২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শস্য পরিবহণের নামে অস্ত্র আমদানি নয়, শর্ত মস্কোর

শস্য পরিবহণের নামে অস্ত্র আমদানি নয়, শর্ত মস্কোর - ছবি : সংগৃহীত

কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য পরিবহণের জন্য আবার ইউক্রেনকে ছাড়পত্র দিতে পারে রাশিয়া। বুধবার মস্কোর তরফে এই বার্তা দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শস্য পরিবহণের উছিলায় জাহাজে করে অস্ত্র চালান হবে না, সে বিষয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি পেলে ফের চুক্তি মানা হবে।

ক্রিমিয়ার সংযোগরক্ষাকারী সেতুতে হামলার পর একতরফাভাবে শস্য পরিবহণ চুক্তি ভেঙে দেয়ার চার দিনের মাথাতেই ভ্লাদিমির পুতিন সরকারের এই বার্তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

ইউক্রেনের হয়ে সরাসরি যুদ্ধে না নামলেও আড়াল থেকে তার হয়ে লড়ছে ইউরোপ-আমেরিকা- এ অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে রাশিয়া। গত সপ্তাহে মস্কো সরাসরি হামলায় মদতের জন্য অভিযোগের আঙুল তোলে ব্রিটেনের দিকে। মস্কোর দাবি, ক্রিমিয়ায় ড্রোন হামলা করানোর জন্য ইউক্রেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ব্রিটেন। হামলার তদারকিও করেছে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। এই হামলার ঘটনাকে সামনে রেখে চুক্তি ভেঙে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য পরিবহণ বন্ধ করে রাশিয়া।

একটি বিবৃতি দিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফতর থেকে জানানো হয়, কৃষ্ণসাগরে পণ্যবাহী জাহাজের সারি, যাত্রীবাহী জাহাজ নিশানা করে কিভ সরকার সন্ত্রাস হামলা চালিয়েছে। ৯টি মানববিহীন আকাশযান ও সাতটি সামুদ্রিক ড্রোন হামলা করেছিল তারা। এই সন্ত্রাস হামলার প্রস্তুতি, ৭৩তম মেরিন স্পেশ্যাল অপারেশনস সেন্টারের প্রশিক্ষণ চলেছে ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে। মস্কোর আরও অভিযোগ, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বল্টিক সাগরে হামলা করে নর্ড স্ট্রিম-১ এবং নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাসের পাইপলাইন উড়িয়ে দেয়ার পিছনে রয়েছে ব্রিটেন। তাদের দাবি, এই হামলার ছক কষায় জড়িত ছিল ব্রিটিশ নৌবাহিনী।

এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জানিয়েছিল, সমুদ্রপথে শস্য রফতানি বন্ধ করতে সবটাই রাশিয়ার বানানো গল্প। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছিলেন, ‘শস্য করিডর বন্ধ করতে এ বার মস্কো মিথ্যা অভিযোগ আনতে শুরু করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই খাদ্যশস্যের উপর নির্ভরশীল।’

বুধবার মস্কোর ঘোষণা কিভকে স্বস্তি দেবে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা ও কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement