১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


দ্বিতীয় দিনের বৈঠকও সিদ্ধান্তহীন

হাফ ভাড়ার বৈঠকে বাস মালিকদের বিভিন্ন দাবি

-

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাসে হাফ ভাড়া নেয়ার ব্যাপারে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বিআরটিএ ও বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। গতকাল শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বনানীর বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া ঠিক করা নিয়ে অংশীজনদের সাথে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। বৈঠকে বর্তমান প্রেক্ষপটে বাস মালিকরা হাফ নিতে রাজি নন। তবে হাফ ভাড়া নিতে তারা সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছেন। ওই দাবি পূরণ হলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে কোনো আপত্তি থাকবে না। তাদের দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্যাহ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ভাড়া কমানোর বিষয়ে বিআরটিএ ও পরিবহন নেতারা যথেষ্ট আন্তরিক। তবে মালিকদের যে ক্ষতি হবে তা কিভাবে পূরণ করা হবে? তাদের ক্ষতির জন্য কত ভর্তুকি দেয়া হবে এসব সিদ্ধান্তের জন্য সরকার ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব এসেছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে আবার বৈঠক হবে। যত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যায় তার জন্য চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, বৈঠকে ঢাকায় কত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কতজন ছাত্র, তাদের মধ্যে কতজন বাসে উঠে এসব বিষয়ে তালিকা চেয়েছেন পরিবহন নেতারা। আমরা এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করব। তারা তথ্য দেবেন।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে চাই। এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আন্তরিকও। কিন্তু আগে অনেকগুলো বিষয়ে সমাধান করতে হবে। ঢাকার শতকরা ৮০ শতাংশের মতো বাস মালিক গরিব। তারা যদি হাফ ভাড়া নেয় সরকার কিভাবে তাদের এ ক্ষতি পোষাবে আগে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এসব নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সেগুলোর সমাধানের মাধ্যমে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কারা শিক্ষার্থী আর কারা শিক্ষার্থী নয় এসবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর মধ্যে তিনি শিক্ষার্থীকে অবরোধ ভাঙচুর বাদ দিয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। নাম প্রকাশ না করে একজন বাস মালিক বলেন, তিনি হাফ ভাড়া নেয়ার বিরোধী নন। বরং তিনি নিজেও কলেজ জীবনে হাফ ভাড়া দিয়েছেন। তার সন্তানরাও দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি খুবই কঠিন। বাসের প্রত্যেকটা যন্ত্রাংশের দাম বাড়ানো হয়েছে। টায়ার থেকে শুরু করে ব্যাটারির পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় হাফ ভাড়া নিলে বাস মালিকদের পথে বসতে হবে। তাই সরকার যদি তাদের ব্যাপারে কিছুটা সদয় হয় তাহলে হাফ ভাড়া নিতে তাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। বৈঠকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার মো: আশফাকসহ বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়াই প্রথম বৈঠক শেষ হয়।


আরো সংবাদ



premium cement