‘দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ মে ২০২৪, ১৬:৩৩
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতি, ঘুষ ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেছেন, ‘সরকারের সীমাহীন ঘুষ-দুর্নীতি, লুটপাট, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, বিদেশে অর্থপাচার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিগত ১৫ বছরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হলেও কাজ আজও শেষ হয়নি। দফায় দফায় ব্যয়ের অঙ্ক বৃদ্ধি করে টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার, ন্যায় বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবিধান প্রদত্ত সভা-সমাবেশ করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও ব্যাংকিং খাত আজ লুটেরাদের দখলে। দেশে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন-বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পথ আজ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সরকার অর্থের উৎসসমূহ ও বিদেশী সংস্থা থেকে ঋণগ্রহণ করে ঋণের টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করছে। দেশের অর্থনীতি আজ বিধ্বস্ত। এই পরিস্থিতিতে কর্মপরিষদ সদস্যদের এই সংগঠনের অভিভাবক এবং দেশ ও জাতির বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি আজ গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার, মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ার পরও স্বাধীনভাবে ইসলাম পালন করা যায় না, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী আজ মজলুমের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মানবতার মুক্তির জন্য জামায়াতে ইসলামীর সকল জনশক্তিকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আল্লাহ্ তা’আলা প্রদত্ত ও রাসূলুল্লাহ সা: প্রদর্শিত বিধানের আলোকে বাংলাদেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে জনগণ কী কী উপকার ভোগ করতে পারবে তা মানুষের কাছে বক্তব্য ও লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। আল্লাহর দেয়া বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমেই প্রকৃত কল্যাণ নিহিত রয়েছে। জামায়াতের প্রতিটি সদস্যের চিন্তাধারা হওয়া উচিৎ এই দেশ যেন স্বাধীন, স্বার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকে, কোনো মুশরিকের অধীনে যেন না যায়। আমরা যেন মন ভরে আল্লাহর গোলামী করতে পারি। আমাদেরকে মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দিতে হবে এটাই কোরআনের শিক্ষা। যে ক্ষতি করবে তার উপকার করাই উত্তম সৎকর্ম।’
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনসহ মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্যরা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা