২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শব্দহীন রাত

-

শরীরের বয়স বেড়ে গেলে চোখের ঘুম কমে যায়। বিদিশার বয়স এখন আশি ছ্ুঁই ছুঁই। ঘুমকে মনে হয় উড়ন্ত পাখির পালক। বন্ধ খাঁচায় পাখি যেমন অস্থির, খোলা চোখ নিয়ে বিদিশা চৌধুরীর তেমনি ছটফট।
চার ছেলেমেয়ের মধ্যে একমাত্র মেজো মেয়েই খোঁজখবরটা একটু বেশি নেয়। স্বামীর মৃত্যু আর সরকারি চাকরি থেকে রিটায়ারের পর একাকী জীবন বেছে নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে ইচ্ছে হয় বৃদ্ধাশ্রমে চলে যেতে। কিন্তু বাধা হয়ে ফিরে আসে সেই ইচ্ছেটা ছেলেমেয়ের মান সম্মানের কথা ভেবে।
সর্বংসহা মাকে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছেলে মেয়ের দেয়া আঘাতই শুধু সহ্য করতে হয়। তাই একটা রুম ভাড়া করে নস্টালজিকের সাথে মিলেমিশে সুখে দুঃখে বিদিশা চৌধুরীর দিন কাটে, মাস ঘুরে, বছরের পর বছর শেষ হয়।
ছেলেমেয়েরা রাগ করে ঘুমের ওষুধ খেলে। সারা রাত জেগে থাকাকে তাই সহজে মেনে নিয়েছেন একগুঁয়ে জেদি এবং স্বনির্ভরশীল সম্ভ্রান্ত স্বভাবের বিদিশা চৌধুরী। আজকাল রাত জেগে হাদিসের বই পড়ে ভীষণ দুঃখ হয়, কেন যে রক্তের সম্পর্কের মধ্যে একজন কেউ কুরআনে হাফেজ হয়নি। থাকলে শান্তি পেতো মন। যারা জানে বিদিশা রাতে জাগে, দিনে ঘুমায়, তারা সাধারণত রাত ১১টার পর ফোন করে।
ভোর ৫টা বাজে। সবাই ঘুমাচ্ছে। এ সময় ফোন করলে কেউ ধরবে না। মেয়েরা বিরক্ত হবে। থাক বেলা বাড়ুক। ফোনে সবাইকে বলব রাতে খাওয়ার জন্য আসতে।
বিদিশার বড় মেয়ের মায়ের দেয়া দাওয়াতে কোনো রিঅ্যাক্ট হলো না। ছেলে খুশি। মেজো মেয়ে চিন্তায় পড়ে গেল। মাকে আমরা দাওয়াত দেই না, উল্টো মা আমাদের খাওয়ার জন্য ডেকেছে। এ কেমন আলামত! মেজো মেয়ে অপরাজিতা সহ্য করতে না পেরে ছোট বোন ঐশীকে ফোন দেয়।
ঐশী, মা তোকে ফোন দিয়েছিল?
হ্যাঁ, রাতে মা খাওয়াবে বলেছে
কী ব্যাপার মায়ের কী হয়েছে, তুই কিছু জানিস?
হা হা হা...
হাসছিস কেন?
আপা, তুমি ফোন রাখো। দেখা হলেই জানতে পাবো, বা-ই।
অপরাজিতার ইউনিভার্সিটিতে পড়–য়া মেয়ে নিশা, মাকে চিন্তিত দেখে মার গলা জড়িয়ে বলে ওঠে। মা, তুমি এত ভাবছো কেন? নানু হয়তো রিটায়ারের টাকা পয়সাগুলো তোমাদেরকে ভাগ করে দেয়ার জন্যই ডেকেছে। অপরাজিতা মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টে বলল, নাহ, আমার তা মনে হচ্ছে না। তাহলে মা চলবে কিভাবে? মা তো আমাদের টাকা নেয়ার মানুষ না। বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে অপরাজিতার কানে শব্দ এলো কলিং বেল বাজছে। দরজা খুলে দিতেই ঢুকল বড় বোন সঞ্চিতা। অপরাজিতা বোনকে দেখে মিটিমিটি হাসছে।
নিজের হাতে এক গ্লাস পানি খেয়ে সঞ্চিতা অপরাজিতার মুখের দিকে তাকাল।
কিরে আপু, মা, কী বলবে বলেছে তোকে?
কী করে বুঝলি মা আমাকেই বলবে?্ আশ্চর্য! একটা বিষয় নিয়ে একেকজন একেক রকম ভাবনায় বিভোর।
বিচিত্র মানুষ! তার চেয়েও বিচিত্র মানুষের মন। সামান্য বিষয় নিয়ে অসামান্য চিন্তা। আবার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় তুচ্ছ ভাব মানুষের। ৫৫ বছর বয়সী সঞ্চিতার প্রায় দুই বছর হলো ডিভোর্স হয় ছুঁচিবাইগ্রস্ত অতিরিক্ত উচ্চাকাক্সক্ষা আর স্বভাব চরিত্রের কিছু দোষের কারণে। অপো দেখে সঞ্চিতার ছটফট একটু বেশি। এত টেনশনের কী? চোখ বড় করে অপো সঞ্চিতাকে প্রশ্ন করে।
আমাকে নিয়ে মা আবার কিছু বলে যদি! সঞ্চিতার সন্দেহ দেখে অপরাজিতা
পাল্টা চোখ আরো বড় করে বলে,
তুই মাকে মোটেই ভয় পাইস না। শুধু শুধু অ্যাকটিং দেখাচ্ছিস
হ্যাঁ তাতো বলবিই
আমি তো তোদের অপছন্দ, বলে দরজা জোরে শব্দ করে সঞ্চিতা চলে গেল অপরাজিতার বাসা থেকে।
চার ছেলেমেয়েরও থাকার জায়গা মায়ের কাছাকাছি। কখনো নিজে রান্না করে খান। কখনো মেয়েরা পাঠায়। শরীরে কোনো অসুখ নেই বিদিশার। মাঝে মধ্যে সন্ধ্যার পর হাঁটতে নামেন রাস্তায়। বিশেষ করে ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে। আজকালকার অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের দেখলে বিদিশার ভীষণ রাগ হয়। বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়েদের দেখলে মনে হয়, ওরা ছোঁ মেরে ছেলেদেরকে নিয়ে উড়ে চলে যেতে চাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে আরো বেশি ঘরকুনো হয়েছেন। যা দেখে ছেলেমেয়েরা মাকে পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার। কিন্তু চোখের কারণে এত প্যাঁচের গুঁতোগুঁতি সহজ মনে হয় না বলে ফেসবুক ওপেন করেও অ্যাকটিভে থাকতে পারেন না বিদিশা চৌধুরী।
পলাশ বিদিশার একমাত্র ছেলে। দুই দিন থেকে বেশ মনের আনন্দে আছে। সময় অসময়ে হোটেলে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়ে মনটাকে ফুরফুরে রাখছে। মায়ের ফোন পাওয়ার পর থেকে। মা রান্না করে খাওয়াবে। তারপর আবার চার ভাইবোনের সাথে বিশেষ প্রসঙ্গে আলাপ করবে। মা’টার যে কী হয়েছে না! এত তাড়াতাড়ি টাকাগুলো বিলিয়ে দিয়ে দেবে! এই ধরনের নিজস্ব চিন্তায় ডগমগ করছে পলাশ। অফিসেও যাচ্ছে না দুই দিন থেকে। বউকে মিথ্যে শিখিয়ে অফিসে ফোন দিতে বলে। বউ চোখ রাঙিয়ে বলে, কেন? মিথ্যে বলব কেন? কারণ কী? আর তুমি বারবার কাচ্ছি খাচ্ছো কেন এই শরীরে?
তুমি বুঝবে না। যা বলি তাই কর।
মানে?
মানে তুমি বেশি বুঝো
হ্যাঁ বুঝি, তো?
তুমি না বললে আমার ম্যানেজারকে আমিই বলব,
বলে গুণ গুণ করে গান করতে করতে ছাদের সিঁড়িতে উঠেছে পলাশ, মোবাইল হাতে।
হঠাৎ একটু খটকা লাগে। তাড়াতাড়ি মোবাইল অন করে বড় বোন সঞ্চিতাকে বলে, আপুনি, মা, শুধু আমাদের চারজনকে ডেকেছে। তাহলে তো বউ ছেলেমেয়েদেরকে রাতের দাওয়াতের কথা বলা যাবে না
হ্যাঁ, বলবি না
মায়ের হাতের রান্না এত দিন পর খাবো মজা করে। তা-ও আবার বউকে ছাড়া? সঞ্চিতা তেড়ে ওঠে।
পলাশ, তুমি যখন তোমার ফ্যামিলি নিয়ে পিজা হাটে যাও, তন্দুরিতে খাও। তখন কি মাকে সাথে নেয় তোমার বউ?
পলাশ এবার একটু কেশে বলে,
আপুনি, মা মনে হয়, টাকা ভাগ করে দেয়ার জন্য ডেকেছে, তাই না? সঞ্চিতা এবারও ঝাড়ি মারে,
পলাশ তুই তো সারা জীবন মার টাকা নিয়েই গেলি। একবার মাকে দেয়ার কথা চিন্তা করিস- অপদার্থ?
পলাশ ফোন রাখে। বেহায়ার মতো আবারো ভাবনায় ফিরে যায় মার টাকা পেলে ধানমন্ডিতে একটা ফ্ল্যাট কিনবেই। যেভাবেই হোক। আর ভাড়াবাড়িতে না। তিন বোনের কাছ থেকেও কিছু টাকা ধার চাইবে। দুই ছেলেমেয়েকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াবে। জীবনটা হবে লে হালুয়া। শুধুই উপভোগ। পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। হা-হুতাশ সব একসাথে আউট অব লাইফ।
হাসিতে ভরা চোখ মুখ নিয়ে চার ভাইবোন সন্ধ্যার পর এক এক করে মার কাছে এলো। যেন ঈদের দিন। যেন বিদেশ থেকে এসেছে বহুদিন পর। মা বিদিশা স্বাভাবিকভাবে ওদেরকে হাসিমুখে কাছে টেনে নিলেন। সাদা পোলাও, মুরগির রোস্ট, চিংড়ি দোপেঁয়াজা, গরুর ভুনা, ইলিশ ভাজা, সবজি, সালাদ, ড্রিংকস, পায়েস।
মা এত বাজার কখন করলে? খাওয়া পাগল সঞ্চিতা বলে উঠল।
কেন সারাজীবন তোদের বাজার করে খাইয়েছে কে? মা হেসে উত্তর দিলেন।
মা, আগে কোনটা খাবো বলো না? আদরের ছোট মেয়ে আদিখ্যেতা দেখিয়ে বলে।
মা তুমি কি কোনো ব্যাড নিউজ দেবে? অপরাজিতা শুনতে চায়। এবার জলদি করে বলে ফেলো কী বলবে আমাদের?
আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে সবার মুখ চেয়ে আবারো একটু হাসি হেসে বিছানায় পা তুলে আরাম করে বসলেন বিদিশা। এখন তোদেরকে যে কথাগুলো বলব এগুলো আমার জীবনের একমাত্র লুকানো কথা। এই প্রথমবারের মতো তোদেরকে বলছি। না বলে আর পারছি না। আবার হিংসাপরায়ণ বলতে পারিস। এই বয়সেও হিংসা হচ্ছে আমার। তোদের একতরফা ভালোবাসা দেখে। তোরা চারজনই আমার চেয়ে বেশি ভালোবাসিস তোদের মৃত বাবাকে। এ জন্যই বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীতে মা-যে সবচেয়ে বেশি আপন সেই তাকেও বলা হলো না আমার এই গোপন ব্যথা, বয়সের ভারে আমি আর ব্যাপারটা সহ্য করতে পারছি না। সবাই মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে! এই মুহূর্তে মায়ের মুখটা যেন টিভির প্রিয় চ্যানেল। সবাই মনোযোগী। বিদিশা ঐশীর চোখে চোখ রেখে বললেন। তোমাদের চারজনেরই প্রিয় তোমাদের বাবা। আমি না। তাহলে আমাকে ফেয়ার লেডি বলে মিথ্যে অ্যাকটিং তোমরা কেন করছ? আমি তো এখনো বেঁচে আছি। আমার ধারে কাছেই এসো না তোমরা। আর উনি মারা যাওয়ার সাথে সাথে তোমাদের পরম ভালোবাসা অতি আহলাদে উথলে পড়ছে উনার প্রতি। বলো, আমি মিথ্যে বলছি?
এখন কী বলতে চাও? পলাশ বিরক্ত হয়ে বলে।
বলতে চাই উনার চরিত্রের লীলাখেলা!
মাকে উত্তেজিত হতে দেখে অপরাজিতা মার শরীর ঘেঁষে বসে। ঐশী শুকনো মুখে বলে, মানুষ মরে গেলে তার খারাপ দিকটা আলোচনায় না আনাই ভালো মা। শুনলে আমাদের মনটাও খারাপ হয়ে যাবে। হাসিমুখে এসে তাহলে কী লাভ হলো?
অপরাজিতা বলে, মা যখন বলতে চাচ্ছে, বলুক না। যার কথা তার সামনে বলাই ভালো ছিল, পলাশের এই কথায় বিদিশা রেগে ওঠেন, তুই কী বলতে চাচ্ছিস যে আমি একটা মিথ্যে কথা শোনাবার জন্য তোদেরকে ডাকলাম?
সঞ্চিতা মায়ের মানসিক অবস্থা বুঝে ভাইকে ধমক দিলো চুপ করে থাকতে। বিদিশা প্রশ্ন করেন, তোরা কি জানিস তোদের বাবার সাথে আমার বিয়েটা কিভাবে হয়েছে?
ছোটমেয়ে একটু নড়েচড়ে স্বাভাবিক হাসির ভঙ্গিতে মাকে জবাব দিলো। তোমরা খালাতো ভাই বোন ছিলা। প্রেম ছাড়া আর কী?
না,
তাহলে নানী দিয়েছে
তাও না
প্রেম না, প্রস্তাব না, পছন্দও না তাহলে এ কেমন বিয়ে? সাথে সাথে মা বলেন,
ধোঁকাবাজি করে ট্রাপে ফেলে
ইন্টারেস্টিং! ওয়াও! তাহলে বলো মা আপডেট নিউজ?
আপডেট না রিভিও নিউজ
তোদের বাবা আমার আপন খালার ছেলে। ছোটবেলা থেকে বাসায় আসা যাওয়া। বড় হওয়ার পর বুঝতে পারি আমাকে পছন্দ করেন। কিন্তু তাকে আমার মোটেই ভালো লাগত না। সন্দেহজনক মনে হতো। তাই বলে পছন্দের অন্য কেউও ছিল না। তখন আমি কলেজে পড়ি। একদিন ওদের বাসায় মা গিয়েছে। আমি ছাড়া ঘরে কেউ নেই জেনেই এসেছে। চোরের মতো। আমি বাথরুমে গোসল করছিলাম। কাজের বুয়াকে টাকা দিয়ে বাইরে যেতে বলেছেন। বুয়া ছিল বোবা। কিছু বুঝেছিল কি না জানি না।
উৎসুক হয়ে ছোটমেয়ে জানতে চায়, তার পর কিভাবে? বিদিশা ফ্লোরের দিকে চেয়ে, একদৃষ্টিতে, নড়ছেন না। মুহূর্তে ঘরের ছবিটা পাল্টে যায়। মাকে জড়িয়ে অপরাজিতা হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। নীরবে চোখ টলটল সঞ্চিতার। ঐশী এক গ্লাস পানি এনে দিলো মাকে।
পলাশ ঘর থেকে উঠে চলে যায় সোজা নিজ ঘরের দিকে। হতাশ! কী আশা নিয়ে মায়ের কাছে এসেছিল আর কী পাওয়া গেল। আজকের দিনটা একদম কেরোসিন! যতসব মেয়েলিপনা। মা-ও আর কথা পায় না। এত ঢঙ মা না করলেও পারত। এগুলো অতীত এখন আর কী কাজে লাগবে। বাবা তো নেই-ই। বাবার ব্যবহার এত ঘৃণা হয়ে থাকলে আজকে মা খিচুড়ি খাওয়ালেই পারত। এভাবে বিড়বিড় করে পলাশ নিজের ঘরে ঢুকে। ঐশী মাকে আদর করে চোখ মুছছে, যেন ওই এই মুহূর্তে বিদিশার মা।
সিনারিটা একটু বলো মা, বাবা কি বাথরুমের দরজা নক করেছিল?
হ্যাঁ
তুমি বলোনি কে, কে?
বলেছিলাম চুপ করেছিল।
তারপর?
জোরে জোরে নক করেই যাচ্ছিল। ভয় পেয়ে একটু ফাঁক করে ছিলাম বোবা বুয়াকে মনে করে।
তারপর ওই ফাঁকেই তোমাকে অ্যাটাক করে ফেলেছে। ভেতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল, তাই না মা? তুমি চিল্লাতেও পারনি! ঐশীই বলে দিলো। ঐশী মাকে আরো বলল,
যাক, দুঃখ হতো যদি রেপিস্টটা তোমাকে বিয়ে না করত। জীবনের সর্বনাশ থেকে তো বেঁচেছো। এখন মাফ করে দাও বাবাকে। বিদিশা সিলিংফ্যানের দিকে তাকিয়ে বলে, মাফটাই তো ভেতর থেকে আসছে না-রে ঐশী। এরপর অপরাজিতা মার কাঁধে হাত রেখে বলে, একটু তো শান্তি লাগছে, আমাদেরকে বলে, তাই না মা? এখন আসো আজকে আমরা সবাই তোমার সাথে ফ্লোরিং করে ঘুমাব। পলাশ গেছে যাক। আমরা তিন বোন আজ তোমার সাথে ঘুমাব। অপরাজিতার এ কথায় বিদিশা একটু হাসল।
সঞ্চয়িতা ঢালাও বিছানা করে সবার বালিশ লাগাচ্ছে।
শব্দহীন এই রাতে বুক হালকা হলো মা বিদিশা চৌধুরীর। হ


আরো সংবাদ



premium cement
সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

সকল