০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্কুলভবন ধসের আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

‘আগে জান, পরে জ্ঞান’

-

নয়া দিগন্তের মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতার পাঠানো একটি সচিত্র সংবাদ ছাপানো হয়েছে যার শিরোনাম ‘ভবন ধসের আতঙ্ক নিয়ে স্কুলে আসে শিক্ষার্থীরা।’ শুরুতেই লেখা হয়েছে, মঠবাড়িয়ার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে প্রায় দেড় শ’ শিক্ষার্থী। দীর্ঘ ছুটির পর স্কুল খোলার আনন্দ ম্লান করে দিয়েছে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন। ছাদ এবং দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
এর পরের অনুচ্ছেদে জানানো হয়, গত সপ্তাহে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিদর্শন করে বিদ্যালয় ভবন ‘খুব দ্রুত’ সংস্কারের ‘আশ্বাস’ দেন। তিনি বিকল্প স্থানে ক্লাস চালু রাখার কথা বলেছেন। এ কর্মকর্তার আশ্বাসে বিশ্বাস রাখা গেলে ভালো হবে বলে আমরা আশা করছি।
জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব মিঠাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ১৯৯৫ সালে এলজিইডি চার লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে নির্মাণ করেছিল। এরপর শুরুতেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তার কাজ নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে এতে ফল হয়নি। এর পর থেকে গত সিকি শতাব্দী ধরে সেখানেই স্কুলের পাঠদান চলছে। এ দিকে দীর্ঘকাল ভবনটি সংস্কার না করায় একেবারে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এবার অব্যাহত বৃষ্টিপাতে এর অবস্থা আরো নাজুক হয়ে গেছে। সরেজমিন দেখা গেছে, ভবনের বেহাল দশা। মাঠ ভরাট না করায় হাঁটুপানি ও কাদা ভেঙে স্কুলে যেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। স্কুলের দু’টি জীর্ণ রুমে দ্বিতীয় ও পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস নেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সবাইকে সারাক্ষণ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। হঠাৎ বৃষ্টি আরম্ভ হয়ে গেলে তাদের ভীতি ও উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। অনেক আগেই উপরের ও পাশের প্লাস্টার খসে পড়েছে। ফলে রড বেরিয়ে এসেছে। দরজা-জানালার মরিচা ধরা গ্রিল পড়ে রয়েছে নিচে। একজন শিক্ষার্থী বলেছে, ‘কখন না ছাদ ভেঙে পড়ে, সে ভয়ে থাকতে হয় আমাদের। স্যারেরা বসতে বলেন এখানেই। অতএব, আর কী করা?’ অনেক ছাত্রছাত্রী আকাশে মেঘ দেখলেই ক্লাস না করে ভয়ে বাড়ি চলে যায়।
এ বিদ্যালয়টির জমিদানকারী ও পরিচালনা সংশ্লিষ্ট একজন জানান, এ সমস্যার বিষয়ে স্থানীয় এমপি-সমেত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও কাজ হয়নি। প্রধান শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন, স্কুলভবন ঝুঁকিপূর্ণ। তার ভাষায়, ‘তিন বছরের বেশি সময় এখানে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আছি। তখন থেকেই এর অবস্থা জরাজীর্ণ। যথাসময়ে উপরে জানালেও নতুন ভবন তৈরি হয়নি কিংবা এ ভবনের করা হয়নি সংস্কার।’ এ দিকে জীর্ণ ভবনে প্রায় সময়ই চুরির কথাও তিনি জানান। ইউএনও জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসিক সমন্বয় সভায় তুললে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে কেন এটা আজো যথানিয়মে উত্থাপিত হয়নি, তা জানা যায়নি।
যেখানে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ শ্লোগান ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়ে আসছে দীর্ঘকাল এবং সরকারও এ জন্য প্রচুর অর্থ ঢালছে, সে ক্ষেত্রে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার প্রাইমারি স্কুলটি এভাবে পড়ে থাকতে পারে না।
আমাদের সবার প্রত্যাশা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবার জীবনকে নিরাপদ করে স্কুলটিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলগামী সকল জাহাজে হামলার হুমকি হাউছিদের কংগ্রেস সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ৫০ আসন পাবে না : মোদি প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের সরিয়েছে পুলিশ চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ইসরাইলের গফরগাঁওয়ে লরিচাকায় পিষ্ট হয়ে নারী নিহত রোহিঙ্গা গণহত্যা : মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদী বাংলাদেশ-গাম্বিয়া দোয়ারাবাজারে মইন হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারের আহ্বান এডিবি প্রেসিডেন্টের মিরসরাইয়ে তীব্র তাপদাহে মরছে মাছ : লোকসানের মুখে চাষিরা মহেশখালীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে জয়নাল

সকল