২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে ক থা হ য় নি ব লা

-

পাঠকের ফোনে ঘুম ভাঙ্গে : জাফরুল আহসান
কেনো লিখতে এলেন?
না লিখে কি করবো। না লিখে থাকতেই পারি না। মনে হয় নিজ নামের ক্ষেত্রটাই এখানে মুখ্য। লক্ষ্য করেছি প্রকাশিত লেখার পাঠ প্রতিক্রিয়া আমার আমিত্বকে আরো বেশি করে জানান দেয়। সম্ভবত এ কারণেই লিখি।
লেখালেখি না করলে কী করতেন?
কি আর করতাম। লেখালেখি করবো বলেই ধীরে ধীরে লেখক হবার চেষ্টা করেছি। লেখক হয়েছি কি না জানি না। তবে লিখে যাচ্ছি আজও এবং আশা করি লিখে যাবো।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন!
ব্যর্থতার চেয়ে প্রাপ্তিই বেশি। তাই জীবনের ব্যর্থতা বলে কিছু নেই আমার।
লেখক হওয়ার পথে যে প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন?
লেখক হয়েছি কি? যতটুকু হয়েছি তা নিজের মেধা মননের ও সাধনার কারণে। প্রতিবন্ধকতা যেমন নিত্যদিনের সঙ্গী তেমন সাহিত্য পাতার সম্পাদকের নিজস্ব বলয় বা ঘরানা সেখানে প্রবেশাধিকার কষ্টসাধ্য বটে। তবে এক সময় তাকে জয় করতেই হয়।
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন?
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় কমার্সে ভালো রেজাল্ট করেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগে ভর্তি না হয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স করেছি। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট বা ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা হইনি এ কথা যেমন সত্য তেমনি একজন লেখক হওয়ার প্রাপ্তি আমার কাছে অনেক বেশি। সম্পাদিত গ্রন্থ বড়দের প্রবন্ধের বইসহ সর্বমোট ১৫টি কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কম কিসে। গাড়ি বাড়ি সুশিক্ষিত ছেলে মেয়ে যোগ্য সহধর্মীণীসহ আমি তো স্বপ্নের মাঝেই বসবাস করছি। অপূর্ণতা সে আমার নয়
পাঠকের ভালোবাসা কেমন পান?
দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রকৃত লেখা প্রসঙ্গে পাঠকের টেলিফোন কল আবেগে আপ্লুত করে। এমনও হয় পাঠকের টেলিফোনে ঘুম ভাঙ্গে অর্থাৎ আজকের দৈনিক পত্রিকায় আপনার কবিতাটি অসাধারণ। এমনতরো মন্তব্য কার না ভালো লাগে। কোনো নারীর ফোনকলেও ইনিয়ে বিনিয়ে রাঙতা ভোলানো প্রশংসাও এক ধরনের ভালো লাগা।
কবিতা সম্পর্কে আপনার নিজস্ব সংজ্ঞা কী?
কবির অন্তরে লালিত পর্ববাণী বিশাল শব্দভাণ্ডার থেকে উৎকৃষ্ট শব্দচয়নের মাধ্যমে উপমা উৎপ্রেক্ষা চিত্রকল্পের ছন্দোবদ্ধ শৈল্পিক প্রকাশভঙ্গি কবিতা। যার সর্বত্রই কবির জাদুকরী স্পর্শ বিদ্যমান।
বারবার কোন বই পড়ার ইচ্ছে তাড়িত করে?
পাশ্চাত্য সাহিত্য আর বিশ্বের বরেণ্য লেখকের জীবনী।
কোন বাণী আপনাকে এখনো উজ্জীবিত রাখে?
‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই’।


প্রতিটি শিল্পের নির্দিষ্ট লিটারেচার থাকা জরুরি : নাসিম আহমেদ
আবৃত্তির প্রতি এত তৃষ্ণা কেন?
সাহিত্যের বাণী সবার মাঝে পৌঁছে দেয়ার অন্যতম শিল্প মাধ্যম হচ্ছে আবৃত্তি শিল্প। তা ছাড়া জাতিকে শুদ্ধ ভাষায় উচ্চারণে কথা বলায় অনুপ্রাণিত করতে চাওয়ার আকাক্সক্ষা থেকেই আবৃত্তি শিল্পের প্রতি জেগেছে অনন্ত তৃষ্ণা।
বাচিক শিল্পী ছাড়া আর কী হতে চেয়েছেন?
অভিনয় শিল্পীই হতাম। কেননা স্কুলজীবন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বাচিক শিল্পের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছি।
জীবনের ব্যর্থতার কথা বলুন!
ব্যর্থতার খোঁজ নেইনি। কাজে থেকেছি এবং সত্যের পথে হেঁটেছি। সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতাটুকু আমার বলে আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছি। কেননা, আল্লাহ মহাপরিকল্পনাকারী।
লেখক হওয়ার পথে যে প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন?
আশির দশকের দিকে আবৃত্তিশিল্প নিয়ে প্রবন্ধ প্রকাশের কোনো সুযোগ ছিল না। কবি আল মুজাহিদী (ইত্তেফাক) প্রফেসর মোস্তফা-নূর-উল ইসলাম (সুন্দরম) আমাকে সে পথ করে দিয়েছিলেন।
বাচিকশিল্প নিয়ে কলম ধরার প্রয়োজনীয়তা কেন মনে হলো?
প্রত্যেক শিল্পের একটি নির্দিষ্ট লিটারেচার থাকা জরুরি। এই অনুভব থেকে এ মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি। এখন হাজারো তরুণ কিশোর শিক্ষার্থী এ থেকে উপকৃত হচ্ছে।
এখনো অপূর্ণ যে স্বপ্ন?
রাসূল সা: নিবেদিত আবৃত্তিযোগ্য কবিতার একটি সিডি প্রকাশ করতে চাই আমার স্ত্রী শায়লাকে (শায়লা আহমেদ, আবৃত্তি শিল্পী) সাথে নিয়ে। ইরানের আধ্যাত্মিক কবি এবং বাংলাদেশের প্রধান কবিদের কবিতা নিয়ে আবৃত্তির সিডি প্রকাশ করবো। আর নতুন প্রজন্মকে বাচিকশিল্প শেখাবো।
শ্রোতাদের ভালোবাসা কেমন পান?
যে ভালোবাসা এবং সম্মান পেয়েছি এ জীবনে তা সত্যিই অভাবনীয়! এক কথায়, আলহামদুলিল্লাহ।
যে গল্প এখনো হয়নি বলা?
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তার ইতিহাস কখনো বলা হয়নি।
বারবার কোন কবিতা আবৃত্তি করার ইচ্ছে তাড়িত করে?
নজরুল, জসীমউদ্দীন, জীবনান্দ দাশ, আহসান হাবীব, আল মাহমুদ, পূর্ণেন্দু পত্রী’র কবিতা।
কোন বাণী আপনাকে এখনো উজ্জীবিত রাখে?
ভালো এবং মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা, ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। Ñ আল কুরআন, সূরা হা-মিম-আস-সাজদা, ৪১:৩৪।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ : মেজবাহ মুকুল

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব শিরোপার আরো কাছে রিয়াল মাদ্রিদ গাজানীতির প্রতিবাদে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পদত্যাগ

সকল