আমাদের।’
ঝুঁকির কথা মেনে নিলেন ইন্দোনেশিয়ান ক্লাব পার্সিজা জাকার্তা ক্লাবের হয়ে সাত বছর ধরে খেলা নেপালি ডিফেন্ডার রোহিত চাঁদও। তিনিও বলেন, আরো সতর্ক হওয়া উচিত আমাদের।
বিশাল এলাকাজুড়ে চমৎকার সবুজে ঘেরা পরিবেশে সলটি ক্রাউন প্লাজা হোটেলের অবস্থান। নেপাল ও কিরগিজ ফুটবল দলও একই হোটেলে থাকে। তবে দু’দলের সদস্যদের দেখা গেছে মাস্ক না পরেই হোটেল লবিতে ঘোরাঘুরি করতে। এক দল কলেজশিক্ষার্থীও বুধবার হোটেলে একটি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যেও করোনার বিধিনিষেধ মানার লক্ষণ দেখা যায়নি।
এ দিকে বিশ্বব্যাপী করোনার সংক্রমণ বাড়লেও নেপালে এক মাস আগে খুলে দেয়া হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা