২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মেঘনার ভাঙনে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে অর্ধশতাধিক পরিবার

মেঘনার ভাঙনে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে অর্ধশতাধিক পরিবার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ভর কালীপুরা গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। পানি বেড়ে যাওয়ায় মেঘনার ভাঙন এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন ভাঙছে নদীর পাড়। এতে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি ও গাছপালা। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে কালীপুরা গ্রামের নদীপাড়ের অর্ধশতাধিক পরিবার। কেউ কেউ ঘর ও মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। জমিজমা ও বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে।

সরজমিন নদীভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীপাড়ের মানুষের চোখেমুখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ছাপ। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কাটছে তাদের দিনরাত। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকতে হয় তাদের। বিক্রি করে দিচ্ছেন গাছপালা। চোখের সামনে ভিটাবাড়ি মেঘনায় বিলীন হয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।

মেঘনার ভাঙনের শিকার কালীপুরা গ্রামের বয়োবৃদ্ধ সরাফত আলী প্রধান বলেন, ‘আমি দরিদ্র কৃষক। ১০ বছরে পাঁচ থেকে ছয় বার বাড়ি সরিয়েছি। এবারো ভাঙনে বসতবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। দূরে কোথাও নতুন করে বাড়িঘর তোলার সামর্থ নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো রকম জীবনযাপন করছি।’

শুধু সরাফত আলী নয়, নদীপাড়ের অগণিত পরিবার একাধিকবার বাড়িঘর সরিয়েও মাথা গোজার শেষ আশ্রয়টুকুও রক্ষা করতে পারছেন না। মেঘনায় গিলে খাচ্ছে লোকালয়। তীব্র ভাঙনের কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নদীপাড়ের মানুষ। ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি পদক্ষেপের দাবি তাদের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, নদীভাঙনের কবলে এলাকার ৫০ থেকে ৬০টি পরিবারের বসতভিটা হুমকির মুখে রয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ থেকে ১২টি পরিবার বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। ভাঙনের কবল থেকে নদীপাড়ের পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু জানান, নদীভাঙন রোধে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী গজারিয়া উপজেলার নদীভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে শিগগিরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement