২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রদূত ইতোর ৫ চ্যালঞ্জে

জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো - ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো দু'দেশের বহুমুখী সহযোগিতার দৃঢ় অংশীদারিত্ব উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য পাঁচটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশ ও জাপান আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, পাঁচটি চ্যালেঞ্জ হলো- বাংলাদেশ-জাপান কৌশলগত অংশীদারিত্ব উন্নয়ন করা, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করা, জনগণের মধ্যে বিনিময় সম্প্রসারণ, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা বাড়ানো এবং এই অঞ্চলে ও এর বাইরে বাংলাদেশের সম্মান বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করা।

রোববার কসমস গ্রুপ আয়োজিত এক অনলাইন সংলাপে রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়া দরকার। আমি মনে করি আমাদের সম্পর্কগুলো প্রাকৃতিকভাবে প্রতিটি এজেন্ডার মধ্যে গভীরতর হবে।’

কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক সংলাপটি আয়োজন করে।

সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।

আলোচক প্যানেলে ছিলেন জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, টোকিও’র স্যাক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মাসাকা ওহাশি, সাংবাদিক ও লেখক মনজুরুল হক, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক পলিসির ডীন অধ্যাপক তাকাহারা আকিও এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।

রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, ‘দু’দেশের উচিত সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা উপভোগ করা এবং আরও উন্নত করার জন্য সচেতন এবং প্রাণান্তকর চেষ্টা করা। আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আত্মতুষ্ট হওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘২০২২ সাল অংশীদারিত্বকে আরও উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য একটি চমৎকার সুযোগ প্রদান করবে এবং আমি আশাবাদী যে দুটি দেশই এই অংশীদারিত্বকে ‘সত্যিকারের কৌশলগত অংশীদার’ হিসেবে অভিহিত করতে পারে।’

রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথের (বিগ-বি ইনিশিয়েটিভ) অধীনে মানসম্মত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং যোগাযোগের জোরদারকরণ কেবল বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্যই নয়, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও উপকারী হবে।

তিনি বলেন, ‘এই বিগ-বি কেবল বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য নয়, সমগ্র বে অব বেঙ্গল অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্যও খুব গুরুত্ববপূর্ণ।’

এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, জাপানের ভূ-কৌশলগত ভূমিকা ও অবস্থান এবং বাংলাদেশের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি এখনও বিশ্বস্ত রয়েছে যা বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নে তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্ব কেবল পারস্পরিক স্বার্থের জন্য নয়, মূলত খাঁটি সহানুভূতিরই একটি অংশ।

প্রখ্যাত জাপানি চিত্রশিল্পী হোকুসাইয়ের আঁকা ফুজি পাহাড়ের ৩৬টি দৃশ্য বাংলাদেশ-জাপানের সর্ম্পককে মনে করিয়ে দেয় বলে এনায়েতুল্লাহ খান উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, জাপান সর্বদা বাঙালির অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে এবং এই সম্পর্কের ভিত্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলোতেই অর্জন করেছে।

খান বলেন, এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় মিল রয়েছে।

তিনি বলেন, উভয় পক্ষই সামনের দিনগুলোতে এই সম্পর্ক থেকে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং জনগণের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুফল পাওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে পারে।

ড. ইফতেখার আশা প্রকাশ করেন যে দু'দেশই তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করে যাবে।

পররাষ্ট্র বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ বলেন, জাপান সর্বদা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।

ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে জাপান চমৎকার বাণিজ্যিক অংশীদার এবং একটি কার্যকর বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমি স্পষ্টতই বলতে পারি যে বাংলাদেশ এখন যেখানে পৌঁছেছে তার একটি বড় কারণ জাপান সর্বদা আমাদের পাশে রয়েছে।

ড. ইফতেখার বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও জাপান বরাবরই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের তহবিল সহজতর করেছে।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৪ সালে শুরু হওয়া পিপিইডি (পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়লগ) জাপানের সহযোগিতায় বাংলাদেশের উন্নয়নে এক নতুন যুগের ভিত্তি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে প্রায় ৮০টি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে ৩৪০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি। পিপিইডি অনুসরণ করেই এই অর্জন এসেছে।

আজাদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা যে পতাকা বহন করছি, জাপান এবং বাংলাদেশের একই পতাকা রয়েছে, সে যাত্রা আরও ত্বরান্বিত হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, জাপানের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু সর্বদা বাংলাদেশের সাথে থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে যাত্রার গতি তরান্বিত হবে।

আজাদ বলেন, আমরা আশা করি ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক উদযাপনের সময় আরও একটি গৌরবময় ঘটনা ঘটবে।

হায়াকাওয়া ইউহো বলেন, দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে জাইকা বাংলাদেশের উন্নয়নে কার্যকর সহযোগিতা দেবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে জাইকা একটি বিশেষ অংশীদার হিসেবে অব্যাহত থাকবে, যা বাংলাদেশ সব সময়ই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বেশি ভরসা করতে পারে।

জাইকার প্রতিনিধি জানান, জাইকা পিপিপিগুলোকে উন্নীত করতে এবং বাংলাদেশে জনসাধারণের বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, জাইকা অন্যান্য মধ্যম আয়ের দেশগুলোর সাথে পরিবেশগত উন্নতি, উচ্চশিক্ষা, বয়স্ক সমাজের জন্য প্রস্তুতি, প্রতিবন্ধীদের জন্য সহায়তা, শিল্প বৈচিত্র্যকরণ এবং বেসরকারী বিনিয়োগের একত্রিতকরণের মতো ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করে যাচ্ছে।

