নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের কাহেনা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মোল্লার জমির মাটি লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জাতীয় পার্টির নেতা আবু তালেব চৌধুরী জিসানের বিরুদ্ধে। কয়েক দিন ধরে মুক্তিযোদ্ধার ১০ শতাংশ জমিসহ এলাকার নিরীহ মানুষের জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছেন তিনি। এ সময় মাটি লুটের ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা সোমবার বিকেলে তালতলা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা অভিযোগে উল্লেখ করেন, সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ওটমা এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে আবু তালেব চৌধুরী জিসান তার সহযোগী পেরাব গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে মোখলেছুর রহমানসহ চার পাঁচজনের একটি সিন্ডিকেট কাহেনা মৌজায় ১০ শতাংশ জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে ওই জমি পুকুরে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ফলে ওই জমি অনাবাদী হয়ে পড়ছে। মুক্তিযোদ্ধার জমি ছাড়াও পাশ্ববর্তী অনেক কৃষকের জমির মাটি গভীরভাবে কেটে লুট করে নিয়ে গেছে। ফলে পাশ্ববর্তী জমিতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হতে হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জিসান চৌধুরী এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অসহায় কৃষকের জমিতে রাতের বেলায় ভেকু লাগিয়ে এলোমেলোভাবে মাটি কেটে নিয়ে যায়। পরে এ বিষয়ে কথা বললে নাম মাত্র টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে।
কাহেনা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রতিবছর এ চকে কৃষকের জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে কোনো ফল পাওয়া যায় না। প্রশাসনের লোক দেখানো অভিযান চলার পর পুরোদমে চলে মাটি লুট।
অভিযুক্ত আবু তালেব চৌধুরী জিসান জানান, ‘জমির মাটি কাটার সাথে আমি জড়িত নই। ওই এলাকার ফারুক নামের একজন পাশ্ববর্তী জমির মাটি কিনে কাটার ফলে মুক্তিযোদ্ধার জমিতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এ জমি ঠিক করে দেয়ার কথা রয়েছে।’
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ আহসানউল্লাহ জানান, মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আতিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে কৃষকের ফসলী জমির মাটি কোনোভাবেই কেটে নিতে দেয়া হবে না।