২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


করোনায় স্থবির চাকরির বাজার

করোনায় স্থবির চাকরির বাজার - ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে চাকরির বাজার। করোনা আতঙ্কে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষাও। ফলে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। নিয়োগ পরীক্ষা কবে চালু হবে সেটি এখনো অনিশ্চিত। সোনার হরিণ নামের কাক্সিক্ষত সেই চাকরিতে প্রার্থীরা কবে প্রবেশ করতে পারবেন, তা নিয়েও কাটছে না সংশয়। যদিও পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসপি) বলছে- করোনার প্রভাব কিছুটা কমে গেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের ভর্তি পরীক্ষা চালু করলে তারাও নিয়োগ পরীক্ষা চালু করবে।

এ দিকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স কিংবা মাস্টার্স ফাইনাল পর্বের পরীক্ষা করোনার কারণে বন্ধ থাকায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরিতে প্রবেশের যোগ্যতাই অর্জন করতে পারছেন না। সেশনজটের কারণে বয়সও চলে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীর। আবার অনেকে দীর্ঘ দিন কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও করোনায় কাজ হারিয়েছেন তারা। করোনায় নতুন কাজের সুযোগও কমে যাওয়ায় অনেকে কর্মস্থল ও চাকরি হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

চাকরিপ্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে গেছে সব কিছু। দীর্ঘ ৯-১০ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাও। এ ছাড়া পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষাও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। ৪০তম ও ৪১তম বিসিএসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সম্প্রতি ৪২ ও ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে চারটি বিসিএসসহ পিএসসির অধীন নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী।

যদিও পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, এসব পরীক্ষা নেয়ার জন্য করোনা পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষার দিকে নজর রাখছে পিএসসি কর্তৃপক্ষ। এ পরীক্ষা হলে পিএসসিও বিসিএসসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া শিগগিরই করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে তারা মনে করছেন। এ পরীক্ষা শুরু হলে নিয়োগ পরীক্ষার জট দূর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মো: সোহরাব হোসাইন গতকাল শনিবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, শিগগিরই হয়তো করোনার ভ্যাকসিন চলে আসবে। শীতটা কমলে করোনার প্রকোপও কমবে। তখন আমরা সব বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করব। ৪০তম বিসিএসের খাতা দেখা শেষপর্যায়ে। এখন তৃতীয় পরীক্ষকের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা বাকি আছে। প্রয়োজন না হলে আমরা তৃতীয় পরীক্ষক পর্যন্ত যাবো না।

অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনার্স কিংবা মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষাও করোনার কারণে আটকে গেছে। অনেক শিক্ষার্থীর বয়সও চলে যাচ্ছে; কিন্তু তারা সার্টিফিকেটের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পারছেন না। ইতোমধ্যে সীমিত পরিসরে কিছু কিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও সেগুলোতে আবেদনও তারা করতে পারছেন না। অনেক শিক্ষার্থী জানান, করোনা না থাকলে চলতি বছর স্নাতকোত্তর শেষ করে অনেকেই ভালো চাকরির সুযোগ হয়তো পেয়ে যেতেন; কিন্তু করোনায় তাদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। তারা আরো বলছেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়ায় যথাসময়ে ফল হাতে না পেয়ে অনেক চাকরির আবেদনই করতে পারছেন না ।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী গতকাল এই প্রতিবেদককে জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়া লাখ লাখ শিক্ষার্থী এখন চাকরির আবেদনের সুযোগ হারাচ্ছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে অনার্স কিংবা মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা না হওয়ায় চাকরিসহ নানা খাতে পিছিয়ে পড়ছেন তারা। অন্য দিকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষাবর্ষ শেষ করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে উচ্চশিক্ষায় চরম বৈষম্যের এবং চাকরির বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ না থাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

অবশ্য শিক্ষা খাতের সাথে জড়িতরা বলছেন, করোনায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ থাকলেও চলছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ আবাসিক হলে থাকেন। করোনা সংক্রমণ সীমিত রাখার লক্ষ্যে এগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে; কিন্তু সেই অবস্থা নেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেসরকারিগুলোকে ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাবর্ষ সম্পন্ন করতে পারলেও স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা তা পারছেন না। এমন প্রেক্ষাপটে চাকরির নতুন বিজ্ঞপ্তিগুলোতে আবেদন করতে পারছেন প্রাইভেটের শিক্ষার্থী-গ্র্যাজুয়েটরা। কিন্তু ওই একই বর্ষের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, করোনার কারণে চাকরির বাজারে কিছুটা স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। একই সাথে প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বৈষম্যেরও সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়গুলো একাডেমিক কাউন্সিল ঠিক করে। ফলে পরীক্ষা না হওয়ার কারণে কোনো শিক্ষার্থী যদি চাকরির আবেদন করতে না পারেন তাহলে সেই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই নিতে হবে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০-এর তথ্য অনুসারে সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ হয়েছে ২০১৭ সালে। সেই জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ছয় কোটি ৩৫ লাখ। আর তাদের মধ্যে কাজ করেন ছয় কোটি আট লাখ নারী-পুরুষ। দুই সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ দিলেই পাওয়া যায় বেকারের সংখ্যা। আর সেটি হলো ২৭ লাখ। আর শতাংশ হিসাবে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

বাস্তবতার সাথে না মিললেও বেকারত্বের হারের এই সরকারি পরিসংখ্যানই ব্যবহার করে যেতে হবে। কোভিড-১৯-এর কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত। বহু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। মার্চের শেষ দিক থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে যায়। এরপর অর্থনীতি আবার সচল হলেও অনেকেই কাজ ফিরে পাননি। তারপরেও সরকারি হিসাবে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখই থাকবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আবার যখন শ্রমশক্তি জরিপ করবে, তখনই জানা যাবে নতুন তথ্য। তবে অর্থনীতিবিদদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, বেকারত্বের এই হার কম করে হলেও ৫ গুণ হবে। যোগ্যতার তুলনায় অনেক কম বেতনে চাকরি বা আংশিক কর্মসংস্থানের আধা বেকারের হিসাব যুক্ত করা হলে এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী, কাজপ্রত্যাশী হওয়া সত্ত্বেও সপ্তাহে এক দিন এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজের সুযোগ না পেলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হবে। সাধারণত জরিপ করার সময়ের আগের সপ্তাহের যেকোনো সময়ে এক ঘণ্টা কাজ করলেই তাকে বেকার বলা যাবে না।
কত দিন বেকার থাকলে একজনকে দীর্ঘমেয়াদি বেকার বলা যাবে, এর কোনো সংজ্ঞা বাংলাদেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ২৭ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় বেকারদের দীর্ঘমেয়াদি বেকার বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এক বছরের বেশি সময়কে দীর্ঘমেয়াদি বেকার ধরা হয়।

সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করলে বেকার না বলার সংজ্ঞাটা উন্নত দেশের জন্য যতটা প্রযোজ্য, অন্যদের ক্ষেত্রে তা নয়। কারণ, উন্নত দেশে বেকারভাতা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মতো দেশে জীবনধারণের জন্য কোনো-না-কোনো কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়। যদিও সেসব শোভন কাজ নয়, মজুরিও কম। ফলে জীবনধারণের ন্যূনতম আয় না করেও কর্মে নিয়োজিত বলে ধরে নেয়া হয়। আবার বাংলাদেশে প্রায় ৮৫ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেতনভাতা নির্ধারণের কোনো নিয়ম নেই।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বাংলাদেশের জন্য একটি মানদণ্ড মাঝে মধ্যে অনুসরণ করে। সেটি হচ্ছে, যারা সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পান না, তাদের ছদ্ম বেকার বলা হয়। দেশে এমন মানুষ প্রায় ৬৬ লাখ, যারা পছন্দমতো কাজ পান না। ফলে তাদের বড় অংশই টিউশনি, রাইড শেয়ারিং বা বিক্রয়কর্মীসহ নানা ধরনের খণ্ডকালীন কাজ করতে বাধ্য হন।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে যত লোক চাকরি বা কাজ করেন, তাদের মধ্যে ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ আত্মনিয়োজিত বা ব্যক্তিগত অংশীদারত্ব অথবা ব্যবসাবাণিজ্য উদ্যোগের ভিত্তিতে কর্মসংস্থান হয়েছেন। গৃহস্থালি পর্যায়ে কাজ করেন ২০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত কিংবা স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কাজ করেন মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। আর এনজিওতে আছেন দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
আইএলও বলছে, করোনা মহামারীর কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে তরুণ প্রজন্ম। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশই বেকার হয়েছেন। করোনার কারণে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার দ্বিগুণ হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠীভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯-এর কারণে দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (এমএসএমই) কর্মরত ৩৭ শতাংশ মানুষ বেকার হয়েছেন। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ২০ শতাংশ আসে এই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান থেকে। প্রায় দুই কোটি নারী-পুরুষ এই খাতে কাজ করেন। তবে শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতে, করোনার কারণে পোশাক খাতের এক লাখের বেশি কর্মী কাজ হারিয়েছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) বলছে, এই সংখ্যা আরো বেশি, তিন লাখের মতো।

আইএলও বলছে, করোনা মহামারীর কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে তরুণ প্রজন্ম। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশই বেকার হয়েছেন। করোনার কারণে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার দ্বিগুণ হয়েছে। আইএলওর হিসাবে, সবাই যদি পূর্ণকালীন কাজ করতেন (সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা), তাহলে বাংলাদেশে করোনায় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার তরুণ-তরুণী কাজ হারিয়েছেন।

গত সেপ্টেম্বরে বিবিএস এক টেলিফোন জরিপ করে দেখেছে, করোনা শুরুর তিন-চার মাসে ব্যাপকভাবে বেকারত্ব বেড়েছিল। যেমন মার্চ মাসের তুলনায় জুলাই মাসে বেকারত্ব ১০ গুণ বেড়েছিল। গত মার্চ মাসে বেকারত্বের হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ, জুলাইয়ে তা বেড়ে হয় ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। তবে বিবিএসের মতে, সেপ্টেম্বরে এসে বেকারত্বের হার নেমে এসেছে সেই ৪ শতাংশে, অর্থাৎ ২৭ লাখ।

আবার সরকারি হিসাবে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন প্রায় দুই লাখ প্রবাসী। তারা ফিরতে পারছেন না। সব প্রস্তুতি শেষ করেও যেতে পারেননি এক লাখ নতুন কর্মী। এ ছাড়া এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ফিরে এসেছেন আরো এক লাখ কর্মী। সব মিলিয়ে কাজ নেই চার লাখ প্রবাসী কর্মীর।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজীপুরে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় দুই শিশুর মৃত্যু বিশিষ্ট মুহাদ্দিস আল্লামা জুলকারনাইনের ইন্তেকাল ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে ‘মিথ্যাচার’ : যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা উপজেলা নির্বাচন : কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় আরিয়ান মুন্নার নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু বেনাপোলে সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে ৪৭০ কেজি চিংড়ি আটক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, লোডশেডিং রেকর্ড ৩২০০ মেগাওয়াট যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করুন : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে চান তামিম-মুশফিক

সকল