গাজীপুরে নারীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার

গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় নিহত এক নারীসহ দু‘জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) মহানগরীর বাসন থানাধীন দিঘীরচালার এক স্কুল ভবনের কক্ষ এবং সদর থানাধীন শ্মশানঘাটের লালমাটি এলাকার সড়কের পাশ থেকে ওই লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ি থানার সাইচাকুড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী রূপালী বেগম (২৯) এবং গাজীপুর সদর থানাধীন উত্তর ছায়াবিথীর শ্মশানঘাট এলাকার জজ মিয়ার ছেলে আশিকুল ইসলাম (২৩)।

জিএমপির বাসন থানার এসআই মোস্তফা কামাল ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন দিঘীরচালা এলাকাস্থিত প্রতিভা লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের কেয়ার টেকার হিসেবে চাকরি করেন শফিকুল ইসলাম। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে ওই স্কুল ভবনের নিচতলায় থাকেন। তার স্ত্রী রূপালী বেগম দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক অসুস্থ্যতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতে ওষুধ কেনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। শনিবার সকালে রূপালীর স্বামী স্কুলের এক শিক্ষকের সাথে বাইরে যান। ঘণ্টাখানেক পর এক প্রতিবেশী রূপালীর খোঁজে ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্য আরেক ঘটনার ব্যাপারে জিএমপির সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার সকালে গাজীপুর সদর থানাধীন শ্মশানঘাটের লালমাটি মাঠ এলাকার রাস্তার পাশে গার্মেন্টসকর্মী আশিকুল ইসলামের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হওয়ার ও বমি করার চিহ্ন রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে তিনি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় দু‘মাস আগে গার্মেন্টসকর্মী আশিকুল ইসলামকে রেখে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যান। স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেফতারের পর গত কিছুদিন আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আশিকুল। দু‘দিন আগে তিনি দোকান থেকে ইঁদুর মারার কীটনাশক কিনেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে আশিকুলকে লালমাটি মাঠের রাস্তার পাশে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় স্ত্রীর সাথে কথা বলে কান্নাকাটি করতে দেখে স্থানীয়রা। পরদিন সকালে সেখানে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা।

উভয় ঘটনায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডি্যোল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।