০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি : নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ - সংগৃহীত

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অপরিহার্য।

এ বিষয়ে আলোচনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারত ও নেপালের কাছে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

শনিবার রাজধানীর বারিধারায় নেপাল দূতাবাসে 'প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৪' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হলে বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি রপ্তানিও করা যাবে।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের অঞ্চলের সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগানো যেতে পারে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একসাথে কাজ করা অপরিহার্য।’

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ প্রথম ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করেছে। এখন ভারত থেকে প্রায় ২৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারা এইচভিডিসি উপকেন্দ্রের অব্যবহৃত ক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।

‘নেপালের জাতীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে দাম নির্ধারণ প্রায় সম্পূর্ণ।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল ও ভারতের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ নিয়েই নেপালের সানকোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বিপিডিবি।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। এগিয়ে যাওয়ার জন্য দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।’

জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট নেপালি প্রকৌশলীদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিতে পারে।

সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহায়তা করতে পারে।

নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের উচিত বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরো উদার ও ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুটি দেশ পরিবেশবান্ধব পানিবিদ্যুৎ নিয়ে বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাট্টা।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement