০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দেশের ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে

আইনের সংশোধনী এ অধিবেশনেই পাস করার দাবি
-


দেশের ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন ৩ কোটি ৭৮ লাখ ধূমপায়ীর কারণে। আইনের দুর্বলতার কারণে জনঘনত্ব স্থানে ও গণপরিবহনে ধূমপায়ীরা অবাধে ধূমপান করে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীর ক্ষতি করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে। বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে আছে। এ কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) খসড়া আইনটির সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে। জাতীয় সংসদে সংশোধিত খসড়াটি পাস হলেই তা আইনে পরিণত হবে। সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে আইনটি পাস করার দাবি জানিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ) ডা: শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুস সোবহান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: আব্দুল্লাহ আল নোমান, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের এন্টি-টোব্যাকো সেলের সদস্য সচিব ডা: মো: শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে ডা. মাহবুবুস সোবহান বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগ যেমন- হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও শাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটছে। আর এই অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির কারণ মূলত ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। তাই এই অকাল মৃত্যু ঠেকাতে আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন এবং পাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে ছয়টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। আইনের ধারা ৪ ও ৭ বিলুপ্ত করার দাবি জানানো হয়। অর্থাৎ সব জন ঘনত্ব স্থান ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাতদ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পেটের দায়ে কাজে আসছি থাইল্যান্ড সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান, প্রশংসা ট্রাম্পের আজ আধাবেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে মিয়ানমার : যুদ্ধ আর জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে যোগদান এড়াতে শরণার্থীদের সীমান্ত পাড়ি যেভাবে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়েছিল মালদ্বীপ ভারত থেকে চীনমুখী হওয়ার গতি বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেয়া হবে খালেদা জিয়াকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ, ব্যাপক গ্রেফতার নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বছর বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করবে আওয়ামী লীগ

সকল