রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক আলেক্সেই নাভালনিকে বৃহস্পতিবার সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে মস্কো আসার সময় বিমানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওমস্কে জরুরি অবতরণ করে বিমান। সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। কোমায় রয়েছেন নাভালনি। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
নাভালনির সহযোগীদের দাবি, তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এভাবে বিরোধী নেতার প্রাণের ঝুঁকি বাড়ানো হচ্ছে।
যদিও পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানালেন, তার শরীরে বিষ নেই। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানিতে পাঠাতে সম্মত হয়নি প্রশাসন।
৪৪ বছরের নাভালনি বরাবরই পুতিনের কড়া সমালোচক। প্রেসিডেন্ট এবং প্রশাসনিক কর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই আইনজীবী।
গোটা বিষয়টায় নাভালনি সমর্থকরা প্রেসিডেন্ট পুতিনের দিকেই আঙুল তুলেছেন। দাবি করেছেন, নাভালনিকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। বিমানবন্দরে চা পান করেছিলেন। তাতেই ছিল বিষ। যদিও গতকালই ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেশনিকভ জানিয়ে দেন, এসবই অনুমান। সত্যি নয়।
এদিন ওমস্কের ওই হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক আনাটোলি কালিনিচেনকো একই সুরে জানালেন, নাভালনির রক্তে বা মূত্রে বিষ মেলেনি। তবে তাকে এখন জার্মানিতে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। কারণ তার অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এই অবস্থায় রোগীকে সরানো ঠিক হবে না।
নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশের অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য নাভালনির অন্য দেশে যাওয়া বন্ধ করে আসলে সময় নষ্ট করছে রুশ প্রশাসন। যাতে নাভালনির শরীর থেকে বিষের অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়। এক ঘণ্টা দেরি মানে তার জীবনের ঝুঁকি আরো একটু বেড়ে যাওয়া।
লাভালনির সহযোগীরা আগেই জানিয়েছিলেন, ওমস্কের ওই হাসপাতালে পরিষেবা তত ভালো নয়। সেখানকার চিকিৎসকই নাভালনিকে ইউরোপের কোনো হাসপাতালে পাঠানোর জন্য ক্রেমলিনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
তারপরেই জার্মানির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নাভালনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠায়। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল। যদিও রুশ প্রশাসন সম্মতি জানায়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও নাভালনির ওপর হামলা হয়েছে। ২০১৭ সালে তার মুখে রাসায়নিক ছোড়া হয়। গত বছর বেআইনিভাবে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য জেলে যেতে হয় তাকে। সেখানে ভয়ঙ্কর র্যাশ হয় তার। মুখ ফুলে যায়। তখনো সন্দেহ করা হয়েছিল, বিষ খাওয়ানো হয়েছে তাকে। আজকাল