০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রংপুর প্রধান ডাকঘরে সাংবাদিক লাঞ্ছিত : প্রতিবাদের মুখে ৪ কর্মচারী প্রত্যাহার

-

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর প্রধান ডাকঘরে একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলসহ চার সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা সড়ক অবরোধ করলে অভিযুক্ত চার কর্মচারীকে মন্ত্রীর নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়াও জেলা পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের বিভাগীয় প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদল পেশাগত দায়িত্ব পালনে নগরীর প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টারের কাছে তথ্য নিতে যান। এসময় কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বাঁধা দেয়। এরই প্রতিবাদ করতে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিক বাদলকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে রংপুরের প্রেস, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা ডাকঘরে উপস্থিত হয়ে পোস্ট মাস্টার আলা মিয়ার কাছে সাংবাদিককে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানান।

এসময় আলা মিয়ার নির্দেশে সহকারী পোস্টার মাস্টার শাহনাহ বেগম, পোস্টাল অপারেটন সৈয়দা আফরোজা পলি, গাড়ি চালক ফরহাদ হোসেন ও ইডি কর্মচারী সাহেব আলীসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারী দৈনিক করতোয়ার প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পি, বাংলা টিভির প্রতিনিধি রাফাত হোসেন বাধন, মাছরাঙ্গা টিভির ক্যামেরাম্যান ফরহাদ হোসেন, এশিয়ান টিভির ভিডিও সাংবাদিক একেএম সুমন ও নয়া দিগন্তের ফটো সাংবাদিক মেজবাহুল হিমেরে ওপর হামলা চালায় ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ।

ঘটনার খবর পেয়ে রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা ডাকঘর ঘেরাও করে রাখে। পরে সাংবাদিকরা ডাকঘরের সামনে শহরের প্রধান সড়কে বসে অবরোধ করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করতে থাকেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারকে জানান সাংবাদিকরা। তার নির্দেশে বিভাগীয় পোস্ট মাস্টার প্রদীপ কুমার ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান এবং অভিযুক্ত কর্মচারী সহকারী পোস্টমাস্টার শাহনাজ বেগম, অপারেটর সৈয়দা আফরোজা পলি, গাড়িচালক ফরহাদ এবং ইডি কর্মচারী সাহেব আলীকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন এবং অপর অভিযুক্ত পোস্টমাারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। পরে সাংবাদিকরা অবরোধ তুলে নেন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

রংপুর বিভাগীয় পোস্ট মাস্টার প্রদীপ কুমার জানান, সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় আমরা খুবই দুঃখিত। সাংবাদিক সমাজের কাছে আমরা এ বিষয়ে মাফ চাইছি। আমরা অভিযুক্ত চারজনকে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যেই তাদের প্রত্যাহার করেছি। অভিযুক্ত পোস্ট মাস্টারের ব্যাপারে বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে প্রধান পোস্ট মাস্টারকে জানিয়েছি। দ্রুত গতিতে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement