চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ওই এলাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলায় ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়।
অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসরণ করেই এই আইনটি করা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খসড়া আইনে ৫৫টি ধারা রয়েছে। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারা চ্যান্সেলর, ১০-১১ ধারা ভাইস চ্যান্সেলর, ১২ ধারা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ১৩ ধারা কোষাধ্যক্ষ, ১৮-২০ ধারা সিন্ডিকেট, ২১-২২ ধারা এ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, ২৯-৩০ ধারা অর্থ কমিটি সম্পর্কিত। এছাড়া আইনের আলোকে ২১টি অনুচ্ছেদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সংবিধির খসড়া আইনের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর ইনিশিয়েটিভ। এই কনসেপ্টটা ওনার মাথা থেকে এসেছে যে- প্রত্যন্ত এলাকাতেও বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।
খসড়া আইনের ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণপূর্বক গত ২২ আগস্ট ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে খসড়া আইনটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়। এরপর লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে এর ভেটিং গ্রহণ করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ নিয়ে বর্তমানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও প্রকৌশল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০টি। ১৯টি কার্যক্রমে রয়েছে। আর চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪২টি। এগুলোর মধ্যে সাধারণ ১৭টি, কৃষি ও ভেটেরিনারি ৬টি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৫টি।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রতি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মধ্যে বর্তমানে ৩২টি জেলা বাকি রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও, মন্ত্রিসভা ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০’এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে কার্যকর সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে এ নীতিটি বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কৃষি শিক্ষা, গবেষণা, বিপণন ও সম্প্রসারণ সেবার সাথে সম্পৃক্ত অংশীজনসহ কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে চাহিদাভিত্তিক গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং গবেষণালব্ধ ফলাফল মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০ প্রণীত হয়েছে। (সূত্র: বাসস)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা