৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুখু মিয়ার ঈদ

-

দুখু মিয়ার সংসার অতি দুঃখ-কষ্টের, বেদনাহত প্রতিটি মুহূর্ত। প্রতি বছর ঈদ আসে, ঈদ যায়, অথচ দুখু মিয়ার সংসারে একবিন্দু ঈদের ছোঁয়া পড়ে না। নির্মম নিষ্ঠুর নিয়তির সাথে দুখু মিয়া লড়াই করে চলেছেন। তার সংসারের চারজন পোষ্য। স্ত্রী, এক কন্যা, এক পুত্র এবং দুখু মিয়া।
দুখু মিয়া এক সময় সকলের কাছে অতি প্রিয় একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। সকলেই তাকে সমাদর করতেন, সংসারে ছিল না কোনো অভাব অনটন। তখন তিনি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। যা বেতন পেতেন তাতেই চারজনের ছোটখাটো সংসারে একবিন্দু অভাবের আঁচড় পড়েনি। অথচ ভাগ্যের চাকা যেন একটা দমকা ঝড়ো হাওয়ার মতো উড়ে গেল।
সেদিন এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার ডিউটি করছিলেন দ্খুু মোড়ল। নকল করার অপরাধে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ছেলেকে বহিষ্কার করেন। তারই পরিণতি জীবনের দীপ্ত আলোর দ্যুতি মুহূর্তের মধ্যেই মøান হয়েই নিভে গেল।
দুখু মিয়ার চাকরিটা হারিয়ে আজ নিঃস্ব, সর্বহারা। দুঃখের মহা সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে।
অভাবের তাড়নায় জীবন-জীবিকার তাগিদে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় জীবনের কিছুটা আয়ু। সংসারে নিত্যনৈমিত্তিক অভাব যেন তার নিত্যসঙ্গী।
নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বাঁচার তাগিদে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। খুঁজে পান পত্রিকা বিক্রয়ের হকারের কণ্ঠস্বর।
অতি সৎ সজ্জন সবার প্রিয় শিক্ষকের মাথায় এখন এক বোঝা খবরের ডালি নিয়ে বাস টার্মিনালে হাঁকডাক। সারা দিন ছোটাছুটি করেন, ভাই পেপার নেবেন, পেপার নেবেন?

অনেক খবর আছে, ভাই একটা পেপার নিন মাত্র ১০ টাকায় পাবেন আপনার এলাকার খবর, দেশের খবর, আন্তর্জাতিক খবর। আরো হরেক খবর আছে, দেখুন দেখুন আগ্রাসী ইসরাইল বাহিনী কিভাবে অসহায় ফিলিস্তিনি শিশু, কন্যা মা-বোনদের নির্মম নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে নিধন করছে? আজকের পেপারটা দেখুন ভাই, চোখে পানি আসবে আহ কি নিষ্ঠুর পৃথিবী। মানবতা আজ বিপন্ন। হকারি করে অতি কষ্টে দিন চলে যায় দুখু মিয়ার। যৎসামান্য আয়, তাই দিয়েই নিত্যনৈমিত্তিক কেনাকাটার অফুরন্ত বাজেট।
