২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে দিল্লির কাছে জানতে চাইবে ঢাকা

পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে দিল্লির কাছে জানতে চাইবে ঢাকা - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ তিস্তার প্রবাহ হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে ভারতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টনের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ দিন ধরে অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন পররাষ্ট্র দফতরে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং জেআরসি (যৌথ নদী কমিশন)-এর সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে একটি পেপার তৈরি করব। (তারপর) আমরা বিষয়টি সম্পর্কে ভারতীয় পক্ষের কাছে জানতে চাইব।’

তিনি আরো বলেন, ঢাকা ‘সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি’ বিশ্লেষণ করছে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য পররাষ্ট্র দফতর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও জেআরসির সাথে যোগাযোগ করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় সেচের উদ্দেশ্যে তিস্তার পানি অপসারণের জন্য দুটি নতুন খাল খননের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবরে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ মন্তব্য এসেছে।

ভারতের টেলিগ্রাফ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তার পানি ব্যবহার করে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে যা ভাটির দিকে বাংলাদেশে পানি প্রবাহকে প্রভাবিত করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পরিকল্পিত তিনটি দার্জিলিং প্রকল্পের মধ্যে দুটিতে সেচের জন্য লভ্য তিস্তার পানির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে ডিসেম্বর-এপ্রিলের শুষ্ক মৌসুমে যখন বাংলাদেশে সেচের পানির চাহিদা বেড়ে যায়।’

প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের অধীনে বেঙ্গল (পশ্চিমবঙ্গ সরকারের) সেচ বিভাগের দুটি খাল খননের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে আসার পর ঢাকায় উদ্বেগ আরো গভীর হয়েছে।’

মুখপাত্র বলেছেন, নয়াদিল্লির কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর ঢাকা সমস্যা সমাধানে তার পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

মুখপাত্র বলেন, ‘(তবে) আমরা চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার মাধ্যমে নয়াদিল্লির সাথে উদ্ভূত যে কোনো বিরোধ মীমাংসায় আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’

তিনি আরো বলেন, নয়াদিল্লির কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পর সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকা তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।

তবে আগামী মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের পানি সম্মেলনেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ঢাকা দীর্ঘদিন থেকে নয়াদিল্লির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদপত্রে আরো উল্লেখ করা হয় যে, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা বারবার দিল্লিকে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন বিলম্বিত হওয়ার কারণে উদ্বেগ জানিয়েছে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement