০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিশ্বকাপের মেডেল চুরি করেছেন পুতিন! (ভিডিওসহ)

বিশ্বকাপের মেডেল চুরি করেছেন পুতিন! - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মাথায় ছাতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হন ভ্লাদিমির পুতিন। এই নিয়ে টুইটারে একের পর এক কমেন্ট পোস্ট হতে থাকে। ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে এই ছাতা বিতর্কের সমাপ্তি হতে না হতেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে এবার পেতে হলো চোরের অপবাদ। ফিফার মেডেল চুরির অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।

আসলে ঘটনার সূত্রপাত একটি টেলিভিশন ফুটেজকে ঘিরে। যেখানে পুতিনের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলাকে দেখা যায় ব্লেজারের পকেটে মেডেল পুরে রাখতে। এই ফুটেজই এরপর স্লো-মোশন করে ছড়িয়ে দেয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুতিনকে অনেকে চোরও বলতে থাকেন। কারণ, পকেটে মেডেল পোরার সময় ওই মহিলাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কানে কানে কিছু বলতে দেখা গিয়েছিল।

ঘটনার সময় প্রবল বৃষ্টি পড়ছিল লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে বৃষ্টির মধ্যেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্রাবার, ফিফার প্রেসিডেন্ট ইনফান্তেনিও-সহ বহু ফিফা অফিসিয়াল ও স্পনসর সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিরা। সবাই বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গিয়েছিলেন।

এহেন পরিস্থিতির মধ্যে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের কানে কানে ফিফার মহিলা অফিসিয়ালের কথা নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতে থাকেন। এই মন্তব্যেই পুতিনের বিরুদ্ধে কেউ কেউ মেডেল চুরির অপবাদ আনে।

যদিও, ফিফা সূত্রে খবর, পুরস্কার বিতরণে অতিরিক্তি মেডেল সব সময়ই রাখা হয়। রোববার ফাইনাল ম্যাচ শেষে মেডেল বিতরণ শেষ হতে চললেও বহু মেডেলে বাইরে বেরিয়ে ছিল। এই অতিরিক্ত মেডেল যাতে নিরাপদে থাকে সেই কারণে ওই মহিলা তা পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন।

ফিফা সূত্রে খবর, বহু সময় অনেক দলই ২২ জনের স্কোয়াডের বাইরেও মেডেলের সুপারিশ করে। কারণ, তারা এমন কিছু জনকে মেডেল দিতে চায় যারা বিশ্বকাপে হয়তো ২২ জনের স্কোয়াডে ছিলেন না কিন্তু বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দলের সদস্য ছিলেন। ফিফার নিয়মেও এমন সদস্যদের মেডেল দেয়ার চল রয়েছে। সেই কারণে সবসময়ই অতিরিক্ত মেডেলের ব্যবস্থা রাখা হয় ফিফার পক্ষ থেকে। যদিও এই টেলিভিশন ফুটেজ নিয়ে ফিফা এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এখানে দেখুন ওই ভিডিও

 

আরো পড়ুন :

ফ্রান্সে বিশ্বকাপ জয় উদযাপনের সময় গোলযোগ

প্যারিস যেন এখন উত্তাল নগরী। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ উদযাপনের সময় গোলযোগ করায় ১০২ জনকে গ্রেফতার করেছে প্যারিস পুলিশ। শান্তিপূর্ণই ছিল উদযাপন কিন্তু কিছু সময় পর তা অনেক বিস্ফোরণমুখী এবং উত্তাল হয়ে ওঠে এবং এর ফলেই প্যারিস পুলিশকে সামনে আসতে হয়। মাইকেল ডেলফিউ প্যারিস পুলিশ প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয় যেন তাদের দেশের সব জনগণের। আইফেল টাওয়ারে বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য প্যারিসের জনগণ যেন সেখানে বৃষ্টি কিংবা বন্যার ঢলের মতো উপস্থিত হয়েছিল।

১০ হাজারের চেয়ে বেশি লোক জড়ো হয় রাশিয়ায় নিজের দেশ এবং ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করার জন্য। বিশাল কয়েকটি বড় পর্দায় আইফেল টাওয়ারের সামনে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল প্যারিস নগর কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ বিশ্বকাপ জয় ২০ বছর পর আরো একটি শিরোপা এনে দিয়েছে ফ্রান্সকে। পুরো ফ্রান্স যেন একটি উৎসব করার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং সেসময়ই দিদিয়ের দেশ্যমের ফ্রান্স ফুটবল দলের বিশ্বকাপ জয়। এই উৎসবে প্যারিসের এক নাগরিক গফ্রে হেমসিক, যিনি ফ্রান্সের জাতীয় পোশাক পরে এসেছেন এবং তাতে ১৯ বছর বয়স্ক তারকা কিলিয়েন এমবাপ্পের জার্সি নম্বর ১০ অঙ্কিত ছিল। প্যারিসের উপশহর বন্ডি থেকে রাজধানীর কেন্দ্রে এসেছেন তিনি ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার ফাইনাল খেলা দেখার জন্য। ফ্রেডারিক পোকুয়েট নামে আরো একজন জানান, ‘আমরা বেশ খুশি।এই শিরোপা ফিরে পেতে আমাদের বিশ বছর লেগেছে। এটি আমাদের জাতীয় গর্ব। বিশ্বকাপ ফুটবলের এই শিরোপা আমাদের সবাইকে একত্র করবে।

ওমর জি নামের একজন বলেন, ‘এই জয় প্রমাণ করেছে ফ্রান্সের জনগণ সুসংহতভাবে কাজ করে এবং বিশ্বকাপের শিরোপা তারই ফসল।’ প্যারিসের বেশ কয়েকটি মেট্রো রেল স্টেশনের নতুন নামকরণ করা হয়েছে বিশ্বকাপের সাফল্যকে উদযাপনের জন্য। যেমন- দা রেগি অটোনোমি ট্রান্সপোর্ট প্যারিসেন্ট (আরএটিপি) যে কয়েকটি স্টেশনের নতুন নামকরণ করেছে সেগুলো হলো- নট্রে ডাম ডেস চাম্পস এখন পরিণত হয়েছে নট্রে দিদিয়ের দেশ্যম হিসেবে। ফাইনালে একটি ভুল করলেও গোলকিপার ও ফ্রান্স দলের অধিনায়ক হুগো লরিসের নামে একটি মেট্রোরেল স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে। এভাবে পুরো ফ্রান্স দলের তারকাদের নামেই প্যারিসের বেশ কয়েকটি মেট্রো রেল স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্যারিসের জনগণ ও কর্তৃপক্ষের এই উৎসব যখন গণ্ডগোল বাধানোর পর্যায়ে গিয়েছে তখন পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে এবং ১০২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

প্যারিস পুলিশ প্রধান ডেলফিউ বলেন, ‘যখন মিছিল ও উৎসব বা জমায়েতের ভেতর থেকে গণ্ডগোল হওয়ার পূর্বাভাস আমরা পেয়েছি তখন কিছু লোককে আমাদের গ্রেফতার করতে হয়েছে।’ পুরো ফ্রান্সে ২৯২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা উৎসব করার সময় গণ্ডগোল বাধিয়েছি। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা জানিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement