২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ক্যান্সারের ওষুধ উদ্ভাবনের গবেষণা

ভারতের মুসলিম মেয়ের কৃতিত্ব

-

ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চালিয়ে কেমোথেরাপির নতুন ওষুধ আবিষ্কার করলেন কলকাতার দরিদ্র সংখ্যালঘু পরিবারের তরুণী ফিনাজ খান। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, এই রসায়নবিদের ওই উদ্ভাবনের ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
জানা যায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান ফিনাজ খানরা তিন বোন এবং প্রত্যেকেই নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও লেখাপড়া অব্যাহত রেখেছেন। ফিনাজ আমেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স করার পর এখন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএড কোর্স করছেন। ছোট দুই বোন বিজ্ঞানে স্নাতকপর্যায়ে অধ্যয়নরত। নিজ ধর্মীয় ঐতিহ্য মোতাবেক খুব শালীন পোশাক পরিহিতা ফিনাজ এখন ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির টিকা আবিষ্কার করার লক্ষ্যে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। তারা এতই গরিব যে বাড়িতে পড়াশোনার চেয়ার-টেবিল পর্যন্ত নেই। অভাব-অনটন দুস্থ পরিবারটির নিয়ত সঙ্গী। বাবা হকার হিসেবে ঘুরে ঘুরে সাবান বিক্রি করেন। মা ভীষণ অসুস্থ হলেও অর্থাভাবে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এত দুঃখকষ্টের মধ্যেও ফিনাজ খান শৈশব থেকে মেধার পরিচয় দিয়ে আসছেন। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম এই গবেষকের মডেল। স্কুলজীবনে একবার তার ভাষণ শুনেই ফিনাজের আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল; চেষ্টা করলে এমন কিছু করতে পারার ব্যাপারে, যা মানুষের কাজে আসবে।
ফিনাজ খান জানান, ক্যান্সারের রোগীকে যে কেমোথেরাপি দেয়া হয়, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দেহের কোষগুলো মরে যায় এবং চুল উঠে যায়। তদুপরি, এই চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে গবেষণা শুরু করি। গবেষণায় দেখা গেল, একটি মাত্র ওষুধেই কেমোথেরাপি সম্ভব এবং এটা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। তা ছাড়া খরচ পড়বে অনেক কম এবং এর ব্যবহার সত্ত্বেও মানবদেহের কোষ মরবে না। বর্তমানে ক্যান্সার চিকিৎসার কেমোথেরাপিতে দুই ধরনের ওষুধ দিতে হয়। ফিনাজের মূল্যবান গবেষণা শুধু স্বদেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাড়া ফেলেছে। লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি ইতোমধ্যে এর স্বীকৃতি দিয়েছে।
এটা সর্বজনবিদিত যে, বৈজ্ঞানিক গবেষণা-অধ্যয়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার কষ্টসাধ্য, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। বিশেষত ভারতের মতো দেশে একজন দরিদ্র মুসলমান মেয়ের পক্ষে তা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। সেখানে একে তো শ্রেণীবৈষম্য প্রবল, তদুপরি মুসলিম জনগোষ্ঠী দীর্ঘকাল ধরে নানাভাবে শোষিত, বঞ্চিত ও নিগৃহীত। সাম্প্রতিককালে ভারতে উগ্র সাম্প্রদায়িক মহলের তাণ্ডবে তাদের দুরবস্থা ও দুর্নীতি এখন চরমে। এমন প্রেক্ষাপটে সমাজের অতীব পশ্চাৎপদ ও অবহেলিত অংশের কোনো সদস্য উচ্চশিক্ষা অর্জন করাই কঠিন, গবেষণা ও উদ্বাবন তো দূরের কথা।
আমরা কলকাতার বেলগাছিয়ার হতদরিদ্র সংখ্যালঘু পরিবারের কন্যা ফিনাজ খানকে তার গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনের জন্য অভিনন্দন জানাই। তার গবেষণার আরদ্ধ কাজও সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হবে বলে সবার আশা। এ ক্ষেত্রে ভারতের সরকার, সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়ার প্রত্যাশা করছে সবাই।


আরো সংবাদ



premium cement
মঙ্গলবারও বাড়বে তাপমাত্রা, অসহনীয় হবে গরম ইতিহাসের উষ্ণতম এপ্রিল দেখল মিয়ানমার আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরাইলি কর্মকর্তারা নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ বাইপাস সার্জারির জন্য কৃত্রিম রক্তনালী তৈরির চেষ্টা হামাসকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইলি প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান যুক্তরাজ্যের প্রথমবারের মতো সিরি-এ ম্যাচে ছিলেন সব নারী রেফারি ফেনীতে তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে শিবিরের পানি-স্যালাইন বিতরণ ২৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশে যাদের ইলমে দীন অর্জনের সৌভাগ্য হয়েছে, তারাই প্রকৃত ধনী

সকল