শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক রাজীব সরকারের ওপর হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ মোস্তাককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেটের জালালাবাদ থানার এসআই চন্দ্র শেখর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসআই চন্দ্র শেখর জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোস্তাককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ছাত্রলীগ নেতা রাজীব সরকারের ওপর হামলার ঘটনায় গত ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামী ছিলেন মোস্তাক।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগ নেতা রাজীব সরকারের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারী নেতাকর্মীরা। এসময় তার মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়। হামলায় গুরুতর আহত রাজীবের মাথা ও পিঠে প্রায় ৭০টি সেলাই দিতে হয় বলে জানান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের নামোল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়।
আরো পড়ুন : বৌভাত অনুষ্ঠান থেকে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টা : ছাত্রলীগ নেতা আটক
কুমিল্লা সংবাদদাতা, (২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)
কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি বৌভাত অনুষ্ঠান থেকে নববধূকে তুলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (সদ্য বিলুপ্ত কমিটি) ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ১৮ দিন পর সোমবার গভীর রাতে দেবিদ্বার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুড়িচং উপজেলার মাধবপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গতকাল দুপুরে তাকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি জেলার দেবিদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (১৯) সাথে একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো: ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানের (২৫) বিয়ে হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বরের বাড়িতে বৌভাতের আয়োজন করা হয়। ওই দিন দুপুরে জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইসমাইল ও তার সহযোগী সাকিবের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল দেবিদ্বার উপজেলার সাহারপাড় গ্রামে বৌভাত অনুষ্ঠান থেকে কনে ফাতেমা আক্তারকে তুলে নিতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়।
স্থানীয় জনতা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইলের সহযোগী জাফর হোসেন, সজিব পাল, কাউছার আহম্মেদ, আলী হোসেন, মেহেদী হাসান, মো: আলম ও নাইদুল ইসলামকে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় কনের বাবা দেবিদ্বার থানায় মামলা করেন। এদিকে ওই ঘটনার পরদিন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোহরাব হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেন পলাতক ছিল। সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা