২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

- ছবি : নয়া দিগন্ত

জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের শুল্ক কর এবং ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

যেসব পণ্যের শুল্ক কর ও ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম : বাজেটে আরো ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াত দিতে পারে সরকার। অ্যান্টি-ক্যানসার এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিস ওষুধের কাঁচামাল আমদানিকে শুল্ক মওকুফের আওতায় আনা হবে।

কৃষি যন্ত্রপাতি : বাজেটে শুল্ক ছাড়ের কারণে কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতি তৈরির সরঞ্জামের দাম।

ই-কমার্সের খরচ : বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিক্রয়ের ওপর ৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক), ডেলিভারি চার্জের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট, বাড়ি ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করতে হয়। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি মেনে নিয়ে বিক্রির ওপরে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হতে পারে। এর ফলে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো ভ্যাট অব্যাহতি পেলে কমবে ডেলিভারি চার্জ।

বিদেশী পোশাক : আসন্ন বাজেটে অভিজাত বিদেশি কাপড় আমদানির ওপর শুল্ক কমানো বা অব্যাহতি দেয়া হতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এসব পণ্যে শুল্ক কর ২০-২৫ কমিয়ে পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এর ফলে বিলাসবহুল কাপড়ের শুল্ক যদি কমানো হয়, তাহলে কম দামে পাওয়া যাবে এসব পোশাক।

স্যানিটারি ন্যাপকিন : একইসাথে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন, ডায়াপার ও টয়লেট্রিজের কাঁচামাল আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদও একবছর বাড়তে পারে। এসব কিছুই জনস্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য অপরিহার্য।

এনবিআরের সূত্র বলছে, স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের আরো বিকাশে সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে সরকার ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত স্যানিটারি প্যাড এবং ডায়াপারের কাঁচামালের ক্ষেত্রে ভ্যাট ছাড় অব্যাহত রাখতে পারে।

সাবান ও শ্যাম্পু : সাবান ও শ্যাম্পুর কাঁচামাল লাবসা ও এসএলইস-এর উৎপাদন পর্যায়ে বর্তমানের হ্রাসকৃত পাঁচ শতাংশ ভ্যাট সুবিধা আরও একবছর বাড়ানো হতে পারে।

এলইডি বাল্ব : দেশীয় বৈদ্যুতিক এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেটের দাম কমতে পারে। দেশীয় উৎপাদনকে আরও উৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক ২০-২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আসন্ন বাজেটে ওই শুল্ক ১০-৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব আসছে বাজেটে। সে হিসাবে দেশীয় এলইডি বাল্ব ও সুইস-সকেট মিলতে পারে তুলনামূলক কম দামে।

মাংস ও মাংসজাত পণ্য : এবারের বাজেটে মাংস ও মাংসজাত পণ্যকে নিত্যপণ্যের ক্যাটাগরিতে আনার প্রস্তাব আসতে পারে। এর উদ্দেশ্য নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাওয়া পণ্যটির দাম কমিয়ে আনা। এ পণ্যের উৎসে অগ্রিম আয়কর ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করা হতে পারে। অগ্রিম আয়কর কমালে মাংসের দাম কমতে পারে।

মিষ্টি : দাম কমার তালিকায় আরো রয়েছে মিষ্টি। কারণ মিষ্টির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে সাত শতাংশ করা হচ্ছে। এর সাথে মিষ্টি জাতীয় আরো কিছু প্যাকেটজাত পণ্যেও ভ্যাট কমানো হচ্ছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (০১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। এছাড়া এটি আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট।


আরো সংবাদ



premium cement