১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


কিশোর গ্যাংয়ের ৫ জন আটক

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ফয়সালকে

-


রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় একই সাথে কিশোর গ্যাং গ্রুপ চালিয়েছে তারা। কিন্তু বিভিন্ন দ্বন্দ্বের কারণে ভাগ হয়ে যায় তারা। তৈরি হয় দু’টি আলাদা গ্রুপ। যার একটি গালকাটা রাব্বি ও অপরটি পেপার সানী গ্রুপ। শুরু হয় অধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতা। দখলবাজি, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কাজের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু হয় একের পর এক সংঘর্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ মার্চ গালকাটা রাব্বি গ্রুপের সাথে পেপার সানী গ্রুপের তীব্র সংঘর্ষ হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে গালকাটা রাব্বি গ্রুপ পরদিন ১৬ মার্চ পেপার সানী গ্রুপের ফয়সাল ও তার বন্ধু রানাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এরপর সেই ঘটনা উদযাপনের জন্য পার্টিও করে তারা। কিন্তু যখন খবর পায় ফয়সালের মৃত্যু হয়েছে তখনই আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ফয়সাল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাব।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কাওরান বাজারের নিজস্ব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় পল্লবীতে কিছু দুর্বৃত্ত ফয়সাল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার বাবা।
২২ মার্চ রাতে র‌্যাব-৪ ও র‌্যাব-১১ গাজীপুর এবং নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের হোতা মো: আকাশ ওরফে টান আকাশ, ফজলে রাব্বি ওরফে হিটার রাব্বি ওরফে গালকাটা রাব্বি (২০), মো: ইমরান (২৫), রাসেল কাজী (২৪) এবং নয়নকে (২৫) আটক করে। রাব্বি ও আকাশের দেয়া তথ্য মতে, ঘটনাস্থল সংলগ্ন একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও একটি চাপাতি।

আটকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তারা মূলত পেপার সানী গ্রুপের সদস্য। গালকাটা রাব্বি ওই গ্রুপে হিটম্যান হিসেবে কাজ করে। চার-পাঁচ মাস আগে মাদক কেনাবেচা সংক্রান্ত ভাগাভাগি, সিনিয়র-জুনিয়র, অন্তঃকোন্দলের কারণে পেপার সানী গ্রুপ থেকে বের হয়ে গালকাটা রাব্বির নেতৃত্বে ‘গালকাটা রাব্বি গ্রুপ’ তৈরি করে। এর পর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি হতো বলে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, প্রায় এক মাস আগে পেপার সানী গ্রুপের সদস্যরা গালকাটা রাব্বিকে মুরাপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ক্যাম্পের মহিলারা তাকে উদ্ধার করে।
এরপর গত ১৫ মার্চ গালকাটা রাব্বি গ্রুপের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। পেপার সানী গ্রুপের সদস্যদের উচিত শিক্ষার দেয়ার পরিকল্পনা করে। তারই অংশ হিসেবে ঘটনার পেপার সানী গ্রুপের সদস্যরা গালকাটা রাব্বি গ্রুপের একজন সদস্যের বোনকে ইভটিজিং করে। এতে ক্ষিপ্ত হয় রাব্বি। তারা জানতে পারে ইফটিজাররা একটি ইফতার পাটিতে গেছে। নিহত ফয়সাল ও তার বন্ধু রানা ইফতার শেষে বাসায় ফিরতে থাকলে গ্রেফতারকৃতরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। অপর দিকে হামলাকারীরা একটি বাসার ছাদে পার্টি শুরু করে। কিন্তু ফয়সালকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ফয়সালকে মৃত ঘোষণা করে এবং রানাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ফয়সালের মৃত্যুর খবর পেয়ে হত্যাকারীরা পার্টি থেকে আত্মগোপনে চলে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাব্বী গ্রুপে ১৪-১৫ জন সদস্য রয়েছে। যাদের বেশির ভাগই আগে পেপার সানীর সদস্য ছিল। পরে তারা নতুন গ্রুপে যোগ দেয়। এখন পর্যন্ত তাদের ইন্ধনদাতা বা মদতদাতার তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচন-পরবর্তী রাজনীতি ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা খাদ্য মূল্যস্ফীতির চক্রে নিম্ন আয়ের মানুষ স্বর্ণের অলঙ্কার বিক্রিতে মজুরি ৬ শতাংশ ফ্রান্সে কারা কর্মকর্তাদের হত্যা করে প্রিজনভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই নিউ কালেডোনিয়ায় সহিংসতার পর কারফিউ, বন্ধ বিমানবন্দর থাইল্যান্ডের কারাগারে অনশনে থাকা তরুণীর মৃত্যু ভারতীয় পত্রিকার রিজার্ভ চুরির খবর মিথ্যা : বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যঙ্গোক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট, যুবলীগ নেতা গ্রেফতার রাফা ক্রসিং বন্ধের জন্য মিসরকে দায়ী করল ইসরাইল দেশের মাটি ধরে রাখাই এখন অনেক কঠিন : কিয়েভ কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ

সকল