গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে এক গৃহবধুকে শ্লীলতাহানি ও জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার পর চারদিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এজাহার দায়েরে গড়িমসি করছে। একটি প্রভাবশালী চক্রের হুমকির কারণে ঘর বাড়ী ফেলে ঐ গৃহবধু তার স্বামী সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌরসভাধীন মূলগাঁও চরপাড়া গ্রামের আতর আলীর পুত্র মুদি ব্যবসায়ী সবুজ মিয়ার সাথে তার বড় ভাই বিল্লাল হোসেন, ভাবি সোনিয়া ও বোন জামাই আক্তার হোসেনের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শত্রুতা রয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকালে সবুজ ও তার স্ত্রী পপি মুদি দোকানে বসে থাকাকালীন বিল্লাল, সোনিয়া, আক্তারসহ ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির হোসেনের পুত্র স্থানীয় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত আকরাম (৩৮), ভুলার পুত্র শাহীন (৩৬), ওসমানের পুত্র দেলোয়ার (৩৭), তাজুর পুত্র শাহ আলম (৩৫) দোকানে ঢুকে লাঠি, লোহার পাইপ, তালের রোয়া দিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারী বিল্লাল, আক্তার ও আকরাম পপির সালোয়ার কামিজ ছিঁড়ে ফেলে শ্লীলতাহানি করে এবং কিস্তি ও মাল বিক্রির ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। সন্ধ্যায় হামলাকারী আকরাম অন্যদের সহযোগীতায় পপিকে জোরপূর্বক টেনে হিঁচড়ে একটি রিক্সায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সবুজ বাধা দিলে তাকেও ঐ রিক্সায় তুলে নিরিবিলি স্থানে নিয়ে গিয়ে পপিকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে সবুজ ৭ জনকে আসামী করে গত ১৭/০৯/২০১৮ইং তারিখ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলেও তা এখনো নথিভুক্ত হয়নি। এদিকে একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে সবুজকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে বলে জানা যায়। হুমকির কারণে ঘর বাড়ী ফেলে ঐ গৃহবধু তার স্বামী সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী শরীফা বেগম জানান, ঘটনার দিন সবুজ ও তার বউ পপিকে বাইরের চার পাঁচজন লোক এসে মারধর করে। পরে তাদেরকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্তে পুলিশ এলে আমিসহ কয়েকজন ঘটনার স্বাক্ষ্য প্রদান করলে পুলিশ অফিসার তা লিপিবদ্ধ করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু বকর মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই সুলতান উদ্দিনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
পরে এস আই সুলতান উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, তদন্তকালে ঘটনার যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা