০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চামচঠোঁট চা পাখি

-

জানো, পাখির নাম চামচঠোঁট চা পাখি। এদের ঠোঁট চামচের মতো চ্যাপ্টা। এ কারণে এদের এমন নামকরণ হয়েছে। অতি চঞ্চল স্বভাবের পাখি এরা। এ পাখির ঠোঁটের সামনের দিক ভোঁতা। অনেক সময় দেখতে কোদালের মতোও মনে হয় এদের ঠোঁট। এ কারণে অনেকে এ পাখিকে কোদালঠোঁট পাখিও বলে থাকেন। পাখিটির ইংরেজি নাম ঝঢ়ড়ড়হ-নরষষবফ ংধহফঢ়রঢ়বৎ.
চামচঠোঁট চা পাখি ছোট্ট কিন্তু মায়াবী । এটি আমাদের দেশের অতি বিরল পরিযায়ী পাখি। রাশিয়ার আবাসিক পাখি এরা। এ প্রজাতির পাখি এখন পৃথিবীতে প্রায় মহাবিপন্ন।
এরা শীতকালে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে আসে। এ পাখির দেহের ওজন ৬৯-৭০ গ্রাম। বাদামি-ধূসর রঙ প্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহের উপরের দিকটায়। তবে ডিম পাড়ার সময়ে সোনালি-লালচে রঙ ধারণ করে এর মাথা, ঘাড়, বুক ও দেহের উপরিভাগ। কপাল ও দেহের নিচের অংশ সাদা। ঠোঁট বা চঞ্চু কালো । কালচে-বাদামি এদের চোখের মণি। পা, পায়ের পাতা ও আঙুল কালো।
শীতে এরা বিচরণ করে আমাদের উপকূলীয় কাদাচর ও লোনা জলে। ঘুরে বেড়ায় একাকি বা ছোট দলে। অনেক সময় এদেরকে দেখতে অন্যান্য জলজ পাখির মতোও লাগে। ভাটার সময় অল্প পানিতে হেঁটে বেড়ায়। খাবারের উদ্দেশে ছোট নানা ধরনের প্রাণী খুঁজে বেড়ায় নরম কাদায় ঠোঁট ঢুকিয়ে। এরা বাচ্চা দেয় জুলাই-আগস্টে। মজার বিষয় হচ্ছে, এরা জোড়া বাঁধে সারা জীবনের জন্য। অবাক বিষয় হচ্ছে, ডিম পাড়ে প্রতিবার প্রায় একই স্থানে। শ্যাওলা, ঘাস ও পাতা দিয়ে ছোট্ট বাসা বানায় বিভিন্ন উপকূলের কাছাকাছি মাটিতে। এ জন্য সামান্য গর্তও করে। স্ত্রী পাখি ডিম পাড়ে ৩-৪টি করে। ডিমের রঙ সাদা। সাধারণত স্ত্রী রাতে ও পুরুষ দিনে তা দেয়। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২০-২৩ দিন। এ পাখি বাঁচে ৬-৭ বছর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমছে।


আরো সংবাদ



premium cement