ইউহো বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরকে কাজে লাগানোর জন্যও আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশেও এই নতুন ক্ষেত্রে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বাড়বে।

‘আমি বিশ্বাস করি যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধন আরও জোরদার হবে এবং জাইকা বাংলাদেশের যে ভূমিকা নিতে পারে তা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে,’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি জাপানের প্রতি মুগ্ধ, কারণ দেশটি সর্বদা বাংলাদেশের বন্ধু এবং বাংলাদেশের ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে সক্ষমতা সম্পর্কে সত্যই আন্তরিক।

তিনি বলেন, জাপান শুধুমাত্র সেতুর মতো অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, বাংলাদেশে দক্ষতা বিকাশের ক্ষেত্রেও অসামান্য ভূমিকা পালন করে আসছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর বলেন, জাপান তহবিল দেয়ার পাশাপাশি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে বাংলাদেশের মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাকে বলতেই হবে যে কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ করে কুমিল্লা একাডেমি এবং অন্যান্য অনেক উপায়ে জাপান প্রচুর অবদান রেখেছে। এটি যথেষ্ট পরিমাণে সহায়তা, আর্থিক অবদানের দিক থেকে এই অবদানগুলো পরিমাপ করতে পারবেন না।’

আর্থিক সহায়তার বিষয়ে সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘জাপান সব ঋণকে অনুদানে পরিণত করে একটি দুর্দান্ত কাজ করে। জাপানের এই অবস্থানটি বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য সংস্থার ফাঁদের থেকে আমাদের সহায়তা করছে। এটি কেবল আমাদের সেতু এবং অবকাঠামো তৈরি করতে সহায়তা করছে না বরং আমাদের অবস্থানকেও বাড়িয়ে তুলছে।’

বঙ্গোপসাগর এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নতুন ধরণের কূটনীতির মাধ্যমে তার অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত যাতে দেশের ব্যবসায়ের উন্নতি হয়।

তিনি বলেন, ‘জাপান এবং বাংলাদেশের মধ্যে কারিগরি ও সামাজিক উন্নয়নের উভয় দিকের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এখনও নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘এটি বিকেন্দ্রীকরণ ও উন্নত করা উচিত। জাপান এ ক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করতে পারে কারণ আমি তাদের হাসপাতাল এবং ক্ষমতা এবং তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা দেখেছি।’

অধ্যাপক ওহাশি বলেন, ‘বেসরকারি কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ-শৃঙ্খলা পরিচালনায় ব্যবসায় ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের গাইডিং নীতিমালা এবং এসডিজির অনুসরণ করতে সহায়তা করতে পারে।

তিনি বলেন যে তারা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিভিন্ন এনজিও- জনগণে পর্যায়ে সহযোগিতা এবং বিনিময় আশা করতে পারে।

ওহাশি বলেন, বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজকে সর্বজনীন মানবাধিকার হিসেবে নিশ্চিত করার জন্য নিজ নিজ দেশের উপযুক্ত সুশীল সমাজের স্থান নিশ্চিত করতে হবে।

মনজুরুল হক বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ক এই অর্থে অনন্য যে এই বন্ধন কখনই বিতর্কিত হয় নি বা আদর্শিক বা অর্থনৈতিক লাভের জন্য বিজয়ী বন্ধুদের সংকীর্ণ বোঝার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেনি।

হক বলেন, ‘১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের পর দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা পেয়েছিল। আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হলেও জাপানের সাথে এক সাথে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছি।’

অধ্যাপক তাকাহারা আকিও আশা প্রকাশ করেন যে জাপান ও বাংলাদেশ এই অঞ্চলে আরও বেশি আকর্ষণীয় সম্পর্ক তৈরি করে দৃষ্টা স্থাপন করবে।

তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি সম্ভব। এই সংলাপ পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং আমাদের ভালো সহযোগিতার জন্য ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অবদান রাখবে।

তারিক করিম বলেন, আমরা প্রায় একই অবস্থানে আছি। জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে একটি শক্ত জায়গায় রয়েছে। আমরা দু'টিরও বেশি দেশ- ভারত এবং চীন এবং এখন দুটি ন্যারেটিভের মধ্যে: ইন্দো প্যাসিফিক এবং বিআরআইয়ের মধ্যে একটি কঠিন জায়গায় আছি।’

সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে উভয়ের সাথে সুসম্পর্ক এবং উভয়ের সাথে সক্রিয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব দেখতে পান না।

তিনি বলেন, তাদের মূলত পরবর্তী ১০ বছর বা ২৫ বছরের দিকে নজর দেয়া উচিত এবং তাদের পরিপূরকতা কোথায় এবং কীভাবে তারা এই পরিপূরকগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে এবং গড়ে তুলতে পারে তা চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে তবে তারা সব সময়ই অর্থনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকগুলোতে সহযোগিতা করতে পারে যা সব দেশের মধ্যে হয়ে থাকে।

কসমস ফাউন্ডেশনের এই অনুষ্ঠানটি এর আগে ‘অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজ’ নামে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতো। মহামারির কারণে এখন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে এ জাতীয় ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং ইস্যুতে গঠনমূলক আলোচনার জন্য কসমস ফাউন্ডেশনের এ জাতীয় আরও ওয়েবিনার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু

সকল