২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন : প্রতিমন্ত্রী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। - ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণ হ্রাসে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফেব্রুয়ারি মাসের যেকোনো দিন খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেব আমরা। এ বিষয়ে সরকারের নির্দশনা মেনে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দশনা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করব।’

প্রতিমন্ত্রী আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে (বিদ্যালয়) খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।’

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে এবং একটি গাইডলাইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে,’ বলেন জাকির হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যালয় খুলে দিয়ে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে পালা করে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হবে। এ ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই-এক দিন পঞ্চম শ্রেণী এবং এভাবে পর্যায়ক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান হবে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাস নেয়া হবে সপ্তাহে এক দিন করে।

বেসরকারি ও কিন্ডার গার্টেন স্কুল খোলার বিষয়ে কী নির্দশনা থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ও কিন্ডার গার্টেন স্কুল নিয়ে কিছু জানি না। কিন্ডার গার্টেন আমাদের কাছ থেকে কোনো নিবন্ধন নেয় না। তাই তাদের বিষয় কোনো দায়িত্ব আমাদের নেই।’

করোনার টিকা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সকল শিক্ষক ও কর্মচারীকে টিকার আওতায় আনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আর যেহেতু ১৮ বছরে নিচেদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্তে নেই সেহেতু শিক্ষার্থীরা তা পাবে না।’

গত ১৫ জানুয়ারি সরকারি এক সিদ্ধান্তে মহামারি করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এর আগে, ভাইরাসের বিস্তার রোধে কয়েক ধাপে বাড়তে থাকা ছুটি ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে দ্বিতীয় পর্বে ৮৮ আসনে ভোট খালেদা জিয়ার সাথে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা আটক জীবন্ত মানুষকে গণকবর আগ্রাসন ও যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃষ্টির জন্য সারা দেশে ইসতিস্কার নামাজ আদায় আরো ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট তাপপ্রবাহ মে পর্যন্ত গড়াবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকার ভূমিকা চায় যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎ গ্যাসের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন শিল্পে ঋণ বিতরণ করা যাবে না

সকল