২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান না হলে অস্থিতিশীল হবে মিয়ানমার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

-

রোহিঙ্গা সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার এশিয়ায় সংলাপ ও আস্থাবর্ধক পদক্ষেপবিষয়ক সম্মেলনে (সিআইসিএ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ ২৭টি দেশ সিআইসিএ’র সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, মালয়েশিয়াসহ আটটি দেশ এর পর্যবেক্ষক। কাজাখস্তানে এর সদর দফতর অবস্থিত।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ড. মোমেন বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাচ্ছে না। প্রত্যাবাসন নিয়ে রোহিঙ্গাদের আস্থার সঙ্কট কাটাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান এবং চীন, রাশিয়া, ভারত ও অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রকে নিয়ে মিয়ানমার রাখাইনে বেসামরিক পর্যবেক্ষক সুবিধা দিতে পারে। বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে রাখাইনের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখিয়ে আনতে পারে মিয়ানমার। এ ছাড়া মিয়ানমারের কর্মকর্তারা কক্সবাজার এসে রোহিঙ্গাদের সাথে আলাপ করে তাদের আস্থার সঙ্কট কাটানোর উদ্যোগ নিতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের দেয়া এ সব প্রস্তাবের একটিতেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত ঝুঁকি সত্ত্বেও বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে। এই সঙ্কট আমরা কূটনৈতিক পন্থায় গঠনমূলকভাবে সমাধান করতে চাই। এ জন্য মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ তিনটি চুক্তি সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের পর মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়ার কথা; কিন্তু আজ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়নি। এখন উল্টো রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র সঙ্ঘাতের কারণে অস্থিতিশীলতা চলছে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্রুত সমাধান না হলে উগ্রবাদের উত্থান হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এর ফলে এশিয়া অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। এটি শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিয়ে আমাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করতে পারে।
ড. মোমেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেতে পারে, যেখানে সব দেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারে এবং মানুষ মুক্ত ও উন্নত জীবন যাপন করতে পারে। আমরা একাত্মতা ও সহযোগিতার চেতনা নিয়ে কঠিন সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারি, সিআইসিএ’র এজেন্ডা এগিয়ে নিতে পারি, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সংলাপ জোরদার করতে পারি এবং পারস্পরিক বিশ্বাস শক্তিশালী করতে পারি। এর মাধ্যমেই এশিয়ায় টেকসই শান্তি ও অভিন্ন অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি

সকল