০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শ্রমিকদের ফ্যাক্টরিতে ডেকে তোপের মুখে অনন্ত

-

অনন্ত জলিলের পরিচয়টা বেশির ভাগ মানুষের কাছে অভিনেতা-প্রযোজক হলেও তিনি মূলত পোশাক ব্যবসায়ী। তার দৈনিক কার্যতালিকায় গার্মেন্ট নিয়ে কর্মকাণ্ডের সংখ্যাই বেশি। ঈদের ছুটিতে ১০ দিন পোশাক কারখানা বন্ধ থাকার পর ১ আগস্ট থেকে পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু ছুটিতে যাওয়া শ্রমিকরা লকডাউনের মধ্যে কাজে ফেরা নিয়ে যখন অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন তখন অনন্ত জলিল কর্মীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজে ফিরতে বলেন। সিআইপিপ্রাপ্ত এই ব্যবসায়ী সম্প্রতি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজের গার্মেন্টকর্মীদের উদ্দেশে দিয়েছেন এক জরুরি নোটিশ। আর এতেই তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
কী ছিল সেই নোটিশে?
করোনাভাইরাস ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে চিত্রনায়ক তার শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের রোববার (গতকাল) থেকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা বেশ কঠিন। ঢাকায় ফেরার ছিল না কোনো যানবাহন। তাই বেশির ভাগ নেটিজেনের ভাষ্যÑ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গ্রাম থেকে কিভাবে আসবে শ্রমিকরা? যদিও শনিবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস ও লঞ্চ চলবে। তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকামুখী কর্মীদের অসহায়ভাবে ফেরার চিত্র দেখে হতভম্ব হয়েছেন অনেকে। অনন্তর ওই স্ট্যাটাসে মাহবুব নামে একজন লিখেছেন, ‘শিল্পকারখানা খুলবে ১ তারিখে আর লকডাউন ৫ তারিখ পর্যন্ত। তবে গ্রামে আটকাপড়া শ্রমিকরা কি স্পেসশিপে ঢাকায় পৌঁছবে?’ ফাতেমা নামের আরেকজনের ভাষ্য, ‘সবসময় বলেন আপনি শ্রমিকবান্ধবÑ এই তার নমুনা? আপনার সিনেমায় যেমন ক্ষমতা থাকে শ্রমিকদের তো তা নেই, একটিবার চিন্তা করলেন না, গণপরিবহন না চললে কিভাবে তারা ফিরবে? শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলুন, নয়তো গণপরিবহন চালুর ব্যবস্থা করুন।’ ফাহিম মোর্শেদ ইভান নামের অপরজনের লেখা, ‘স্যার, কারখানা ‘দ্য ফেক্টরি’তে আসার জন্য গাড়ি ‘দ্য কার’ দেবেন না?’ শামীম ওসমান নামের ক্ষুব্ধ একজন বলেছেন, ‘স্যার, বেয়াদবি মাফ করবেন। আপনারা ফ্যাক্টরি খোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে দিনের পর দিন দৌড়াদৌড়ি করেছেন। অথচ শ্রমিকদের যাতায়াত ব্যবস্থার ব্যাপারে কোনো ধরনের সুপারিশ করেননি। আপনারা নোটিশ দিচ্ছেন কেউ যেন অনুপস্থিত না থাকে।’ গাজী মোমিনা লিখেছেন, ‘অনন্ত সাহেব, সারা দেশে লকডাউন আপনার কি জানা নাই? লকডাউন উপেক্ষা করে শ্রমিকরা কী করে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকবে আপনার কি সেই সাধারণ জ্ঞানটুকুও নাই? শ্রমিকদের কি আপনার মানুষ বলে মনে হয় না?


আরো সংবাদ



premium cement