ক্ষুধার্ত চারটি মুখে অন্ন তুলে দেয়ার প্রাণবন্ত প্রচেষ্টা। সপ্তাহে এক-দু’দিন উপবাসও থাকতে হয়েছে মা আমেনাকে। অনেক রাত জেগে তিন তিনটি ক্ষুধার্ত মুখ অধীর আগ্রহে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। যে দিন বাড়ি ফিরতে দেরি হয়ে যায়, সেদিন মোড়ের ধারে মুদির দোকান থেকে রহিমা ধারে কিছু মাল ক্রয় করে। আব্বু ফিরে এলে, চাল, ডাল তেল নুন ইত্যাদি বাদবাকিগুলো নিয়ে আসে।
ছোট ছেলে করিমের বয়স এগারো বছর, সে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। প্রচণ্ড খিদের জ্বালায় ছটফট করে, মা আমেনা করিমকে অনেক বুঝিয়ে বলে, আর একটু সবুর করো বাবু? তোমার আব্বু বুঝি এলো? মাগরিবের আজান শোনা যাচ্ছে, করিম রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে! আব্বুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাবুলের দোকান থেকে খাবার কিনবে? অবুঝ সন্তানেরা বোঝে না, অভাব অনটনের সংজ্ঞা কী? মা আমেনা প্রায় অনাহারে অর্ধাহারে থাকে, যে কারণে তার শরীরে নানা রোগের বাসা বেঁধেছে। ডাক্তার দেখাতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। ধৈর্য ধরে রোগগুলো নিজের অন্তরের অন্তঃস্থলে পুষিয়ে রেখেছে। রহিমার লেখা পড়ার খরচ জোগাতে না পেরে অকালেই বঞ্চিত হতে হয় শিক্ষার আলো। তারপর করিমের অপরিসীম বাহানা, আসন্ন ঈদের আগে তাকে নতুন পায়জামা, জুতা, মোজা ও একটি টুপি কিনে দিতে হবে। ওইগুলো কিনে না দিলে ঈদের নামাজে যাবে না। মামাদের বাড়ি ফুপুদের বাড়ি কোথাও ঘুরতে যাবে না। বন্ধুদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবে না।
দুখু মিয়া ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে, রহিমা মুখ ফুটে কিছু না চাইলেও ঈদের সময় পিতার কর্তব্য পালনে ব্যর্থ। স্ত্রী আমেনাকে তেমন কিছুই কিনে দিতে হয় না। ২০ বছর সংসার জীবনে সুখে দুঃখে দাম্পত্য জীবনে কখনো ছেদ পড়েনি। আমেনা বেগম দুখু মিয়াকে বলে, আমার কানের দুলটা বিক্রি করে ছেলে মেয়েটিকে ঈদের নতুন পোশাক কিনে দিতে। দুখু মিয়ার দু’চোখ ভরে পানি আসে, বৌয়ের শেষ সম্বল দুলটা বিক্রি করতে চায় না দুখু মিয়া।

আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল ঈদ। গরিবের সংসারে প্রতিটি উৎসব যেন অতি বেদনাদায়ক, সীমাহীন যন্ত্রণা। যাদের পেটে তিন বেলা খাবার জোটে না, তাদের কাছে উৎসবের আনন্দটাই মাটি। হায় রে খোদা, তুমি আমাকে তওফিক দান করো। আমি যেন সব দুঃখের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে পারি। করিমকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে দ্খুু মিয়া বলল, আজকে পত্রিকা বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে তোমার জন্য জামা প্যান্ট টুপি কিনে আনব। করিম আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। আকাশের তারাগুলো যেন তার হাতের মুঠোয় এসে ধরা দেয়।
কী মজা, কী মজা, আব্বু আমার জন্য ঈদের নতুন পোশাক আনবে। আহা কী আনন্দ! কী আনন্দ!
আমি আর আব্বু ঈদের দিনে নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে যাবো, দু’জনে মহাখুশিতে নামাজ আদায় করব। আহ্ কী আনন্দ!
দুখু মিয়া করিমের কথা ভাবে, করিমের আনন্দের দৃশ্যটা চোখের কোণে ভেসে ওঠে। মাঝে মধ্যে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে।
ভীষণ দুশ্চিন্তায়, কী করবে, কী হবে? অনেক টাকার প্রয়োজন, সবই আল্লাহপাকের ওপর ভরসা!
আজ সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। ঘর থেকে বেরোনোর সময় দরজার চৌকাঠে একটা বড় হোঁচট লাগে। মাথার মধ্যে চক্কর দিয়ে গেল একটা দমকা হাওয়া। তবুও কোনো কিছুই তোয়াক্কা না করে বেরিয়ে গেল। সময়ের বড়ই অভাব, আজ অনেক পত্রিকা নিতে হবে। ঈদসংখ্যা পাঠকদের চাহিদা বাড়বে, সবাই আনন্দে পেপার কিনবে। ভাবছে আর পথে হাঁটছে , মাথার মধ্যে যেন দুঃস্বপ্নের দাবানল ফুঁসে উঠছে।
মনের অজান্তেই দু’চোখ ভরে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। সারা দিন ছোটাছুটি, কথার ফুলঝুরি, অবসাদ ক্লান্তিহীন দেহে একটুখানি স্বপ্নের আকুতি।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, অর্ধেক পেপারও বিক্রি হয়নি? হঠাৎ যেন দুখু মিয়ার মাথার ওপর বজ্রপাত। চার দিকে হৈ-হুল্লোড়, আনন্দের মূর্ছনা, আকাশে বাতাসে ধ্বনিত মহাখুশির ঈদের বার্তা। ওই ঈদের চাঁদ উঠেছে, ওই ঈদের চাঁদ । ওই ওই আহ কী আনন্দ!
আগামীকাল ঈদ। সবাই যেন এক কাতারে আনন্দের মহাসাগরের বুকে উত্তাল ঢেউয়ের মতো দুলছে।
বিপরীত মেরুতে দুখু মিয়ার অন্তর জুড়ে হাহাকার। মাথার ওপরে কারা যেন সজোরে সপাৎ সপাৎ করে চাবুকের আঘাত হানছে।
বাড়িতে হয়তো অবুঝ করিম, খুশির ছোঁয়ায় আত্মহারা। অসীম আনন্দের জগৎটা যেন তার হাতের মুঠোয়। আমেনা ও রহিমার ঈদের আনন্দটাই ফিকে। আর দুখু মিয়া, খুশির চাঁদ দেখা- মানুষের ভিড়ে হাঁকিয়ে যায় ভাই পেপার দেবো?
ভাই পেপার দেবো? চাঁদ দেখার আনন্দের মধ্যে একটা পেপার কেনাবেচাটাই যেন বেমালুম। কেউই কেনে না, একটা পেপার? সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, শেষ গাড়ি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসছে?
ওটা দেখেই বাড়ি ফিরবে। বলতে বলতেই দ্রুতগতিতে এসে থামল। অন্যান্য হকারের মতো দুখু মিয়াও ছুটে যায়।
দুখু মিয়া হাঁক দেয়, পেপার নেবেন ভাই, পেপার নেবেন? একে একে সবাই গাড়ি থেকে নেমে যে যার গন্তব্যে চলে যায়। কেউই ফিরে দেখে না, একটা পেপার নেয় না? হায়রে খোদা আমি এখন কী করব? অতি নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ যে লোকটা বাস থেকে নামলেন, দুখু মিয়া তার পিছু পিছু ছুটলেন। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে অসহায়ত্বের মতো পা জড়িয়ে ধরেন। মানুষটি অতি নম্র ভদ্র, সাজ পোশাকেই অনুমেয়। হয়তোবা বড় চাকরি করেন; ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন। সাহেব একটা পেপার নিন, আগামীকাল ঈদ। আজ যে অনেক কেনাকাটা, নতুন টুপি জামা জুতো না দিলে ছেলেটা নামাজে যাবে না। সাহেব পেছন ফিরে তাকায়, হকারের কণ্ঠস্বরটা অনুভব করে অতি পরিচিত যেন আপনজন।
হ্যাঁ, হ্যাঁ ২০ বছর আগের ঘনিষ্ঠ, একান্ত কাছের প্রিয় শিক্ষক দ্খুু মোড়ল। আহ্ স্যারের এ কি পরিণতি? বুকের ভেতর হাহাকার করে উঠল।
দুখু মিয়া, আবার প্রশ্ন করে কি ভাবছেন সাহেব, এই নিন একটা পেপার? আমার ভীষণ তাড়া, এখুনি ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে হবে? সাহেব থতমত হয়ে বলে উঠল, স্যার আমাকে সব পেপারগুলোই দিন? দুখু অবাক হয়ে গেল, মনে মনে ভাবছে নিজে তো সত্যিই এক সময়ের শিক্ষক। আজ তা লোকচক্ষুর অন্তরালে, এখন তো আমি পত্রিকার হকার।

সাহেব, আপনি আমাকে স্যার বললেন? সাহেব, না না অফিসে রাত দিন স্যার, স্যার বলতে বলতে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল? সাহেব সব পেপারগুলো কিনে নেয়। সেই সাথে হকারকে দু’হাজার টাকা তার পরিবারের ঈদ উপহার দিলো।
দুখু মিয়া, প্রথমেই অতগুলো টাকা নিতে রাজি হননি? সাহেবের পীড়াপীড়িতে অন্য দিকে করিমের কথা ভেবে দু’হাত পেতে টাকাগুলো যেন ছিনিয়ে নিলো। সাহেব টাকাগুলো দুখু মিয়ার হাতে দিয়েই দ্রুতগতিতে ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল। দুখু মিয়া, সাহেবকে চিৎকার করে ডাকে, সাহেব আপনার পেপারগুলো নিয়ে যান ? সাহেব আর ফিরে আসেনি, হকচকিত হয়ে দুখু মিয়া খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল।
ওদিকে করিমের কথা ভেবে দুখু মিয়া টাকাগুলো নিয়ে করিমের জন্য টুপি, জামা, প্যান্ট কিনতে গেল ফুটপাথের এক দোকানে।
করিমের জন্য পায়জামা পাঞ্জাবি আর টুপি, রহিমার জন্য একটা সালোয়ার কামিজ, আমেনার জন্য একটা ছাপা রঙিন শাড়ি আর নিজের জন্য একটা টুপি কিনে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাড়ি ফিরছে দ্খুু মিয়া!
দুখু মিয়ার বাড়ি ফেরার দেরি দেখে, করিম রাস্তার ধারে আব্বুর জন্য অপেক্ষা করে। আব্বু এখনো আমার জন্য কিছুই আনছে না কেন?
কেন এত দেরি করছে? করিম হাঁটতে থাকল, অনেক পথ গেল, প্রায় শহরের ধারে ধারে। কিছুটা ক্লান্তি বোধ করে, একটু বসে বিশ্রাম নেয়। আবার হাঁটা শুরু করে, এক সময় ক্লান্ত হয়ে পথের ধারে ঝিমিয়ে পড়ে। অকস্মাৎ একটা দ্রুতগামী লরি এসে করিমের সারা শরীরের ওপর দিয়ে শা শা শব্দে ছুটে গেল। মুহূর্তের মধ্যেই দুখু মিয়ার সকল আশার আলো, সুখ স্বপ্ন, সব কিছুই যেন আঁধারের আলোয় মিলিয়ে গেল।
এমন সময় দুখু মিয়া দেখতে পেল, সামনে পথের মধ্যেই বহু লোকের হট্টগোল। দুখু মিয়াও দাঁড়িয়ে গেল, ভিড়ের মধ্যে উঁকিঝুঁকি মারে। সবাই বলাবলি করে, দুর্ঘটনায় একটা বাচ্চা মারা গেছে? ভিড়ের মধ্যে আহ্ উহু করতে থাকে। ছোট একটা বাচ্চাকে ট্রাকের চাপায় পিষ্ট করে দিয়েছে। সবার সাথে দুখু মিয়াও সমবেদনা জ্ঞাপন করে। দুখু মিয়া আর একটু কাছে গেল। বাচ্চাটার পরিচয়, তার মুখমণ্ডল দেখার চেষ্টা করে?
আহ, এটা চেনা জানা মুখ ? আরে আরে কে কে ওই বাচ্চাটা? এ্যাঁ, এ্যাঁ এ কে ? ক - ক- করিম?
আহ্ আহ্ আহ্, আমার শেষ অবলম্বন! তড়িঘড়ি ছুটে গেল, জড়িয়ে ধরল খণ্ড খণ্ড রক্ত পিচ্ছিল লাশ।
ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহাবশেষ নিয়ে, নাড়াচাড়া করতে লাগল। চিৎকার করে কেঁদে ওঠে, আব্বু করিম জেগে উঠো?
জেগে উঠো আব্বু ? এই দেখো, তোমার জন্য ঈদের নতুন নতুন জামা প্যান্ট টুপি এনেছি?
এই না-ও বাবা, কালকে না ঈদ? তোমার বায়না করা পোশাকগুলো কত কষ্ট করে কিনে এনেছি?
এই দ্যাখো দ্যাখো, কী সুন্দর পায়জামা, পাঞ্জাবি টুপি এনেছি? তুমি না বলেছিলে, আগামীকাল ঈদগাহে আমরা দু’জনে নতুন পোশাক পরে নামাজ পড়তে যাবো? উঠো বাবা, জেগে উঠো? কী হলো, সাড়া দেবে না? তবে কি আমার ওপর অভিমান করেছো?
ওঠো ওঠো বাবা করিম ? দেখ, দেখ কত সুন্দর সুন্দর জামা প্যান্ট টুপি এনেছি? তুমি না বলেছিলে, আমরা দু’জনে একসাথে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাবো? হায় খোদা, ঈদের আনন্দ থেকে এইটুকু বাচ্চাকে তুমি কেন বঞ্চিত করলে?
জবাব দাও হে খোদা! আমার করিম, তোমার কী ক্ষতি করেছে? আমি তো জীবনযুদ্ধে লড়াই করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে- ছেলেটার জন্য ঈদের পোশাক এনেছি? কালকে যে আমরা দু’জনেই ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাবো, হাঁ হাঁ হাঁ হাঁ!


আরো সংবাদ



premium cement