‘স্মাইল : দ্য স্টোরি অব এ ফেস’ নাট্যকার সারাহ রুহলের লেখা একটি ভিন্ন স্বাদের বই। ইংরেজিতে একে বলা হচ্ছে টেল। উপন্যাসও নয় আবার ব্যক্তিগত রচনাও নয়, এমন এক কাহিনী। চমকপ্রদ বইটিতে সারাহ দেখিয়েছেন একটি ক্ষতবিক্ষত অবস্থার সাথে এক দশক দীর্ঘ সংগ্রাম কিভাবে আত্মবোধকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। সমালোচক বলছেন, লেখকের হাসির দরকার নেই বইয়ের পাতায়, শব্দগুলো হাসতে পারে। বইটিতে এমন কিছু আছে যা পাঠককে আপ্লুত করবে। আমেরিকান নাট্যকার সারাহ রুহলের এই কাহিনী প্রধান চরিত্রের যমজ সন্তানের জন্ম দেয়ার একদিন পরে তার পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার অসাধারণ গল্প পড়ে জানতে পারেন।
প্রথম লক্ষণটি ছিল ডাক্তার বাচ্চাদের স্তন্যদানের পরামর্শদাতা একজন ডাক্তার আকস্মিকভাবে দেখেন নারীটির একটি চোখ ঝাপসা দেখাচ্ছে এবং যখন তিনি বাথরুমের আয়নায় নিজেকে দেখতে ওঠেন, তখন তিনি দেখতে পান যে তার মুখের বাম দিক নিচে ঝুলে যাচ্ছে, ভ্রু, ঠোঁটও অনুভূতিশূন্য ও বেঁকে যাচ্ছে। তার সারাজীবন যে হাসিটা মুখে ছিল তা হারিয়ে গেছে। এই হলো ‘স্মাইল : দ্য স্টোরি অব এ ফেস’ বইয়ের কাহিনী। লেখিকা ব্যাখ্যা করেছেন যে, আয়নায় প্রতিবিম্ব দেখার আগে, ওই নারী একজন ব্যক্তি ছিলেন। এখন তিনি অন্য একজন।
এই নতুন কাহিনীর স্টাইল তার পাঠককে আকৃষ্ট করেছে। সারাহর গদ্য স্মার্ট, কৌতুকপূর্ণ, চঞ্চল। এর প্রধান চরিত্র বেলস পালসি। আছেন তার অস্ট্রেলিয়ান শাশুড়ি, যিনি পালসির যমজ বাচ্চা জন্ম হওয়ার পর মারা যান। আমেরিকান নাট্যকার সারাহ রুহলের আত্মজৈবনিক কাহিনী কি এটা? তা নিয়ে পাঠকের মধ্যে ধোঁয়াশা আছে বলে মনে হয়। কারণ তার নিজেরও উইলিয়াম ও হোম নামে যমজ শিশু আছে।
তবে তার হাসিমাখা মুখের দিকে তাকালে তা মনে হয় না। হতে পারে এটাও নাট্যধর্মী কিছু। কারণ সারাহ ইয়েলস ড্রামা স্কুলের একজন শিক্ষক।
তিনি হয়তো নাটকের মতো কোনো নিরীক্ষা করতে চেয়েছেন এই বইয়ে। ১৯৭৪ সালে আমেরিকার ইলিনয়েসে জন্ম গ্রহণকারিণী এই নাট্যকার বেশ কয়েকটি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা