২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গতানুগতিকতা আর নয়

-

গত সংখ্যার পর

মানুষের জীবনে মনের ভূমিকা অপরিহার্য। মন ব্যক্তিকে যুক্ত করে সমাজক্রিয়ায় আর তার থেকে ধারণ করে কল্পনা। সামাজিক চেতনা গতিমান ও আয়ুষ্মান হলে বিষয়ের নতুন রূপ পায় কল্পনায়। কল্পনা সর্বক্ষণ সামাজিক, সামাজিক চেতনা যে পর্যায়ে অবস্থান করে একজন ব্যক্তি/লেখক/সৃজনশীল মানুষ সেই চেতনা দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। আর তা সমাজজীবনে অন্যান্য মানুষের সাথে সৃজনশীল মানুষকেও প্রভাবিত করে। মানুষের চেতনা সব সময় তার সামাজিক চেতনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। জীবমাত্রই তার পরিবেশের কয়েদি সে। জীবের চার পাশের রঙ জীব নিমেষে গ্রহণ করে। চেতনা উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশের অভাবে খণ্ডিত অথবা স্থবিরতায় রূপান্তরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যাপক মানুষকে যেমন বিভ্রান্ত করে, অন্যায় শাসন-শোষণের বলির পাঁঠায় পরিণত করে, তেমনি কবি-সাহিত্যিকরাও তার অংশ হয়ে যায়। কখনো কখনো চেতনার নি¤œগামিতা সমাজের আধুনিকতার গতিকে পিছিয়ে দেয়। বাস্তবে খণ্ডিত অবস্থা থেকে বেরিয়ে পূর্ণাঙ্গতার দিকে ক্রমাগত প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগই আধুনিকতা, যার সাথে যুক্ত থাকে জীবন-যাপন, চিন্তা-চেতনা, অগ্রগতি, উন্নয়ন ও পরিকল্পনার উদ্দেশ্য এবং বিধেয়। এ কারণে আধুনিকতার গতি সর্বদাই তীব্র এবং প্রতি মুহূর্তে রদবদলের মধ্য দিয়ে সমাজ সংঘর্ষকে তীব্র করে। সমাজ অগ্রগতির সাথে তারও অবস্থা-অবস্থানের পরিবর্তন নিরন্তর ঘটতে থাকে। কিন্তু বাস্তবে তা সহজ ও সরল নয় এবং কোনোভাবে মুক্ত বাতাসের মতো প্রবহমানও নয়। বরং স্বার্থপরতা এবং শ্রেণীর সার্থতা সবসময় সমাজজীবনকে সঙ্ঘাতময় করে রাখে এবং প্রতারণার মাধ্যমে উৎপাদন সম্পর্কগুলোকে নিজ স্বার্থমুখী করে পশ্চাৎপদতার ওপর নতুনের প্রলেপ দেয়। ফলে সমাজের মূল শক্তি যেমন আবদ্ধতায় পড়ে, সভ্যতার অগ্রগতির ধারাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। তেমনি কবি-সাহিত্যিকরা বা সৃজনশীল মানুষও স্বার্থপরতার সাথে সখ্য করে নিজেদের প্রতিষ্ঠা-সুবিধা ইত্যাদি লুটবার কাক্সক্ষায় লিপ্ত থেকে পশ্চাৎপদতা থেকে বাইর হয়ে আসবার ইচ্ছেকে স্বার্থচিন্তা ইচ্ছের সাথে যুক্ত করার যুক্তিকে প্রবল করে ক্ষমতাশালীদের উচ্ছিষ্টে মুখ রাখবার উপযুক্ততা খোঁজে সাধারণ মানুষ থেকে নিজকে অধিক সংবেদনশীল ভিন্ন ইত্যাদি মনবাসনা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকাশ করেÑ শক্তিমানদের পদস্পর্শে নিবেদিত করে তাদের গতানুগতিক সৃষ্টি। এর মধ্যে স্বাধীন সত্তার উপস্থিতি থাকে না, যা থাকে তা পদলেহনের নির্লজ্জ রূপায়ণ।
যদিও সমাজ হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সময়ের আচার অনুষ্ঠান অভ্যেস ও রুচিকে নির্মাণ করে নিজকে যুক্ত করে নিচ্ছে; কখনোই নয় যে তা সে সচেতনতার সাথেই করছে বরং খানিকটা অনুসন্ধ্যিৎসা, নতুন রুচি, চেখে দেখার মতো বিষয় থেকে প্রাপ্ত সুবিধে, ইচ্ছে ধীরে ধীরে বিষয়কে রপ্ত করে স্থিত হচ্ছে। তবুও পুরনো অভ্যেসগুলো রুচিগুলো উৎপাদনের সম্পর্কগুলো ঠিক চামউকুনের মতো লেগে আছে মানুষের মনের শরীরে। সত্য এই যে সময়ের সাথে তাল রেখে সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সামাজিক ব্যবস্থা তার সাথে তত দিনেও সমানতাল পায়নি। এ যেন ‘কাদার উপর পাথর বাড়ি’। ফলে একদিকে আধুনিক সম্পর্কগুলো একটা আকার নিয়ে একটা ট্রেনের মতো চলছে, ঠিক তার পাশে চলছে পুরনো সময়ের সম্পর্ক সূত্র শরীরী কখনো অশরীরী একটা আকারগত প্রবাহ; অর্থাৎ নতুনের উপস্থাপনা পুরনোকেই সাথে করে ঘটছে যেন তা অনেকখানি ছুঁইতে চাইছে আধুনিকতা। তলে তলে যা সার্থবাদী সমাজ সংস্কারক, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক তাদের চৈতন্যে জমছে রক্ত জমাটের মতো বিষম অসুখ। আধুনিকতা বা মর্ডানিটি কেবল একটা মুখের বুলি নয়, বরং সমাজ প্রগতির একটা চলমান ধারা।

০৩.
সাহিত্য সমাজ চৈতন্যের অন্তর্গত এক রূপ যা ভাষায় প্রকাশিত। ভাষা ছাড়া যেমন চিন্তা নেই তেমনি চিন্তা ভাষা দ্বারাই গঠিত। ভাষাই মানুষ। ভাষাতাত্ত্বিকরা ঐতিহাসিকভাবে সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে কিভাবে শব্দের অর্থ ও ধ্বনিরূপ পাল্টে যায়, তার তুলনা করেছেন। কী কারণে এই পরিবর্তন সাধিত হয়, বোঝার চেষ্টাও করেছেন। তারা লক্ষ করেছেন ভাষা হচ্ছে অনুকৃতি, নিজস্ব নিয়মের দ্বারা গঠিত পদ্ধতি নয়। শব্দ, তাদের মতে প্রতীক, যা বস্তু বা ধারণাকে প্রতিফলিত করে। এটি যেমন নিজস্ব নিয়মের অধীন, তেমনি চিহ্নবিশেষ। ভাষার লিখিত বা ধ্বনিরূপকে তারা দ্যোতক বা চিহ্ন এবং অর্থকে দ্যোতনা বা চিহ্নায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। ভাষাগত এই পৃথকতার বোধই পরবর্তীকালে অবিনির্মাণ তত্ত্বের সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এটি নির্দেশ করছে সেই বৈপরীত্যকে, কাঠামোবাদীরা যাকে উল্লেখ করেছেন বিপরীত যুগ্মতা। এই বিপরীত যুগ্মতা হাজির করে পরস্পরবিরোধী নানা শব্দগুচ্ছ, যেমন নারী/পুরুষ, ডান/বাম, দিন/রাত্রি ইত্যাদি। পরম্পরিত এই শব্দগুলোর একটি আবার অন্যটির অর্থ স্পষ্ট এবং গভীর করে তোলে। কালোকে আমরা ভালো বুঝতে পারি যেহেতু শাদার বোধ আমাদের কাছে স্পষ্ট, সেভাবে নৈঃশব্দ্যের কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে শব্দেরই অনুষঙ্গে। ভাষার ব্যবহার মানবজীবনে দুই ধরনের। কাজের ভাষা যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত আর চেতনাগত বা কবিত্ব যা ভাষায় ধারণ করা হয় তা ভাবের ভাষা। এর শৈল্পিক রূপময়তা শিল্পভাষার চর্চায় নিবেদিত এবং কবিত্বময় ও আবিষ্কার চেতনায় আবেগায়িত। ভাষার উঁচু-নিচু জাতপাত নেই থাকতে পারে না, ভাষা সার্বজনীন। তবুও সমাজের অবস্থা অবস্থানগত কারণে এই সার্বজনীন ভাষাও শ্রেণীর অবস্থানকে চিহ্নিত করে দেয়। যদি বলা হয় শামসুর রাহমান লোকটা ভালো কবি ছিলেন তা হলে তাকে অসম্মান করাই হলো অনেকেই রে রে করে উঠবেন কারণ তিনি সমাজে সম্মানিত ব্যক্তি। আবার যদি বলি আফছাইরা কোনো কাজের না তা হলে তাকে সমাজের উঁচু জাতপাতের মানুষ বলে কেউ ভাববে না কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখাবে না।
সে যুগ আর এ যুগ এক নয়। বিজ্ঞানের নব যাত্রায় নতুন সূত্রের সূত্রপাত। পুরনো অনেক সূত্রই আজ আর নতুন সময়ের বিজ্ঞান নয়। দর্শনও আজ আর প্লেটোর দর্শনে আটকে নেই। নতুন গাণিতিক হিসাবও পুরনো সূত্রের মধ্যে সেঁদিয়ে নেই। উপলব্ধিমূলক জ্ঞানচর্চা ভাষার ব্যবহারিক পরিভাষা তৈরি করে নিচ্ছে। সৃষ্টি করছে নতুন লজিক। আধুনিকতার এই পর্যায়ে লজিক্যাল ক্র্যাকডাউনগুলোও একটা লজিক তৈরি করছে সমন্বয়ের মাধ্যমে। তাই ব্যাকরণ নতুনভাবে সূত্রায়নের প্রয়োজন হয়েছে এবং ভাষার ব্যবহারিক রীতিগুলোর আগের অবস্থান পরিবর্তন ঘটছে ও সংযোজন হচ্ছে নতুন রীতি। কিন্তু আমরা রয়ে গেছি মিয়া তানসেনের বা তার কিঞ্চিৎ পরবর্তির কাব্যচিন্তায়। আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই দ্বিপদী, ত্রিপদী, চারপদী, পঞ্চম বা ষটপদী কবিতা লিখবার প্রবণতায়। অথচ অমরা ভাবি না কবিতা কোনো খালকাটা বা বাড়ি নির্মাণ নয়। কবিতা বিষয়ের ও রূপের প্রকাশ। বিষয়কে রূপে রূপায়িত করতে যদি কবিতা দীর্ঘ হয় তার দায় প্রকাশের তাড়নার। কবির কাজ তার যথার্থ রূপদান। আবার মাত্রা নিয়েও রয়েছে মানসিকতার অসুস্থতা। আজ কবিতা কতরকম বিষয়কে একই শরীরে ধারণ করছে এবং কতভাবে ভাবনাকে আবেগ ও কল্পনায় জুড়ে দিয়ে কবি প্রস্ফুটিত করছেন তার ভাব-বাগানের প্রসূন, পুরনো চিন্তা তাকে ধারণ করবে কী করে। নতুনে যেতে হলে দরকার একটা ছেদ। সামান্য নয় বিরাটভাবে পুরানকে অস্বীকারের মধ্য দিয়ে নতুন নিয়ে চলা। মাও সেতুং একটা কথা বলেছিলেন ‘পুরানকে নতুনের সেবায় লাগাও’। এর মধ্য দিয়েই ঐতিহ্য বাঁচবে।
০৪.
কবিতা সম্পর্কে কবি ও পাঠকের আগ্রহ বহুকাল ধরে সর্বনিম্ন পর্যায়ে আটকে আছে। বাজারে কোনো পণ্যের সময়োপযোগী অনুভব ও ব্যবহার প্রকরণের উপস্থিতি না থাকলে একসময় একঘেয়েমিতে যেমন পণ্যটি জনপ্রিয়তা হারায়, তেমনি সৃজনশীল কাজও যদি নিত্যপরিবর্তনতার মধ্য দিয়ে চাহিদা উপযোগী না হয় এবং নতুনভাবে চাহিদার সৃষ্টি করতে না পারে, তা হলে তার আর কদর থাকবে কী করে [মনে রাখা দরকার সামন্তীয়, পুঁজিতান্ত্রিক সমাজের চাহিদা, চরিত্র পরস্পর থেকে ভিন্ন এবং মানুষের মানসিক গঠনেও তার প্রভাব ফুটে থাকে] সামন্তীয় সমাজ মানুষকে মানুষ বলে স্বীকৃতি দেয়নি, বরং পুঁজিবাদের বিকাশে সমাজ জীবনে যে পরিবর্তন সূচিত হয় তাতে রাজনৈতিক পরিবর্তন ত্বরান্বিত হয়ে ওঠে এবং মানুষ তার স্বাধীনতার প্রশ্নটিকে উপলব্ধি করতে পারঙ্গম হয়। বুর্জোয়া বিকাশের মধ্য দিয়ে পনের শতকে ইউরোপে রেনেসাঁর আবির্ভাব ঘটে।
উপমহাদেশে মুঘল আমলের স্থাপত্য, সঙ্গীত শিল্পভাবনা, সুর তাল লয় আর ব্রিটিশ সময়ের উপনিবেশ চাহিদায় এবং সর্বশেষে পাকিস্তান ধারণা ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ এই পর্যায়গুলোর প্রতিটি স্তরে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনে মানুষের চাহিদা, অভ্যেস রুচির পরিবর্তন ঘটে যাওয়ায় যা মুঘল আমলের বা তার পূর্বের তার কদর অনুভূতির পর্যায়ে, এখন চাহিদা নতুনের। এখন সেগুলো নতুন ভাবনায় ঐতিহ্য আকারে আসছে, কিন্তু সেগুলো নয় এক্কেবারে নতুন। ঐতিহ্য শুধু ওই টুকু বাড়ি বাড়ি আছে, সৌধ সৌধ আছে, মিনার মিনার আছে কেবল নেই এর নন্দন, দর্শন এবং উপযোগিতার বিষয়াবলি।
ব্রিটিশ শাসনে উপনিবেশ উপযোগী যে দালাল শ্রেণী তৈরি হয় তাদের রুচিবোধ প্রিয়তা-অপ্রিয়তায় উপনিবেশ প্রভাব ও স্থানীয় প্রভাব বিদ্যমান হয়ে নতুন রুচির তৈরি করে যার কতকটা নব্য দালাল শ্রেণীর তার কতকটাও সাধারণের মধ্যেও বিস্তার পায়। এর ভেতর দিয়ে ভারতীয় স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধের পর উপমহাদেশে ভাবভাবনায় যে পরিবর্তন এসেছে তাও বদলানো রুচি উপযোগী সুর তাল লয়-এর প্রয়োজন পড়েছে। পরে এবং পাকিস্তান চাহিদা ও প্রাপ্তি ও তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার বাসনা থেকে ইসলামী ধারা প্রবর্তন ও পরবর্তীতে ৬৯ এর গণ-আন্দোলনের পূর্বে ভাষা আন্দোলনে সৃষ্ট, সৃষ্টিগুলোর ভাব ভাষা বিষয় ও রূপ যদি না বদলাতো তা হলে কবিতাপ্রিয়তার অস্তিত্ব¡ সেই মান্ধাতার সময়ের ইনানোবিনানো হয়েই থাকত এবং পাঠকের বিমুখতা আরো প্রকট হয়ে উঠত। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের একটা কথা আছে আর তা হলো বিষয়ের রূপ, কবিকে নিজেই ঠিক করে নিতে হয় বিষয় এবং তারপর মনোযোগ দিতে হয় রূপে। তিনি আরো সাবধান করেছেন রূপদানের প্রবল্যে বিষয় যেন হারিয়ে না যায়। রূপায়ণের মধ্য দিয়ে বিষয় শৈল্পিক মান পায়। কবিতায় বেশির ভাগ শব্দই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরের কখনো কখনো অস্পষ্ট ধোঁয়াটেও হয়ে উঠতে পারে। কখনো কখনো আকস্মিক, তামাশাপূর্ণ, সঙ্গতিহীন হতে পারে। হতে পারে দৃশ্যাতীত অজানা ভালোমন্দ, রাগদ্বেষ জ্ঞেয়-অজ্ঞেয়, হিত ও অহিতের। আর সেগুলো সামগ্রিকতায় যে প্রতিফলন ঘটায় তা তার অন্তরগত বিদ্রোহী মনের প্রকাশ। প্রকাশের সুরটি তৈরি করে কবি মন ও পাঠকমন। তাই কবিতা আজ যে প্রবহমান গদ্যে যত স্বাচ্ছন্দ্যময় ততটা ছন্দে নয়। এটা একটা পজিটিভ প্রকাশভঙ্গি, তবে তাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না থাকলে কাব্য খানিকটা খরখরা লাগতে পারে।
এমনও হতে পারে পাঠক বা ভোক্তা সৃষ্ট চলমান কবিতাকে অনাসৃষ্টি বলেও পাঠ বিমুখ থাকতে পারেন। তার কাছে মনেই হতে পারে এসব একজন বেহুদা লোকের কাজ যারা নিজদের পরিচিতি চায় এবং নিজের পকেটটা নাড়াচাড়া করে দেখতে চায়। কিংবা চায় রাজ অনুগ্রহ। কেউ এমনভাবে নিজকে উপস্থাপন করে খানিকটা সুবিধা চায় ফলে পাঠকের চাহিদা আর ওসব লেখায় পাওয়া যায় না এবং লেখায়ও কোনো নতুনত্ব না থাকায় কোনো প্রেরণা ইঙ্গিত হয়ে না ওঠায় সমাজে যে অকাজের লোকের সাঁতার রয়েছে পাঠক কবিদেরকে তেমনই গ্রহণ করে। মনে করে না এর কোনো প্রয়োজন আছে বা এসব কিছু থেকে কোনো তুষ্টির বিষয় তুলে নিয়ে নিজ আত্মার অভাবকে পূরণ করা যাবে। কারণ প্রত্যেক সদাত্মার ভেতরের সত্তার যে চাহিদা তাকে এসব শিল্প-উপকরণ কোনোভাবে আনন্দিত করতে পারে না বা তার অন্যসব অতৃপ্তির সাময়িক প্রশমনও দিতে পারে না। পাঠকদের আড়ষ্টতা ভাঙার ক্ষেত্রে কবিরই ভূমিকা প্রথম এবং প্রধান। ‘সব দেশের সাহিত্যে যখন নতুন কবিতা লেখা শুরু হয় তখন তার সঙ্গে কবিতা সম্বন্ধে এবং কবি প্রসঙ্গে পাঠকদের ধারণাগুলোও পাল্টাতে থাকে, যার ফলে শুধু নতুন কবিতা নয় পুরনো কবিতাও পাঠক সমাজ নতুন করে পড়তে শেখে। কবিরা সাধারণত নিজেরাই এই নতুন রুচি তৈরি করেন।’ হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব শিরোপার আরো কাছে রিয়াল মাদ্রিদ গাজানীতির প্রতিবাদে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ

সকল