বেলারুশে বিক্ষোভকারীদের নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভাকে মধ্য মিনস্ক থেকে অজ্ঞাত কিছু লোক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে এ খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম টুট ডট বাই।
গণমাধ্যমটি বলছে, মুখোশ পরা কিছু লোক তাকে আটক করে এবং একটি মিনি ভ্যানে করে নিয়ে যায়।
রোববার সরকারবিরোধী বড় ধরনের বিক্ষোভের পর সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৬৩৩ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এর কিছু সময় পরই কোলেসনিকোভাকে তুলে নেয়ার খবর এলো। আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের পর এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এদিকে, রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, মিনস্ক পুলিশ কোলেসনিকোভাকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
আগস্টের ৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দীর্ঘদিনের শাসক আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর জয়কে যে তিনজন নারীনেত্রী চ্যালেঞ্জ করেছেন কোলেসনিকোভা হচ্ছেন দেশটিতে থাকা তাদের সর্বশেষ জন।
লৌহমানব লুকাশেঙ্কুর সমালোচক কোলেসনিকোভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে দেশটিতে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। লুকাশেঙ্কো নির্বাচনে কারচুপি করে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বলে অভিযোগ করে দেশটিতে বিপুল সংখ্যক জনতা কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে লুকাশেঙ্কো সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
নির্বাচনের আগে কোলেসনিকোভা ও ভেরোনিকা সেপকালো নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী শ্বেতলানা টিকানোভসকিয়ার টিম ম্যাট হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের পর টিকানোভসকিয়া ও সেপকালো দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। টিকানোভসকিয়া বর্তমানে লিথুয়ানিয়ায় আছেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী আরেকজন নেতা ওলাগা কোভালকোভা শনিবার দেশ ছেড়ে পোল্যান্ড চলে যান। তার অভিযোগ, বেলারুশে থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
পোল্যান্ড থেকে সেপকালো আলজাজিরা বলেন, বেলারুশে তাদের লোকজন এখনো জানতে পারেনি যে, কোলেসনিকোভা কোথায় আছেন।
লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের ক্ষমতায় আছেন। ব্যাপক বিক্ষোভের পরও রাশিয়ার সমর্থন পাওয়া লুকাশেঙ্কু নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
সূত্র : আলজাজিরা