০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দেখুন সালাহর সাথে কী করেছিলেন রামোস (ভিডিও)

সালাহ-রামোস
খেলার সৌন্দর্য ততক্ষণ পর্যন্ত থাকে, যতক্ষণ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে জেতার ইচ্ছে না থাকে - নয়া দিগন্ত

বিউটিফুল গেম বলে পরিচিতি ফুটবল আর বিউটিফুল রইল না। খেলার সৌন্দর্য ততক্ষণ পর্যন্ত থাকে, যতক্ষণ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে জেতার ইচ্ছে না থাকে। কিন্তু কালকের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি সব সৌন্দর্য হারায় যখন সালাহকে ঘায়েল করে মাঠ ছাড়া করা হয়। অথচ যিনি এই কাণ্ড ঘটান সেই রিয়াল মাদ্রিদের সার্জিও রামোসকে হলুদ কার্ড পর্যন্ত দেখালেন না রেফারি। যন্ত্রণা নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন সালাহ।

 

রামোসের সেই কাণ্ড কিন্তু ক্যামেরায় ঠিকই ধরা পড়েছে। সালাহর হাত তিনি কীভাবে বগলদাবা করে মাটিতে ফেলেছেন সেটা কিন্তু স্পষ্ট ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

 

দেখুন সেই ঘটনার ভিডিও-

 

মোনাজাত করে মাঠে ঢুকেছিলেন সালাহ

ফাইনাল শুরুর আগেই উত্তেজনার তুঙ্গে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। কারণ বর্তমান ফুটবলবিশ্ব কাঁপানো মিসরের রাজপুত্র মোহাম্মদ সালাহর প্রতিপক্ষ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। যার এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৮ গোলের রেকর্ড ভেঙেছিলেন সালাহ। এক মৌসুমে সালাহর গোল ৪৪টি। তাই ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে আগ্রহ ছিল ফুটবলবিশ্বের। মাঠে নামার আগে চাপে ছিলেন রোনালদো, সেটা তার মুখ দেখে যে কেউ অনুমান করতে পারবে। অপরদিকে নির্ভার ছিলেন সালাহ। স্বভাবজাত হাসি মুখেই ছিলেন তিনি। ধর্মপ্রাণ সালাহ মুসলিম-অমুসলিম সবারই ছিলেন চোখেরমণি। মাঠে নেমে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পর রেফারির বাশি বাজার আগ মুহূর্তে মহান আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তিনি।

হাইভোল্টেজ ম্যাচটিতে সবার আগ্রহ ছিলে রোনালদো আর সালাহর দ্বৈরথ দেখার। তাই গ্যালারিতে উপচে পড়া দর্শক। ম্যাচ শুরুর আগে রোনালদো অনেক চাপে ছিলেন, প্রতিনিয়ত তার সাথে তুলনা করা হচ্ছিল সালাহর। ম্যাচের দিন কয়েক আগে তিনি বলেই দিয়েছিলেন, সালাহর সাথে তার তুলনা কী করে হয়? 'সালাহ বাম পায়ে খেলেন আর তিনি ডান পায়ে। তিনি লম্বা আর সালাহ খাটো।'

লিভারপুল বস ক্লপও বার বার রোনালদোর সাথে সালাহর তুলনা করতে নিষেধ করেছিলেন। কারণ সালাহর মাত্র শুরু আর রোনালদো অনেক অভিজ্ঞ।

ম্যাচ শুরুর আগে তাই উত্তাপ আঁচ করা ছিল সহজ। সেই ম্যাচে মাঠে নামার আগে সাবলীল ছিলেন সালাহ। হাসি লেগেই ছিল মুখে। ম্যাচ শুরুর আগে মহান আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে মোনাজাত করেন সালাহ। তারপর খেলা শুরু করেন তিনি। রিয়ালের জালে একের পর এক আক্রমণ চালায় সালাহরা। কিছু সময়ের জন্য বল বাগে পেলেও তা ছিনিয়ে নেয় লিভারপুল। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল।

কিন্তু ম্যাচটি সৌন্দর্য হারায় যখন রিয়ালের রামোস সালাহকে আটকাতে গিয়ে হাত ধরে হেঁচকা টান দেন। ভারসাম্য রাখতে না পেরে পড়ে যান সালাহ। মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ার সময় বাম হাতটি পড়ে যায় তার গায়ের নিচে। ফলে ব্যাথায় ককিয়ে উঠেন তিনি। হয়ত তখনই বুঝতে পারেন, কী হয়েছে তার। এই কাণ্ডের পর রামোস নিজেকে নির্দোষ বলে সরে পড়েন। রেফারিও তাকে ছেড়ে দেন।

গ্যালারি শুদ্ধ সালাহ ভক্তরা তখন মুখে হাত দিয়ে বসে পড়েন। এরপরও মাঠের বাইরে নেয়া হলেও ফিরে আসেন সালাহ। আশায় বুক বাধে ভক্তরা। কিন্তু এক মিনিটও টিকতে পারেননি তিনি। ব্যাথায় লুটিয়ে পড়েন। এরপর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন সালাহ। শেষ হয় তার শিরোপা জয়ের লড়াই, শেষ হয় লিভারপুলেরও। বিউটিফুল গেম তার সৌন্দর্য হারায়...।

 

টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় রিয়াল মাদ্রিদের

গ্যারেথ বেলের দুই গোলে - যার মধ্যে একটি চোখ ধাঁধানো ওভারহেড কিক ছিল -রিয়াল মাদ্রিদ লিভারপুলকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ঘাড়ে চোট পাওয়ায় মাঠ ছাড়েন লিভারপুলের মিসরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ।

লিভারপুল গোলরক্ষক লরিস কারিয়ুসের হাস্যকর এক ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে করিম বেনজেমা গোল করলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় রিয়াল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে গোল করে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান সাদিও মানে।

তবে বদলি হিসেবে মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই রিয়ালকে আবার এগিয়ে নেন গ্যারেথ বেল। তার ওই গোলকে মনে করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোলগুলোর একটি।

লিভারপুলের ষষ্ঠ ইয়োরোপিয়ান কাপের স্বপ্নভঙ্গ হয় গোলরক্ষক কারিয়ুসের আরেকটি ভুলে। গ্যারেথ বেলের দূরপাল্লার শট বুঝতে ভুল করে নিজের জালেই বল জড়ান এই জার্মান গোলরক্ষক।

শেষপর্যন্ত ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে জয়ে ১৩তম ইয়োরোপিয়ান কাপ শিরোপা নিশ্চিত করে রেয়াল মাদ্রিদ।


৪২ বছরে প্রথমবার - পরিসংখ্যান

বায়ার্ন মিউনিখের (১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬) পর প্রথম ক্লাব হিসেবে টানা তিনবার ইয়োরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলো রেয়াল মাদ্রিদ।

তিনটি ইয়োরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা তৃতীয় ম্যানেজার জিনেদিন জিদান (বব পেইসলি ও কার্লো অ্যানচেলত্তির পর)। তবে টানা তিনবার এই শিরোপা জেতা একমাত্র ম্যানেজার তিনি।

ম্যানেজার হিসেবে খেলা সাতটি মেজর ফাইনালের ছয়টিতেই হেরেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ।

বদলি হিসেবে নেমে ইয়োরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে দুই গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় গ্যারেথ বেল।

বদলি হিসেবে নামার দুই মিনিট দুই সেকেন্ড পর গ্যারেথ বেল গোল করেন যা ১৯৯৭ এ য়ুভেন্টাসের বিপক্ষে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের লার্স রিকেনের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে কোনো বদলি খেলোয়াড়ের দ্রুততম গোল।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ/ইয়োরোপিয়ান কাপ ফাইনালে দুই গোল করা দ্বিতীয় বৃটিশ খেলোয়াড় গ্যারেথ বেল। ১৯৬৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ববি চার্লটন দুই গোল করেছিলেন।

লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের প্রথম দল যাদের তিনজন খেলোয়াড় এক মৌসুমে ১০টি বা তার বেশি গোল করেছে (সালাহ ১০, ফিরমিনো ১০, মানে ১০)


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলগামী সকল জাহাজে হামলার হুমকি হাউছিদের কংগ্রেস সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ৫০ আসন পাবে না : মোদি প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের সরিয়েছে পুলিশ চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরাইলের গফরগাঁওয়ে লরিচাকায় পিষ্ট হয়ে নারী নিহত রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের মিরসরাইয়ে তীব্র তাপদাহে মরছে মাছ : লোকসানের মুখে চাষিরা মহেশখালীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে জয়নাল

সকল