০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে ১০ দিন সময় বাড়ালো সরকার

- প্রতীকী ছবি

বেসরকারিভাবে চাল আমদানির সময়সীমা ফের বাড়িয়েছে সরকার। চাল আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া যেসব আমদানিকারক গত ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলেছেন তাদের সব চাল আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে বাজারজাত করতে হবে।

সোমবার চাল আমদানির জন্য সরকারের বেঁধে দেয়া শেষ দিন ছিল। ১০ দিনের সময় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেসব আমদানিকারক ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খুলেছেন কিন্তু চাল বাজারজাত করতে পারেননি তাদের এলসি করা সম্পূর্ণ চাল বাজারজাতকরণের জন্য আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি খোলার কত দিনের মধ্যে চাল বাজারজাত করতে হবে তা বলে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পরিমাণের জন্য এই সময়ও ভিন্ন। এখন চাল বাজারজাতকরণের শেষ সময় সবার জন্যই ২৫ মার্চ করে দেয়া হলো।

খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।

খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানি জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এই অনুমতির চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়, বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাত দিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ই-মেইলে জানাতে হবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা এক থেকে পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি চাল বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পাঁচ হাজার টনের চেয়ে বেশি চাল চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে বাকি ৫০ শতাংশ চাল এনে বাজারজাত করতে হবে বলে শর্ত দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেশির ভাগ চালই এখনো বাজারজাত করতে পারেননি আমদানিকারকরা। বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খুলতে পারেননি, ইতোমধ্যে তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement