০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রবীণ সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীরের ইন্তেকাল

সাংবাদিকজগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি

-

সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের অন্যতম নেতা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, প্রবীণ সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস ও লিভারের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বছর তিনেক আগে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। প্রায় পাঁচ দশকের সুদীর্ঘ পেশাজীবনে আমানুল্লাহ কবীর আমার দেশ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক, দৈনিক দিনকালের সম্পাদক, বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, ডেইলি স্টার ও নিউ নেশনের বার্তা সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিকদের রুটি রুজির আন্দোলনে পেশাজীবীদের সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাংবাদিকদের পরীক্ষিত এই নেতা এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন সোচ্চার।
তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তার মৃত্যুতে দেশের গোটা সাংবাদিকসমাজ শোকাহত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য আমানুল্লাহ কবীরের ইন্তেকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন গভীর শোক প্রকাশ করেন। তা ছাড়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব এম আবদুল্লাহ এবং ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম শোক প্রকাশ করেন। এ ছাড়া, তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে।
তার ইন্তেকালে দেশের সাংবাদিকজগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। নয়া দিগন্তের সাথে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি একসময় নয়া দিগন্তের নিয়মিত কলাম লেখক ছিলেন। তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নয়া দিগন্তকে পাঠকপ্রিয় করে তুলতে সহায়তা করে। তার মৃত্যুতে আমরা আমাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ কলাম লেখককে হারালাম। তার ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং একই সাথে শোকাহত পরিবারের প্রতি জানাই সমবেদনা।


আরো সংবাদ



premium cement