১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


অপেক্ষায় রোদের সকাল

-

১৮৫৯ সালে বোদলেয়ার লিখেছেন : ‘ছন্দ ও প্রচলিত অলঙ্কারের ব্যবহার কখনো আধুনিকতার বিকাশকে রুদ্ধ করে না বরং এর উল্টোটাই সর্বাংশে সত্য।’ বোদলেয়ার প্রবর্তিত সেই আধুনিক রচনাশৈলী ছড়িয়ে পড়ে পুরো ইউরোপের কবিতারাজ্যে। তাই ১৯৩০ সালে কবিতার নোবেল বিজয়ী টি এস এলিয়ট ঘোষণা দেন : ‘পৃথিবীর যেকোনো ভাগের জন্য বোদলেয়ার এর কবিতার রচনাশৈলী হতে পারে অনুসরণীয় আদর্শ...।’ আজ অবধি ছন্দ সম্পর্কে বোদলেয়ারের সেই বাণী ও কাব্য কুশলতা বাংলা কবিতার আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ায়ও অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছে এবং হয়ে চলেছে। কবি জামসেদ ওয়াজেদের ‘অপেক্ষায় রোদের সকাল’ কবিতার বইটিও যেন তেমনি ছন্দ ও কাব্য সচেতনে ঠাসা। প্রকাশক ছায়া বীথি, প্রচ্ছদ ধ্রুব এষ।
কবি জামসেদ ওয়াজেদ সনেট সুতায় কাব্যমালা গাঁথতে বেশি পছন্দ করেন। এই বইটিতেও এর ব্যতিক্রম ‘নয়’। সম্ভবত এ কারণেই অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদ বলেছেনÑ ‘বলা যায় জামসেদ ওয়াজেদ তার সনেট রচনায় স্বার্থকতায় পৌঁছেছেন। এ ধরনের কবিকে আমি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া জানাই।’
পৃথিবীর সব দৃশ্যই খুব সুন্দর। কিন্তু ভেবে দেখেছি কি এর চেয়ে বেশি সুন্দর মানুষ। আর মানুষের সৌন্দর্য হচ্ছে তার বোধ শক্তি, চরিত্র ও প্রেম। তাই কবিও মানুষ, প্রকৃত আর তারাদের ভিড়ে এসবই খুঁজে পেতে অস্থির। কবির ভাষায়Ñ
‘আমিও মানুষ খুঁজি এ অবাধ্য রাতের শরীরে/আরো খুঁজি গাছ মাছ নদী আর জলের শুশুক/নিরেট ঝরনার স্রোত হিমবাহ পৌষের অসুখ-হারিয়ে গিয়েছে যারা দূরলক্ষ তারাদের ভিড়ে।’
(অপেক্ষায় রোদের সকাল)
আজকের এই বাংলার বুকে তাকালে এক অদ্ভুত অন্ধকার দেখা যায়। কবির চোখও এগুলো দেখে আগামীর কথা কুড়িয়ে এনেছে যেন। তিনি বলেছেনÑ
‘এখানে সমাপ্ত হোক অন্ধকার রূঢ় বর্ষাধারা/অখ্যাত সুন্দর দিন শতপুষ্পে রোদের পাহারা। (শতপুষ্পে রোদের পাহারা)
বহমান এ সময়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ফসল নিয়েও ভাবেন। ভেবে কবি গৌরব গাথা রচনা করতেও ভোলেন না। এটাই প্রমাণ করে কবি দেশ ও জাতিকে খুব ভালোবাসেন। তার ভাষায়Ñ ‘একাত্তর ডিসেম্বর স্মৃতিজুড়ে উন্মোচিত বীরের মহিমা
আলোড়িত বিশ্বজুড়ে পরিচিত আমাদের মানচিত্রের সীমা। (অসংখ্য ইচ্ছের ফুল)
কবির নিজস্ব ঢংও মাঝে মধ্যে প্রকাশ পায়। কেননা কবি কখনো রোমান্টিকও হয়ে যান। ফলে নর-নারীর প্রেমও সুবাসিত ফুলের মতো ফুটে উঠেছে। তার ভাষায়Ñ ‘এই চোখ অপরাধী হলে / এ হৃদয় রাজসাক্ষী তার / আমি ইউসুফ নই / প্রেমে পড়ি তাই জুলেখার।’ (ইউসুফ-জুলেখা)
এই প্রেম তো জীবনেরই অংশ। পবিত্র প্রেম আছে বলে পৃথিবী ঘর-স্বদেশ এত সুন্দর। আর এই সুন্দর কিছু পেতে হলে স্বাধীনতা, স্বাধীন ঘর ও ভূমিও দরকার। এ দিকেই ইঙ্গিত করে কবি বলেছেনÑ
‘সবার আগে থাকতে হবে ঘর
তারও আগে থাকতে হবে দেশ
তারও আগে থাকতে হবে ভূমি
স্বদেশ তোমার চরণ ধূলায় চুমি?’
(ঘর দেশ ভূমি)
আশা করি, এই বইটিও পাঠকদের মন জয় করবে। বইটির প্রচার ও প্রসার কামনা করছি।
Ñ নূর ইবনে হান্নান


আরো সংবাদ



premium cement
‘অজানা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের’ পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্র আবা‌রো ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই নির্বাচনের পরেও সে কথাই বলেছে যুক্তরাষ্ট্র : ড. মঈন খান ভালুকায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সর্বোচ্চ আয় করা খেলোয়াড় রোনালদো, মেসির অবস্থান কোথায়? ৩৬ বছর শিক্ষকতার পর রাজকীয় বিদায় ‘দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে’ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হওয়া মুম্বাইয়ের সেই বিলবোর্ডের মালিক গ্রেফতার সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি রাবি ছাত্রলীগ নেতার জামিনের পর যেভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন কেজরিওয়াল কক্সবাজারে চিংড়ি ঘের থেকে ২ জেলের লাশ উদ্ধার, অভিযোগ হত্যার

সকল