২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফুলেরাও থাকুক হাসিখুশি

-

ফুল এমন একটি জিনিস, যাকে সবাই পছন্দ করে, ভালোবাসে, কাছে টানে, সংস্পর্শ চায়, সুঘ্রাণ গ্রহণ করে। এ ছাড়া ফুলকে নানাভাবেই ব্যবহার করা হয়। কেননা, ফুল সবসময় আমাদের ভালো কিছুই উপহার দেয়, পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়ায়। একটি অগোছালো, অব্যবহৃত জায়গাকে আকর্ষণীয় ও প্রিয় করে তোলে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও বাস্তব সত্য যে, আমরা ফুলকে নষ্ট করে তার সেই সৌন্দর্য শুধু কমাই। কখনো তো অপ্রয়োজনেও আমরা ফুলকে নষ্ট করি। আবার প্রয়োজনে ব্যবহার করলেও শেষটা ডাস্টবিন বা অপরিচ্ছন্ন কোনো জায়গায় ছুড়ে ফেলে খুবই অসম্মানজনক আচরণই আমরা করি। যা ফুলের সাথে আমাদের উত্তম আচরণ নয়। কেননা বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আমার খুবই প্রিয় একজন মানুষ বলেন ‘তাজা ফুলকে তুমি ভালোবাসো! তাতে গৌরবের কী হলো! তাজা ফুলকে সবাই ভালো না বাসুক, পছন্দ করে। যে কেউ তাজা ফুলকে হাতে তুলে নেয়, সুবাস গ্রহণ করে। এটা ফুলের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা পাওয়ার মতো কিছু নয়। যদি পারো শুকনো ফুলকে ভালোবাসতে! যদি পারো ঝরা ফুলকে আলতো করে তুলে নিতে এবং চিরকালের জন্য আপন করে কাছে রাখতে, সেটি হবে গৌরবের। আর তখনই তুমি পাবে পৃথিবীর বাগানের সব ফুলের কৃতজ্ঞতা।’ সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমিও কিছুটা ফুলকে ভালোবাসতে, ফুলের যত্ন নিতে ও ফুলের মালী হয়ে কিছুটা পরিচর্যা করতে চেষ্টা করি। এই তো সেদিন বাড়ির কয়েকটি গোলাপ ফুল গাছের পরিচর্যা ও যত্ন নিলাম। গোলাপ ফুল হচ্ছে আমার পছন্দনীয় ফুলের একটি। যার রঙ, পাপড়ি, সুবাস ও সৌন্দর্য আমাকে খুবই মুগ্ধ করে। বিমোহিত করে। অবশ্য যত্ন নিতে গিয়ে সেদিন কাজের ফাঁকে হঠাৎ করে আঙুলে কাটা বিঁধে যায়। আর সাথে সাথেই প্রচুর জ্বালাপোড়া শুরু করে এবং সে ব্যথা প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল। তখন মনে হলো, কোনো পছন্দনীয় ও ভালো জিনিস পেতে হলে কিছুটা কষ্ট পেতেই হবে। কারণ, কষ্ট ছাড়া কোনো কিছু পেলে সেটির গুরুত্ব ও স্বাদ কম থাকে। আর এটাও অনুভব হলো যে, একেকজন মালী ফুলের জন্য কতই না কষ্ট করে। আর আমরা সেই ফুলকে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করি ও ব্যবহার শেষে যেখানে-সেখানে ছুড়ে ফেলি। অথচ আমাদের উচিত ছিল, ফুলকে নষ্ট করা নয়; বরং ফুলের যত্ন ও সংরক্ষণ করা।
ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাস গ্রহণ করা এবং ফুলের মাধ্যমে আশপাশের পরিবেশকে সুন্দর থেকে সুন্দর করা। সর্বোপরি, ফুলের সঠিক ব্যবহারটুকু তো অবশ্যই আমাদের সবার করা উচিত। আর এতটুকু করলেও ফুলেরা থাকবে হাসিখুশি।
অতএব, আমরা আমাদের পছন্দনীয় ফুলের সংস্পর্শে যাই, ফুলকে ভালোবাসি, ফুলের গুণাবলিগুলো গ্রহণ করি। মাঝে মধ্যে ফুলের পিছনে মালীদের কষ্টগুলোও অনুভব করি। আর প্রয়োজনে ফুলকে ব্যবহার করি, অপ্রয়োজনে ফুলকে নষ্ট না করি; বরং ফুলকে বাঁচিয়ে রাখি। আমাদের চার পাশের পরিবেশকে আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত করি। সবশেষে বলব, ফুলেরাও থাকুক হাসিখুশি।


আরো সংবাদ



premium cement
শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

সকল