২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
খোয়াইর দখল-দূষণ

বন্ধ হয় না কেন?

-

একটি সহযোগী দৈনিকের চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, বেআইনি দখল আর দূষণে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে পুরাতন নদী খোয়াই। অস্তিত্ব সঙ্কটে থাকা নদীটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। দীর্ঘদিন ধরে তারা নদীটিকে দখলমুক্ত করে- এতে প্রাণ ফেরানোর দাবি জানিয়ে এলেও উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন। ১৯৭৮-৭৯ সালে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে খনন করে উপজেলার খোয়াই নদীকে শহরের বাইরে স্থানান্তর করা হয়। দখল-দূষণের কবলে ‘মৃত’ নদী খোয়াই। নদীতে আর নেই প্রবাহ। নদীর জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে ওঠায় কমছে প্রস্থ। খোয়াই নদী দখল করে ঘরবাড়ি ও দোকান করছে প্রভাবশালীরা। দখলদারদের তালিকায় আছে নেতা, কর্মকর্তা, আইনজীবীসহ জনপ্রতিনিধিরাও যে কারণে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সও। স্থানীয় বাসিন্দা সামছুল মিয়া বলেন, নদীতে মাছ ধরাসহ নানা আয়োজন হতো, এখন তা নেই। দখল-দূষণে হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য। চুনারুঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ জানান, নদীর বুকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন নদীর শ্রেণী পরিবর্তন করে এই স্থাপনা করেছে। বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রাখতে প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নদী-নালা, খাল-বিল না থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য থাকবে না। দখলদারদের কবল থেকে পুরনো খোয়াই নদী রক্ষার দাবি জানান। চুনারুঘাটের মেয়র সাইফুল ইসলাম জানান, শিগগিরই নদীটি উদ্ধার করে দু’পাশে ওয়াকওয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, অবৈধ দখলদারদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। ‘শিগগিরই’ দখলকৃত জমি উদ্ধার করা হবে।
কিন্তু কথা হলো, নির্বিচারে জবরদখল আর দূষণ খোয়াই নদীকে এত দিনে হত্যা করতে পারল কী করে? সরকার এত দিন কোথায় ছিল? অন্যায় প্রভাব লোকেরা কী করে খাটায়? প্রশাসন ওদের দমালে এ অবস্থা হতো না।


আরো সংবাদ



premium cement