০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দেশে ফিরে কাদের শেখ হাসিনার কাছে ঋণের বোঝা আরো বেড়ে গেল

-

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের প্রিয় নেত্রী পরম মমতায় আমার দেখভাল করেছেন। একজন মা সন্তানের জন্য যা করেন, শেখ হাসিনা আমার জন্য তাই করেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। তারা কাছে আমার ঋণের বোঝা আরো বেড়ে গেল।’
গতকাল বুধবার বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা কুরআন শরীফ পড়ে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার কাছেও আমার কৃতজ্ঞতা। একজন রাজনীতিকের সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা। আমি আমার কাজ ও ব্যবহারের মাধ্যমে তা অর্জন করতে পেরেছি। মানুষের ভালোবাসায় এবং দোয়ায় আজ দুই মাস ১১ দিন পর আমি দেশে ফিরতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবনটাই হলো স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা। আমরা এটা শিখেছি বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে। শেখ হাসিনার কাছ থেকে। নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন। যদিও সে সময় আমি আমার মধ্যে ছিলাম না। আমি শুনেছি শেখ হাসিনা হাসপাতালে আমাকে নাম ধরে ডেকেছিলেন। আমি নাকি কেবল তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম।’
নতুন উদ্যমে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি না থাকার পরও নেতাকর্মীরা ইউনিটি ধরে রেখে যেভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন তা আমায় অভিভূত করেছে। আমরা এভাবেই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব।’
এর আগে বিকেল ৫টা ৫২ মিনিটে কাদেরকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৮৫ নম্বর ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে। এর আগে থেকেই বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে জড়ো হন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ সময় তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান তারা। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে বিমানের ফ্লাইটটি।
এ দিকে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে গণভবনে ছুটে যান দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সন্ধ্যা ৭টায় তিনি গণভবনে প্রবেশ করেন বলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা মো: আবু নাছের নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৩ মার্চ ভোরে ঢাকার নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ওবায়দুল কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এরপর ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: দেবী শেঠীর পরামর্শে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ২০ মার্চ ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। সুস্থ হওয়ার পর গত ৫ এপ্রিল মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান ওবায়দুল কাদের। তবে ওই হাসপাতালের কাছেই ভাড়া বাসায় থেকে যান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল