০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সেশনজট এড়াতে অটো পাস দাবি অভিভাবকদের

সেশনজট এড়াতে অটোপাস দাবি অভিভাবকদের - ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনার এই সঙ্কটে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজট এড়াতে অটোপাসের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তাদের যুক্তি হচ্ছে, শিক্ষাপুঞ্জির নির্ধারিত রুটির অনুযায়ী আগামী বছরের এপ্রিলের শুরু থেকেই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সেই হিসেবে উচ্চমাধ্যমিকের প্রথমবর্ষ থেকে বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা করোনার কারণে সেই পরীক্ষা কোনো প্রতিষ্ঠানই নিতে পারেনি। অন্য দিকে গত এপ্রিলের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা করোনার কারণে স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে এই পরীক্ষা নেয়ারও কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা ক্রমেই বাড়ছে। 

অভিভাবকদের দাবি, উচ্চমাধ্যমিকের পরবর্তী পরীক্ষা যথাসময়ে যাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে সেইজন্য কলেজের প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে অটোপাসের কোনো বিকল্প নেই। যদিও বিভিন্ন কলেজ অঘোষিতভাবে অটোপাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন দিয়ে দিয়েছে। তবে সরকারের এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে অন্যান্য কলেজগুলো এই ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারে। 

দেশের বিভিন্ন কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে অটো-পাস দেয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। নয়া দিগন্তকে অনেক অভিভাবক জানান সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবন নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন তারা। একদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অন্য দিকে আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়েও এখনই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 
কলেজের বার্ষিক পরীক্ষায় অটোপাসের আনুষ্ঠানিক দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। গতকাল সোমবার ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু নয়া দিগন্তকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। যার কারণে কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে ওঠার পরীক্ষা আয়োজন সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই অটোপাস না দিলে শিক্ষার্থীদের একটি বছর নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে রাজধানীর কিছু কলেজ অটোপাস দিয়ে তাদের শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত করেছেন। ক্লাস উন্নীত করতে এক দেশে একাধিক আইন হতে পারে না। কোনো প্রতিষ্ঠান চাইলে অটোপাস দিতে পারবে, আর অন্যরা দিতে পারবে না এমনটা হতে পারে না। এ অবস্থায় বাকি প্রতিষ্ঠান অটোপাস না দিলে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে। তাই অটোপাসের বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজধানীর নটরডেম কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, উত্তরা কমার্স কলেজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীতের জন্য পরীক্ষা আয়োজন করতে না পারায় অটোপাস দিয়ে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করেছে। একইসাথে দ্বাদশ শ্রেণীতে ক্লাস শুরু করতে তাদের ভর্তি ফি ও বেতন পরিশোধ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement